সাংবাদিকদের সামনে পিতার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ, পাশে ছোট ভাই -সংবাদ
আবরার ফাহাদ হত্যার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার ছোট ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। যত দ্রুত সম্ভব রায় বাস্তবায়ন করে এটিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা বলেছেন, ‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এ রায়ই তো শেষ নয়। এরপর হাইকোর্ট, আপিল বিভাগেও যেতে পারেন আসামিপক্ষ। আমরা চাই, এই রায় বহাল থাকুক। এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।’
হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। রবিবার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ের পর কুষ্টিয়া শহরের বাসভবনে এক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, ‘এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়।’ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না। সেই সঙ্গে দেশের সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে যেন এমন প্রাণঘাতী রাজনীতি না থাকে সেই অনুরোধ করছি।’
এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাইয়াজ । তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে পালিয়েছে। কিন্তু এমন একজন আসামি, যিনি আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ছয় মাস পরে কেন জানানো হলো, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’
আবরার ফাইয়াজ আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে এত বড় একটি রায় আসবে, গত এক বছর আগে এমনটি আমরা কল্পনা করতে পারিনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ’ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গে আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো কথা বলতে পারবে। কিন্তু আমরা চাই, যে পরিণতি আবরার ফাহাদের হয়েছে, সেটা যেন অন্য কাউকে বরণ করতে না হয়।’ বিষয়টি নিয়ে সরকার ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে ভূমিকা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো আবরারকে জীবন দিতে না হয়, সেই পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে র্যাগিংমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারেন।’ দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন বরকতউল্লাহ। আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সাংবাদিকদের সামনে পিতার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ, পাশে ছোট ভাই -সংবাদ
রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
আবরার ফাহাদ হত্যার রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার ছোট ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। যত দ্রুত সম্ভব রায় বাস্তবায়ন করে এটিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করার জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা বলেছেন, ‘আমি রায়ে সন্তুষ্ট। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এ রায়ই তো শেষ নয়। এরপর হাইকোর্ট, আপিল বিভাগেও যেতে পারেন আসামিপক্ষ। আমরা চাই, এই রায় বহাল থাকুক। এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।’
হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তার মা রোকেয়া খাতুন। রবিবার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ের পর কুষ্টিয়া শহরের বাসভবনে এক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, ‘এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়।’ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না। সেই সঙ্গে দেশের সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে যেন এমন প্রাণঘাতী রাজনীতি না থাকে সেই অনুরোধ করছি।’
এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাইয়াজ । তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে পালিয়েছে। কিন্তু এমন একজন আসামি, যিনি আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ছয় মাস পরে কেন জানানো হলো, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’
আবরার ফাইয়াজ আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে এত বড় একটি রায় আসবে, গত এক বছর আগে এমনটি আমরা কল্পনা করতে পারিনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ’ ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গে আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো কথা বলতে পারবে। কিন্তু আমরা চাই, যে পরিণতি আবরার ফাহাদের হয়েছে, সেটা যেন অন্য কাউকে বরণ করতে না হয়।’ বিষয়টি নিয়ে সরকার ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে ভূমিকা নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো আবরারকে জীবন দিতে না হয়, সেই পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে র্যাগিংমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারেন।’ দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন বরকতউল্লাহ। আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।