কর্মসূচি চলাকালে বন্ধ ছিল এনআইডিসহ সব ধরনের সেবাদান ১৯ মার্চ নতুন কর্মসূচি- ‘অপারেশনাল হল্ট’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন -সংবাদ
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ইসির কর্মীরা জানান, ঢাকার বাইরে সারাদেশে একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাতে এনআইডিসহ সব ধরনের সেবাদান বন্ধ থাকে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘এক দুই তিন চার, এনআইডির পিছু ছাড়’; ‘এনআইডি নয় রাজনৈতিক হাতিয়ার, এটি ইসির অধিকার’; ‘ইসির অধীনে এনআইডি, জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়া হয়। এসব স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে আগামী বুধবার তিন ঘণ্টা ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।’ তিনি জানান, আগামী ১৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি চলকালে এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ দুপুরে সংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হচ্ছে অতীতের মতো এখনো বলছি যে- এনআইডি কার্যক্রমটা ইসির অধীনে থাকতে হবে বা থাকা উচিত। এখন বাইরে যদি কোনো বিষয় ঘটে থাকে, তবে আমার কাছে বাড়তি তথ্য দেয়ার কিছু নেই।’
নিজেদের অবস্থানের ব্যাখ্যায় ইসি সচিব বলেন, ‘এই কারণে থাকা উচিত যে- এটা ২০০৭ সালে গড়ে উঠেছে আমাদের কাছে। আমাদের কারিগরি দক্ষতা আছে, আমরা এখান থেকে কাম্য সেবা দিচ্ছি।’
ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির বিষয়ে সচিব আখতার বলেন, ‘এনআইডি এখনও যায়নি, কাজেই ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা- সেটা এখনও প্রাসঙ্গিক নয়। এটি ইসির অধীনেই থাকবে, এটাই ইসির মনোভাব।’
উপজেলা ও জেলায় ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলায় একই কর্মসূচি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অফিসার ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে।
রক্তে গড়া এনআইডি কোথাও নিতে দিব না, ভোটার তালিকা ও এনআইডি এক সূত্রে গাঁথা বিভক্তি মানি না, ইসির অধীনে এনআইডি জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড ও ব্যানার নিয়ে তারা এ কর্মসূচি করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া বলেন, এনআইডি নিয়ে বারবার একেক সময় একেকরকম সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরি হয়। তারা এনআইডি নিয়ে টানা হেঁচড়া করে। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল, মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কমিশন তৈরি করে তাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি এবং এর অবস্থান সরকারকে উপস্থাপন করতে পারি। আমাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরবো। এনআইডি সেবা ইসি থেকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঠেকাতে আন্দোলনে নেমেছি। সরকার বিষয়টি বিবেচনার জন্য দাবি জানান। আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এহসান আহমদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আনোয়ার হোসেন, স্কেনিং অপারেটর মোকাররম হোসেন, আস্থা প্রকল্পের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বর্নালী আক্তার রিমা, জেলা সমন্বয়কারী লাবণ্য সরকারসহ অন্যা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁর আত্রাইয়েও একই কর্মসূচি হয়। আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তর এর কূট-পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি হয়।
আত্রাই উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে আত্রাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম, সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. রায়হান ও সৈয়দ শামীম হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি চলাকালে বন্ধ ছিল এনআইডিসহ সব ধরনের সেবাদান ১৯ মার্চ নতুন কর্মসূচি- ‘অপারেশনাল হল্ট’
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে রাখার দাবিতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ইসির কর্মীরা জানান, ঢাকার বাইরে সারাদেশে একই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাতে এনআইডিসহ সব ধরনের সেবাদান বন্ধ থাকে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘এক দুই তিন চার, এনআইডির পিছু ছাড়’; ‘এনআইডি নয় রাজনৈতিক হাতিয়ার, এটি ইসির অধিকার’; ‘ইসির অধীনে এনআইডি, জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়া হয়। এসব স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে আগামী বুধবার তিন ঘণ্টা ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি পালন করা হবে।’ তিনি জানান, আগামী ১৯ মার্চ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি চলকালে এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ দুপুরে সংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হচ্ছে অতীতের মতো এখনো বলছি যে- এনআইডি কার্যক্রমটা ইসির অধীনে থাকতে হবে বা থাকা উচিত। এখন বাইরে যদি কোনো বিষয় ঘটে থাকে, তবে আমার কাছে বাড়তি তথ্য দেয়ার কিছু নেই।’
নিজেদের অবস্থানের ব্যাখ্যায় ইসি সচিব বলেন, ‘এই কারণে থাকা উচিত যে- এটা ২০০৭ সালে গড়ে উঠেছে আমাদের কাছে। আমাদের কারিগরি দক্ষতা আছে, আমরা এখান থেকে কাম্য সেবা দিচ্ছি।’
ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচির বিষয়ে সচিব আখতার বলেন, ‘এনআইডি এখনও যায়নি, কাজেই ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা- সেটা এখনও প্রাসঙ্গিক নয়। এটি ইসির অধীনেই থাকবে, এটাই ইসির মনোভাব।’
উপজেলা ও জেলায় ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলায় একই কর্মসূচি করেন নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অফিসার ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করে।
রক্তে গড়া এনআইডি কোথাও নিতে দিব না, ভোটার তালিকা ও এনআইডি এক সূত্রে গাঁথা বিভক্তি মানি না, ইসির অধীনে এনআইডি জনগণের নিরাপত্তার গ্যারান্টি ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড ও ব্যানার নিয়ে তারা এ কর্মসূচি করেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া বলেন, এনআইডি নিয়ে বারবার একেক সময় একেকরকম সুবিধাভোগী শ্রেণী তৈরি হয়। তারা এনআইডি নিয়ে টানা হেঁচড়া করে। এর আগে একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল, মাঝে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এখন আবার নতুন কমিশন তৈরি করে তাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি এবং এর অবস্থান সরকারকে উপস্থাপন করতে পারি। আমাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরবো। এনআইডি সেবা ইসি থেকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঠেকাতে আন্দোলনে নেমেছি। সরকার বিষয়টি বিবেচনার জন্য দাবি জানান। আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এহসান আহমদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আনোয়ার হোসেন, স্কেনিং অপারেটর মোকাররম হোসেন, আস্থা প্রকল্পের যুগ্ম আহ্বায়ক স্বর্নালী আক্তার রিমা, জেলা সমন্বয়কারী লাবণ্য সরকারসহ অন্যা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁর আত্রাইয়েও একই কর্মসূচি হয়। আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তর এর কূট-পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি হয়।
আত্রাই উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে আত্রাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম, সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা ইমরান হোসেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. রায়হান ও সৈয়দ শামীম হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।