alt

জাতীয়

‘২৭ বছর ধরে পৌরসভার বাজার পরিদর্শক, কোটিপতি গিয়াস’

মাসুমুর রহমান মাসুদ, চান্দিনা (কুমিল্লা) : সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার বাজার পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনের সীমাহীন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পৌর মার্কেটের দোকান পরিবর্তন থেকে শুরু করে টানা ২২ বছর যাবৎ ২৮ দোকানের ভাড়া আত্মসাৎ করে বনে গেছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। রাজনৈতিক লোকদের ম্যানেজ করে চাকরির শুরু থেকে একই পৌরসভায় ২৭ বছর কর্মরত আছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চান্দিনা পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার শুরুতে যে ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে নিয়োগ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগে বাজার আদায়কারী হিসেবে চাকরি নেয় গিয়াস উদ্দিন। যখন যে রাজনৈতিক দলের নেতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তখন ওই সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠজন ও নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে বহাল তবিয়তে থাকেন। এছাড়া নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ‘মেয়র এর ডান হাত’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ওই পরিচয়ে চষে বেড়ান পৌরসভার প্রধান বাজারটি। বাজারের যত ব্যবসায়ী আছেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়, ২০-২৫ হাজার টাকায় বাজারের ফুটপাতে দোকান বসানো, পৌরসভার তোহা বাজারে কাপড় দোকান বসিয়ে টাকা আদায়, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার সর্বত্র তার নিয়ন্ত্রণে। বাইরের দোকানীরা কেউ তার কথা না শুনলে ক্ষমতা দেখিয়ে বাজার থেকে উঠিয়ে দেয় গিয়াস উদ্দিন। আবার সেই খালি জায়গায় নতুন দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করা পেশায় পরিণত হয়েছে তার।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালে চান্দিনা মধ্য বাজারের কাপড় পট্টিতে ৩তলা বিশিষ্ট ‘পৌর সুপার মার্কেট’ নির্মাণ করে চান্দিনা পৌরসভা। ওই মার্কেটে নিচতলায় ৩২টি, দ্বিতীয় তলায় ৩২টি ও তৃতীয় তলায় ৩১টি দোকান ঘর রয়েছে। শুরুতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দোকান বরাদ্দ দেয় পৌরকর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে ওই মার্কেটটি জমজমাট না থাকায় তৃতীয় তলার ৩১টি ও দ্বিতীয় তলার ৮টি দোকান ঘর বরাদ্দ হয়নি। যে কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ওইসব খালি দোকানগুলোকে নিজেদের গোডাউন

হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু ওইসব দোকান বরাদ্দ না হলেও অন্য ব্যবসায়ীরা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করায়, শুরু থেকে ভাড়া আদায় করে আসছেন পৌরসভায় কর্মরত বাজার আদায়কারী গিয়াস উদ্দিন। পরবর্তীতে ওই মার্কেটটি জমজমাট হওয়ায় বেড়ে গেছে প্রতিটি দোকান ঘরের গুরুত্ব। পৌরসভার আদায়কারী গিয়াস নিজে ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া আদায় করে আত্মসাৎ করার সুবাদে কখনও পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকান ঘর বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে পৌরদপ্তরে কখনও ফাইল নোট দেয়নি বলে জানান। ওই মার্কেটে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দোকান বরাদ্দ নিয়ে পরবর্তীতে ৩০-৪০ লাখ টাকায় হাত বদল করা হয়েছে অধিকাংশ দোকান। প্রতিটি দোকানের হাত বদলে ২-৩ লাখ টাকা বাগিয়ে নেন গিয়াস।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে চান্দিনা পৌরসভা মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দোকানগুলো যখন ফাঁকা ছিল তখন আমরা গিয়াস স্যারের সঙ্গে কথা বলে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। শুরুতে প্রতি দোকান ১ হাজার টাকা করে ভাড়া দেই, বর্তমানে দোকান প্রতি ৩ হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছি। তবে গিয়াস স্যার আমাদের বলে দিছেন যদি ভাড়ার কথা স্বীকার করি তাহলে নাকি বর্তমান বাজারদর হিসেবে পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৌরসভাকে ভাড়া দিতে হবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চান্দিনা বাজার ও চান্দিনা গরু বাজারের ইজারা বাতিল করে পৌর কর্তৃপক্ষ। ২ কোটি টাকার বাজারে প্রতি সপ্তাহে আদায় হয় ৩-৪ লাখ টাকা। ওই টাকা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছে গিয়াস।

পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, বাজারের দোকান-পাটের ভাড়া সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সাপ্তাহিক বাজারের টাকা কেউ ১ হাজার কেউ ২ হাজার পাই। কত টাকা আসে কাকে কত দেয় কিছুই জানায় না গিয়াস। আমরা কিছু জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তার সীমাহীন দুর্নীতির পরও সে বাজার আদায়কারী থেকে ৭ বছর আগে বাজার পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পায়। বর্তমানে কয়েক মাস যাবৎ পৃথক কক্ষ নিয়ে বসেন তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চান্দিনা পৌরসভার বাজার পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, এসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নাজিয়া হোসেন বলেন, ‘দোকান ঘর খালি থাকার বিষয়টি আমার জানা আছে, সেগুলো নতুনভাবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’

ছবি

এবারের হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৮২ হাজারের বেশি হাজি, মৃত্যু ৪৪ জনের

ছবি

চলতি বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ১৪ হাজার ছাড়াল, মৃত্যুর শীর্ষ জুনে

ছবি

শুল্ক আলোচনা: দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিষয় একমত

পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চায় নির্বাচন কমিশন

ছবি

বৃষ্টিপাত কমার আভাস, সরানো হলো সতর্ক সংকেত

ছবি

১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার

প্রধান উপদেষ্টার উপহারের আম গেলো ত্রিপুরা

৯৮৪টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ উত্তীর্ণ, ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে খসড়া অনুমোদন

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য ভিত্তিহীন: পিএসসি

নির্মাণাধীন ভবনে সাবেক সচিব, বিচারক ও কর্মকর্তার ফ্ল্যাট, অনুসন্ধানে দুদক

দেশে আবার ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

সরকারি নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরে ব্যাংক হিসাব ও শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

অর্থ আত্মসাৎ স্বাস্থ্যের সাবেক পরিচালকসহ ২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার

ছবি

প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে এসএসসিতে অদম্য লিতুন জিরার চমক

ডেঙ্গু: চলতি বছরে আক্রান্ত প্রায় ১৪ হাজার, মোট মৃত্যু ৫৪ জনের

ছবি

বিএসএফ সীমান্তরক্ষী নয়, একটি খুনি বাহিনী: নাহিদ

ছবি

মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ চা শ্রমিকের মৃত্যু, বাগানে শোকের ছায়া

শাপলা-দোয়েল বাদ, যুক্ত হচ্ছে বেগুন, লাউ, লিচু

আইসিসিতে বিচার দাবি অ্যামনেস্টির

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণে পানিবন্দী ৬৩,৮৬০ পরিবার, আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮ পরিবার, জনদুর্ভোগ চরমে

গণমাধ্যম সংস্কারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১২ নতুন সিদ্ধান্ত

আরপিও, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইন সংশোধনসহ এক গুচ্ছ সুপারিশ নিয়ে ইসির বৈঠক

পাসের হারে শীর্ষে রাজশাহী, পিছিয়ে বরিশাল বোর্ড

মার্কিন শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা আজ শেষ হচ্ছে, প্রথম দিনের আলোচনায় ‘বেশিরভাগ ইস্যুতে ঐকমত্য’

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সন্তুষ্ট বিএনপি

ছবি

১৫ বছর পর এসএসসি ও সমমানের ফলে ছন্দপতন, ১৯ লাখ পরীক্ষার্থীর ছয় লাখই ফেল

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিচার শুরু, দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

১৮ জুলাই গ্রাহকদের ১ জিবি ফ্রি ডেটা দিতে নির্দেশনা জারি করেছে বিটিআরসি

ছবি

শহীদ ও আহতদের জন্য আলাদা দুটি ফ্ল্যাট প্রকল্প একনেকে যাচ্ছে

ছবি

জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী ঐচ্ছিক প্রোটোকলসহ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

মাধ্যমিকে পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রগতি, কিন্তু এখন মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য জরুরি: আলী রীয়াজ

tab

জাতীয়

‘২৭ বছর ধরে পৌরসভার বাজার পরিদর্শক, কোটিপতি গিয়াস’

মাসুমুর রহমান মাসুদ, চান্দিনা (কুমিল্লা)

