রাজধানীর একটি কারখানায় এভাবেই চলছে সেমাই তৈরি -সংগৃহীত
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানায় ভেজাল সেমাই ও নুডুলস তৈরি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের মোবাইল কোর্ট কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সেমাই উদ্ধার করেছে।
কারখানা থেকে তিন উৎপানকারীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ভেজালকারী তিনজনের এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। র্যাবের মিডিয়া শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক খান আসিফ তপু এই সব তথ্য জানিয়েছেন। র্যাব সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানের ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে সেমাই ও নুডুলস উৎপাদন, বিক্রয় ও সংরক্ষণ করছে।
এই সব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব-২ একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর মঙ্গলবার সকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত র্যাব-২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান কামরাঙ্গীরচরে ২টি সেমাই উৎপাদনের কারখানা এবং কেরানীগঞ্জে ১টি নুডুলস উৎপাদনের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে।
সেখান থেকে মিতালি ট্রেডার্সের মনির হোসেন, নাসির ট্রেডার্সের আব্দুর রহমান আকাশ প্রিমিয়াম ড্রাগন নুডুলস কারখানার মালিক আমিনুল ইসলামকে হাতেনাতে কারখানা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ভ্রাম্যমান আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মনিরকে বিশ হাজার টাকা, আকাশকে ৫০ হাজার টাকা ও আমিনুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে সেমাই ও নুডুলস কারখানার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় র্যাব-২ ভ্রাম্যমান আদালত। ভবিষ্যতে র্যাব-২ এই ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেজাল সেমাই ও নুডুলস খেলে পেটের পিড়া, ডায়রিয়া ও জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে সেমাই ও নুডুলসে যে রং মিশানো হয়। তা থেকে লিভার ও কিডনীতে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য প্রতি বছর রমজানের ঈদের আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সেমাইসহ অন্যান্য ঈদ সামগ্রী তৈরী করে পুরান ঢাকার, চক মৌলভী বাজারে পাকারি দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে। পরে এ সব সেমাই নদী ও সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গ্রাম-গঞ্জের বাজারে নিয়ে বিক্রি করে। এর আগেও বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ভেজাল সেমাইসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার ও জরিমানা করেছে। র্যাবের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
রাজধানীর একটি কারখানায় এভাবেই চলছে সেমাই তৈরি -সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানায় ভেজাল সেমাই ও নুডুলস তৈরি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের মোবাইল কোর্ট কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সেমাই উদ্ধার করেছে।
কারখানা থেকে তিন উৎপানকারীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ভেজালকারী তিনজনের এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। র্যাবের মিডিয়া শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক খান আসিফ তপু এই সব তথ্য জানিয়েছেন। র্যাব সদর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানের ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি লাভের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে সেমাই ও নুডুলস উৎপাদন, বিক্রয় ও সংরক্ষণ করছে।
এই সব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র্যাব-২ একটি বিশেষ অভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরপর মঙ্গলবার সকাল সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত র্যাব-২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসান কামরাঙ্গীরচরে ২টি সেমাই উৎপাদনের কারখানা এবং কেরানীগঞ্জে ১টি নুডুলস উৎপাদনের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে।
সেখান থেকে মিতালি ট্রেডার্সের মনির হোসেন, নাসির ট্রেডার্সের আব্দুর রহমান আকাশ প্রিমিয়াম ড্রাগন নুডুলস কারখানার মালিক আমিনুল ইসলামকে হাতেনাতে কারখানা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ভ্রাম্যমান আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মনিরকে বিশ হাজার টাকা, আকাশকে ৫০ হাজার টাকা ও আমিনুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে সেমাই ও নুডুলস কারখানার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় র্যাব-২ ভ্রাম্যমান আদালত। ভবিষ্যতে র্যাব-২ এই ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেজাল সেমাই ও নুডুলস খেলে পেটের পিড়া, ডায়রিয়া ও জন্ডিস হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে সেমাই ও নুডুলসে যে রং মিশানো হয়। তা থেকে লিভার ও কিডনীতে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য প্রতি বছর রমজানের ঈদের আগে অসাধু ব্যবসায়ীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল সেমাইসহ অন্যান্য ঈদ সামগ্রী তৈরী করে পুরান ঢাকার, চক মৌলভী বাজারে পাকারি দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে। পরে এ সব সেমাই নদী ও সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে গ্রাম-গঞ্জের বাজারে নিয়ে বিক্রি করে। এর আগেও বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ভেজাল সেমাইসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার ও জরিমানা করেছে। র্যাবের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।