alt

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ ও আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

শুক্রবার রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আওয়ামী লীগবিরোধী বিক্ষোভ -সংবাদ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায়। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধান উপদেষ্টার সে বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রচারের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন। এছাড়াও শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ-এর প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার বিকেলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে এসব মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতের বিক্ষোভে ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য, প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘বিচার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’, ‘সাইদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে’সহ নানা স্লোগান দেয়া হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। তার আশপাশে নানা লোক বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করছে, বিভিন্ন ‘এজেন্সি’ বাধা তৈরি করছে।

বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি আমরা মেনে নেব না।’

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশে তারা বলেন, ‘অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না।’

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। জনগণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নয় ছাত্রসমাজ থাকবে। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিব না।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের নেমে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ একই দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় মিছিল করে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়েরের নেতৃত্বে দুটি মিছিল রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখান থেকেই আসে এই নতুন প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের চামড়া তুলে নিবো আমরা’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই, গড়িমসি চলবে না ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দিব না। ভালো আর খারাপ আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী লীগ মানেই কসাই, গণহত্যাকারী, খুনি।’

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাবেক সহ-সমন্বয়ক সালমান শাহেদ বলেন, ‘আমরা জান দিব জুলাই দেব না, জীবন দেব তবুও শহীদদের সঙ্গে বেইমানি মেনে নেব না। জুলাইয়ে কেউ কেউ যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোস করতে আসে তখন আমরা শহীদের সঙ্গে থেকেছি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না বলে আন্দোলন জারি রেখেছি। আমরা হাসিনার পতন ঘটিয়েছি যতদিন অবধি প্রতিশোধ নেয়া না হয় যতদিন হাসিনার ফাঁসি না হয় আমরা বিশ্রাম নেব না’।

চট্টগ্রামে সমাবেশ

শুক্রবার দুপুরে বন্দর নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তৃতায় আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানো হলে ‘লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় যদি বিলম্ব করা হয়, তাহলে আবারও জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বাংলাদেশে। ৫ আগস্টে লাখো ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। প্রিয় সহযোদ্ধা, আবারও দেখা হবে রাজপথে। আমাদের এ যাত্রা কঠিন হবে। আমরা লড়ে যাব আমৃত্যু।’

সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগকে পতনের মধ্য দিয়ে আমরা আপনাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছি। কোনো সুশীলতা দেখাতে নয়। আপনি যতটা না দেরি করছেন আওয়ামী লীগকে বিচার নিশ্চিত করতে, তার চেয়ে তাড়াতাড়ি করছেন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য আপনাদের বসানো হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনাদের বসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি কোনোভাবে রাজনীতিতে আসতে দেয়া হয় তাহলে লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সাত মাস পেরিয়ে গেল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। অধিকন্তু এ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা জীবন দিয়েছি, ভাইদের হারিয়েছি। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাব যতদিন পর্যন্ত এ রাষ্ট্রে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে না’

রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতি করার ‘সুযোগ দানের অপচেষ্টার’ প্রতিবাদে এবং শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচার করে ‘দ্রুত শাস্তি দানের’ দাবিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে।

এর আগে বেরোবির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমত আলী আশিকুর রহমান, শামসুর রহমান সুমন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “আবারও ‘খুনি হাসিনা’ ও তার দল আওয়ামী লীগকে ‘রাজনীতি করার সুযোগ’ দেয়ার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এ জন্য বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ ২ হাজার মানুষ জীবন দেয় নাই, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অন্ধত্ব আর পঙ্গুত্ববরণ করে নাই। আগে শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচার করে দ্রুত শাস্তি দেখতে চায় দেশের মানুষ। তাদের কোনোভাবে পুনর্বাসিত করতে দেয়া হবে না। সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।”

কুমিল্লায় বিক্ষোভ

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি’ এবং সকল অপশক্তিকে রুখতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বাদ জুমা কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন ছাতা মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ছাত্র-জনতা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করে।

এ ময় বিক্ষোভকারীরা- ‘তুমি কে, আমি কে, হাসনাত হাসনাত,’ ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ক্ষমতা না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আওয়ামী লীগের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা ও মহানগরীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

রাজধানীতে হিযবুত তাহরীরের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৮

রায়পুরায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত

ছবি

মরিচের বাম্পার ফলনেও হতাশ ফুলবাড়ীর কৃষকরা

ছবি

বেইজিং ঘোষণা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান

ছবি

আবেগ দিয়ে জনগণের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়: ফখরুল

ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু

হিমালয়ে বরফ গলা বাড়ছে: ‘ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশ

ছবি

আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম, মুরগিও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা

জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী

গুলশানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল

ম্যাগনেটিক কয়েন : অভিনব প্রতারণা কৌশল

‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ ‘পুনর্বাসন প্রস্তাব’ নিয়ে ফেইসবুকে হাসনাত, আসিফ, নাসীরুদ্দীনের পোস্ট

ছবি

ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা, ৩৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি

হুমকির মুখে সুন্দরবনের বনজসম্পদ

দেশে ফিরতে তারেক রহমানের বাধা নেই

৩ মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচার শেষ করার দাবি নাহিদের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমাধ্যমিক শ্রেণীর কার্যক্রম বন্ধ

সুখী দেশের তালিকায় আরও ৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

যুগ্ম সচিব পদে ১৯৪ জনের পদোন্নতি

সংস্কার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরও ফিরতে পারে ‘ফ্যাসিবাদ’: আলী রীয়াজ

‘আত্মসাৎ-প্রতারণা’: পুতুলের বিরুদ্ধে দুদকের আরও দুই মামলা

ছবি

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘খুবই ভালো’, চীনের সঙ্গেও ‘অনেক গভীর’ হবে: প্রেস সচিব