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার বাজার পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনের সীমাহীন দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পৌর মার্কেটের দোকান পরিবর্তন থেকে শুরু করে টানা ২২ বছর যাবৎ ২৮ দোকানের ভাড়া আত্মসাৎ করে বনে গেছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক। রাজনৈতিক লোকদের ম্যানেজ করে চাকরির শুরু থেকে একই পৌরসভায় ২৭ বছর কর্মরত আছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চান্দিনা পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার শুরুতে যে ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে নিয়োগ দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ ওই নিয়োগে বাজার আদায়কারী হিসেবে চাকরি নেয় গিয়াস উদ্দিন। যখন যে রাজনৈতিক দলের নেতা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তখন ওই সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠজন ও নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে বহাল তবিয়তে থাকেন। এছাড়া নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ‘মেয়র এর ডান হাত’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ওই পরিচয়ে চষে বেড়ান পৌরসভার প্রধান বাজারটি। বাজারের যত ব্যবসায়ী আছেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়, ২০-২৫ হাজার টাকায় বাজারের ফুটপাতে দোকান বসানো, পৌরসভার তোহা বাজারে কাপড় দোকান বসিয়ে টাকা আদায়, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার সর্বত্র তার নিয়ন্ত্রণে। বাইরের দোকানীরা কেউ তার কথা না শুনলে ক্ষমতা দেখিয়ে বাজার থেকে উঠিয়ে দেয় গিয়াস উদ্দিন। আবার সেই খালি জায়গায় নতুন দোকান বসিয়ে টাকা আদায় করা পেশায় পরিণত হয়েছে তার।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ সালে চান্দিনা মধ্য বাজারের কাপড় পট্টিতে ৩তলা বিশিষ্ট ‘পৌর সুপার মার্কেট’ নির্মাণ করে চান্দিনা পৌরসভা। ওই মার্কেটে নিচতলায় ৩২টি, দ্বিতীয় তলায় ৩২টি ও তৃতীয় তলায় ৩১টি দোকান ঘর রয়েছে। শুরুতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দোকান বরাদ্দ দেয় পৌরকর্তৃপক্ষ। সেই সময়ে ওই মার্কেটটি জমজমাট না থাকায় তৃতীয় তলার ৩১টি ও দ্বিতীয় তলার ৮টি দোকান ঘর বরাদ্দ হয়নি। যে কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ওইসব খালি দোকানগুলোকে নিজেদের গোডাউন

হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু ওইসব দোকান বরাদ্দ না হলেও অন্য ব্যবসায়ীরা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করায়, শুরু থেকে ভাড়া আদায় করে আসছেন পৌরসভায় কর্মরত বাজার আদায়কারী গিয়াস উদ্দিন। পরবর্তীতে ওই মার্কেটটি জমজমাট হওয়ায় বেড়ে গেছে প্রতিটি দোকান ঘরের গুরুত্ব। পৌরসভার আদায়কারী গিয়াস নিজে ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া আদায় করে আত্মসাৎ করার সুবাদে কখনও পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকান ঘর বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে পৌরদপ্তরে কখনও ফাইল নোট দেয়নি বলে জানান। ওই মার্কেটে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দোকান বরাদ্দ নিয়ে পরবর্তীতে ৩০-৪০ লাখ টাকায় হাত বদল করা হয়েছে অধিকাংশ দোকান। প্রতিটি দোকানের হাত বদলে ২-৩ লাখ টাকা বাগিয়ে নেন গিয়াস।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে চান্দিনা পৌরসভা মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দোকানগুলো যখন ফাঁকা ছিল তখন আমরা গিয়াস স্যারের সঙ্গে কথা বলে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। শুরুতে প্রতি দোকান ১ হাজার টাকা করে ভাড়া দেই, বর্তমানে দোকান প্রতি ৩ হাজার টাকা ভাড়া দিচ্ছি। তবে গিয়াস স্যার আমাদের বলে দিছেন যদি ভাড়ার কথা স্বীকার করি তাহলে নাকি বর্তমান বাজারদর হিসেবে পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত পৌরসভাকে ভাড়া দিতে হবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চান্দিনা বাজার ও চান্দিনা গরু বাজারের ইজারা বাতিল করে পৌর কর্তৃপক্ষ। ২ কোটি টাকার বাজারে প্রতি সপ্তাহে আদায় হয় ৩-৪ লাখ টাকা। ওই টাকা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করেছে গিয়াস।

পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি জানান, বাজারের দোকান-পাটের ভাড়া সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। সাপ্তাহিক বাজারের টাকা কেউ ১ হাজার কেউ ২ হাজার পাই। কত টাকা আসে কাকে কত দেয় কিছুই জানায় না গিয়াস। আমরা কিছু জানতে চাইলে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তার সীমাহীন দুর্নীতির পরও সে বাজার আদায়কারী থেকে ৭ বছর আগে বাজার পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পায়। বর্তমানে কয়েক মাস যাবৎ পৃথক কক্ষ নিয়ে বসেন তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চান্দিনা পৌরসভার বাজার পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, এসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।

চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক নাজিয়া হোসেন বলেন, ‘দোকান ঘর খালি থাকার বিষয়টি আমার জানা আছে, সেগুলো নতুনভাবে বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।’

back to top