alt

জাতীয়

সর্বপ্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে

নদীর বিপন্নতার জন্য তিন কারণকে দায়ী করলেন আনু মুহাম্মদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বাংলাদেশের নদ-নদীর মরণদশার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, উজানে দেয়া ভারতের বাঁধ, দেশের শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গ ও কোম্পানির দখল আর সরকারের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প এ তিন কারণে বাংলাদেশের নদ-–নদী ভয়ংকর বিপদের মধ্যে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস- ২০২৫ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, যদি নদী বাঁচাতে হয়, তাহলে নদী বিনাশী প্রকল্প বাতিল করতে হবে। নদী ধ্বংস করে কর্মসংস্থান হয় না। নদী নিজে কর্মসংস্থান তৈরি করে। এছাড়া দেশের মানুষের ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসুখ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ নদীগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। নদী যে পরিবেশ তৈরি করে, যে পরিবেশগত ভারসাম্য তৈরি করে, যে জীববৈচিত্র রক্ষা করে, সেটি অন্যান্য প্রাণীর জন্য যেমন দরকার, তেমনি মানুষের জন্যও দরকার। অন্য প্রাণ যদি ভালো না থাকে, তাহলে মানুষও ভালো থাকবে না। সেজন্য সর্বপ্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী বিনাশী কোনও প্রকল্পই আমরা উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না।

তিনি বলেন, সাত মাস পার হয়েছে নতুন সরকার এসেছে। বিগত স্বৈরশাসনের যারা প্রধান ব্যক্তি ছিল, তারা বর্তমানে দেশে নেই, তারা পালিয়েছে, তারা পরাজিত। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ হবে আমরা শুনি। কিন্তু তার প্রতিফলন অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পাচ্ছি না। নদীর ক্ষেত্রে একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে নদীর যে বিপন্ন দশা, নদীর বিপদ মানে দেশের বিপদ। নদী যদি না থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলি বা স্বাধীন বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ বলি সবই অর্থহীন কথায় পরিণত হবে।

নদী ধ্বংস হওয়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর বিপন্ন দশার কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভারত। ভারতের যেসব নদী আমাদের দেশের ওপর দিয়ে গেছে, সেগুলোতে তারা বাঁধ দিচ্ছে। এজন্য দেশের নদীগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তাই নদীকৃত্য দিবসে এ সরকারের প্রধান করণীয় হচ্ছে, জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ত, সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প নদীর বিনাশ করছে। নদী দখলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনী জড়িয়েছে।

ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার গত সাত মাসেও

কমিশনে কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগ না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এটা যারা করেছেন, তারা অপরাধ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা হয়তো বিষয়টি জানেন না। তার তিনটা ভিশনের একটা জিরো কার্বন। জিরো কার্বন মানে পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখা। নদী না থাকলে দূষণমুক্ত কীভাবে হবে।

মন্ত্রণালয়ে যারা বসে আছেন, তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলেন মুজিবুর রহমান। ৫ আগস্টের পরে নদী দখল অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে বলেন তিনি। নদী রক্ষায় নিয়োজিত সব সংগঠন মিলে ছায়া নদী রক্ষা কমিশন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশাহিদা সুলতানা, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের তোফাজ্জল সোহেল।

ছবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ, নতুন নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

ছবি

হত্যাকারীদের বিচার না করে নির্বাচন নয়: নাহিদ

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারীর পর্যায়ে: উপদেষ্টা

শ্রীপুরে বই আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক কারাগারে

ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় দুই নারীর সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ কমান্ডারসহ নিহত ২

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী ‘দখল’: সবার স্বপ্ন এক

তাভেল্লা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন

ছবি

‘অপরাধকে লেবাস দিয়ে কালারিং করার প্রয়োজন নাই’

সরকারি কর্মচারীদের তদন্ত ছাড়া শাস্তি নয়, অধ্যাদেশ সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন

রোহিঙ্গা নাগরিক মোস্তফা ‘পাচ্ছেন জুলাই শহীদের স্বীকৃতি’

কলাবাগানে ভাঙচুর-চাঁদাবাজি: বরখাস্ত ওসি ও এসআইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

ভোটের আগে টেলিকম নীতিমালা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে এবার গণপিটুনি, দুই সন্তানসহ নিহত হলেন নারী

কোনো সেনা সদস্য ‘গুমে’ জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা : সেনা সদর

স্থানীয় সরকার নির্বাচন: ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা প্রকাশ

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ ইস্যুতে ‘ঐকমত্য’

ছবি

বৃষ্টি ও ঝুঁকির কারণে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলল পানি উন্নয়ন বোর্ড

