বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর কৃষি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেছেন, বিগত সরকারের সময় কৃষি খাতে লুট পাটের স্বর্গরাজ্যে ছিল। বর্তমানে সেই আওয়ামীপন্থি সরকারি কর্মকর্তারা কৃষি খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে তারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলমসহ একাধিক কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজ দপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অপসারণের দাবিসহ কৃষি উপদেষ্টা ও সচিবেরও সমালোচনা করেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব ছাড়া শীর্ষ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ উঠেছে গত ৫ আগস্টের পর সংগঠনটি দখল করেছেন কিছু কর্মকর্তা।
সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ বা প্রকাশ্যে কোনও কর্মকর্তার অপসারণের দাবি তোলা স্পষ্টতই শৃঙ্খলা লঙ্ঘন। এই ঘটনাকে কৃষিতে ‘অস্থিরতা’ তৈরির পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল। তিনি অভিযোগ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ‘নিয়মবহির্ভূতভাবে’ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই কর্মকর্তাদের বদলি করছে এবং এতে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। ডিএইর ডিজি অদক্ষতার সুযোগ নিয়ে ‘বিগত সরকারের মতো কৃষিবিদদের মধ্যে বিভাজন তৈরি’ করতে চাচ্ছেন। তাই ডিজিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
ডিএই’র এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে বদলির ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘এ বদলিতে আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর নিয়োগ-পদায়ন বাণিজ্য এবং খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ ছিল।
বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে উত্তেজনা তৈরি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বের হতে বাধা দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু ব্যক্তি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মুরাদুল হাসানের ২০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হুমকি দেন।
এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন
বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন যারা শনিবার সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজক।
দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বরখাস্ত হওয়া এই কর্মকর্তা সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নিতে গেলে চাপ সৃষ্টি লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘তারা সার্ভিস রুল অনুযায়ী করতে পারে না। সেখানে তাদের অ্যাসোসিয়েশনে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তাদের প্রতিষ্ঠানের যে আহ্বায়ক তিনি উপস্থিত ছিল না।’
‘আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবিহিত করবো,’ বলেও জানান তিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে একজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এখন অনৈতিক সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিরা তার পক্ষে নেমেছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এর কৃষি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেছেন, বিগত সরকারের সময় কৃষি খাতে লুট পাটের স্বর্গরাজ্যে ছিল। বর্তমানে সেই আওয়ামীপন্থি সরকারি কর্মকর্তারা কৃষি খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে তারা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলমসহ একাধিক কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে তারা নিজ দপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অপসারণের দাবিসহ কৃষি উপদেষ্টা ও সচিবেরও সমালোচনা করেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব ছাড়া শীর্ষ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগ উঠেছে গত ৫ আগস্টের পর সংগঠনটি দখল করেছেন কিছু কর্মকর্তা।
সরকারি চাকরির বিধি অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ বা প্রকাশ্যে কোনও কর্মকর্তার অপসারণের দাবি তোলা স্পষ্টতই শৃঙ্খলা লঙ্ঘন। এই ঘটনাকে কৃষিতে ‘অস্থিরতা’ তৈরির পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসচিব এবং ডিএই এর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মো. রেজাউল ইসলাম মুকুল। তিনি অভিযোগ করেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ‘নিয়মবহির্ভূতভাবে’ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই কর্মকর্তাদের বদলি করছে এবং এতে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ব্যাহত হচ্ছে। ডিএইর ডিজি অদক্ষতার সুযোগ নিয়ে ‘বিগত সরকারের মতো কৃষিবিদদের মধ্যে বিভাজন তৈরি’ করতে চাচ্ছেন। তাই ডিজিসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানান তারা।
ডিএই’র এর প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপ-পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশীদকে বদলির ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘এ বদলিতে আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রশীদকে মেহেরপুরের বারাদি হর্টিকালচার সেন্টারে উপপরিচালক পদে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। তার বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর নিয়োগ-পদায়ন বাণিজ্য এবং খামারবাড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ ছিল।
বদলির প্রজ্ঞাপন জারির পরপরই মাহবুবুর রশীদের অনুসারীরা খামারবাড়িতে উত্তেজনা তৈরি করেন। মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বের হতে বাধা দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ও বহিরাগত কিছু ব্যক্তি নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মুরাদুল হাসানের ২০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে হুমকি দেন।
এই কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন
বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন যারা শনিবার সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজক।
দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বরখাস্ত হওয়া এই কর্মকর্তা সম্প্রতি বদলি বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নিতে গেলে চাপ সৃষ্টি লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম সংবাদকে বলেন, ‘তারা সার্ভিস রুল অনুযায়ী করতে পারে না। সেখানে তাদের অ্যাসোসিয়েশনে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তাদের প্রতিষ্ঠানের যে আহ্বায়ক তিনি উপস্থিত ছিল না।’
‘আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবিহিত করবো,’ বলেও জানান তিনি।
সরকারি কর্মকর্তাদের এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে একজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এখন অনৈতিক সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিরা তার পক্ষে নেমেছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ ব্যবস্থা নেয়া হবে।