ছবি

পটিয়ার ঘটনায় ওসির স্থায়ী অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

ছবি

উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চেয়েছে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮

ছবি

৯ কোটি টাকার অনুদান, পিচিং নিয়ে নির্মাতাদের অভিযোগ

ছবি

তাভেল্লা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন, বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ চারজন খালাস

ছবি

জুলাই স্মৃতি উদযাপনে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল

ছবি

সংস্কার নিয়ে ৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ হয়নি: আলী রীয়াজ

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ব্যাপকতা ও প্রভাবের মুখে শহর: ঝুঁকি হ্রাসে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: রাষ্ট্রদূত

ছবি

সাবেক এমপি ও ক্রিকেট অধিনায়ক দুর্জয় গ্রেপ্তার

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর

‘দুর্নীতি করতে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া জটিল করা হয়’

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ৪১৬ জন

ভুয়া তথ্য ঠেকাতে জাতিসংঘের উদ্যোগ চান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

দালাই লামা জানালেন, পুরনো নিয়ম মেনে উত্তরসূরি ঠিক করবে ট্রাস্ট

tab

জাতীয়

সর্বপ্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদী রক্ষা করতে হবে

নদীর বিপন্নতার জন্য তিন কারণকে দায়ী করলেন আনু মুহাম্মদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বাংলাদেশের নদ-নদীর মরণদশার পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করে বলেছেন, উজানে দেয়া ভারতের বাঁধ, দেশের শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গ ও কোম্পানির দখল আর সরকারের নেয়া উন্নয়ন প্রকল্প এ তিন কারণে বাংলাদেশের নদ-–নদী ভয়ংকর বিপদের মধ্যে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস- ২০২৫ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, যদি নদী বাঁচাতে হয়, তাহলে নদী বিনাশী প্রকল্প বাতিল করতে হবে। নদী ধ্বংস করে কর্মসংস্থান হয় না। নদী নিজে কর্মসংস্থান তৈরি করে। এছাড়া দেশের মানুষের ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসুখ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ নদীগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে। নদী যে পরিবেশ তৈরি করে, যে পরিবেশগত ভারসাম্য তৈরি করে, যে জীববৈচিত্র রক্ষা করে, সেটি অন্যান্য প্রাণীর জন্য যেমন দরকার, তেমনি মানুষের জন্যও দরকার। অন্য প্রাণ যদি ভালো না থাকে, তাহলে মানুষও ভালো থাকবে না। সেজন্য সর্বপ্রাণের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী বিনাশী কোনও প্রকল্পই আমরা উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে পারি না।

তিনি বলেন, সাত মাস পার হয়েছে নতুন সরকার এসেছে। বিগত স্বৈরশাসনের যারা প্রধান ব্যক্তি ছিল, তারা বর্তমানে দেশে নেই, তারা পালিয়েছে, তারা পরাজিত। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ হবে আমরা শুনি। কিন্তু তার প্রতিফলন অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পাচ্ছি না। নদীর ক্ষেত্রে একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে নদীর যে বিপন্ন দশা, নদীর বিপদ মানে দেশের বিপদ। নদী যদি না থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলি বা স্বাধীন বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ বলি সবই অর্থহীন কথায় পরিণত হবে।

নদী ধ্বংস হওয়ার বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর বিপন্ন দশার কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভারত। ভারতের যেসব নদী আমাদের দেশের ওপর দিয়ে গেছে, সেগুলোতে তারা বাঁধ দিচ্ছে। এজন্য দেশের নদীগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তাই নদীকৃত্য দিবসে এ সরকারের প্রধান করণীয় হচ্ছে, জাতিসংঘের পানি আইনে অনুস্বাক্ষরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ত, সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প নদীর বিনাশ করছে। নদী দখলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনী জড়িয়েছে।

ধরার সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার গত সাত মাসেও

কমিশনে কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগ না দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে আনু মুহাম্মদ বলেন, এটা যারা করেছেন, তারা অপরাধ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা হয়তো বিষয়টি জানেন না। তার তিনটা ভিশনের একটা জিরো কার্বন। জিরো কার্বন মানে পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখা। নদী না থাকলে দূষণমুক্ত কীভাবে হবে।

মন্ত্রণালয়ে যারা বসে আছেন, তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন বলেন মুজিবুর রহমান। ৫ আগস্টের পরে নদী দখল অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে বলেন তিনি। নদী রক্ষায় নিয়োজিত সব সংগঠন মিলে ছায়া নদী রক্ষা কমিশন গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোশাহিদা সুলতানা, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের তোফাজ্জল সোহেল।

back to top