ধর্ষণের অভিযোগ, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ৪ কিশোরী, গ্রেপ্তার ৩

সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা: এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

তনু হত্যা মামলা: ৯ বছরেও অগ্রগতি নেই

বসুন্ধরার সাব্বির হত্যা: ঘুষের মামলায় তারেক, বাবরসহ সবাই খালাস

ছবি

কেউ কেউ ‘নৈতিক খবরদারির’ দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের মোকাবিলা করতে হবে: দেবপ্রিয়

ঈদে টানা ৯ দিনের ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে জোর জামায়াতের, মতামত ঐকমত্য কমিশনে

সংস্কারের ৪২ প্রস্তাবে আপত্তি এলডিপির, কোনগুলো তা জানাবেন না অলি

ছবি

বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ড

ছবি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নিন্দা, নিরাপত্তা পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে বাধা আসছে ভেতর-বাইরে থেকে: আলী রীয়াজ

ছবি

বৈসাবি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল তিন পার্বত্য জেলায় ছুটি ঘোষণা

ছবি

সুখী দেশের তালিকায় আরও পিছিয়ে বাংলাদেশ

tab

জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিবাদ ও আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার রাজধানীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আওয়ামী লীগবিরোধী বিক্ষোভ -সংবাদ

শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায়। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রধান উপদেষ্টার সে বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রচারের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেন। এছাড়াও শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ-এর প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার বিকেলে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহার এবং গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে এসব মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করেন একদল শিক্ষার্থী। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর ঘুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। সেখানে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতের বিক্ষোভে ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য, প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘বিচার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’, ‘সাইদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে’সহ নানা স্লোগান দেয়া হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জোবায়ের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। তার আশপাশে নানা লোক বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি করছে, বিভিন্ন ‘এজেন্সি’ বাধা তৈরি করছে।

বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত, ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি আমরা মেনে নেব না।’

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশে তারা বলেন, ‘অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হবে না।’

সমাবেশে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। জনগণ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, নয় ছাত্রসমাজ থাকবে। আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিব না।’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচার দাবিতে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের নেমে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ একই দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় মিছিল করে রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়েরের নেতৃত্বে দুটি মিছিল রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সেখান থেকেই আসে এই নতুন প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের চামড়া তুলে নিবো আমরা’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই, গড়িমসি চলবে না ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দিব না। ভালো আর খারাপ আওয়ামী লীগ নাই। আওয়ামী লীগ মানেই কসাই, গণহত্যাকারী, খুনি।’

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাবেক সহ-সমন্বয়ক সালমান শাহেদ বলেন, ‘আমরা জান দিব জুলাই দেব না, জীবন দেব তবুও শহীদদের সঙ্গে বেইমানি মেনে নেব না। জুলাইয়ে কেউ কেউ যখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপোস করতে আসে তখন আমরা শহীদের সঙ্গে থেকেছি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না বলে আন্দোলন জারি রেখেছি। আমরা হাসিনার পতন ঘটিয়েছি যতদিন অবধি প্রতিশোধ নেয়া না হয় যতদিন হাসিনার ফাঁসি না হয় আমরা বিশ্রাম নেব না’।

চট্টগ্রামে সমাবেশ

শুক্রবার দুপুরে বন্দর নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তৃতায় আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফেরানো হলে ‘লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণায় যদি বিলম্ব করা হয়, তাহলে আবারও জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বাংলাদেশে। ৫ আগস্টে লাখো ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না। প্রিয় সহযোদ্ধা, আবারও দেখা হবে রাজপথে। আমাদের এ যাত্রা কঠিন হবে। আমরা লড়ে যাব আমৃত্যু।’

সমাবেশে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগকে পতনের মধ্য দিয়ে আমরা আপনাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছি। কোনো সুশীলতা দেখাতে নয়। আপনি যতটা না দেরি করছেন আওয়ামী লীগকে বিচার নিশ্চিত করতে, তার চেয়ে তাড়াতাড়ি করছেন আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য আপনাদের বসানো হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনাদের বসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি কোনোভাবে রাজনীতিতে আসতে দেয়া হয় তাহলে লাশের ওপর দিয়ে যেতে হবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, ‘সাত মাস পেরিয়ে গেল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। অধিকন্তু এ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা জীবন দিয়েছি, ভাইদের হারিয়েছি। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা ততদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাব যতদিন পর্যন্ত এ রাষ্ট্রে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে না’

রংপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতি করার ‘সুযোগ দানের অপচেষ্টার’ প্রতিবাদে এবং শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচার করে ‘দ্রুত শাস্তি দানের’ দাবিতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে।

এর আগে বেরোবির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রহমত আলী আশিকুর রহমান, শামসুর রহমান সুমন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “আবারও ‘খুনি হাসিনা’ ও তার দল আওয়ামী লীগকে ‘রাজনীতি করার সুযোগ’ দেয়ার যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এ জন্য বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদসহ ২ হাজার মানুষ জীবন দেয় নাই, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা অন্ধত্ব আর পঙ্গুত্ববরণ করে নাই। আগে শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের বিচার করে দ্রুত শাস্তি দেখতে চায় দেশের মানুষ। তাদের কোনোভাবে পুনর্বাসিত করতে দেয়া হবে না। সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।”

কুমিল্লায় বিক্ষোভ

‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি’ এবং সকল অপশক্তিকে রুখতে কুমিল্লায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বাদ জুমা কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন ছাতা মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে ছাত্র-জনতা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করে।

এ ময় বিক্ষোভকারীরা- ‘তুমি কে, আমি কে, হাসনাত হাসনাত,’ ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ক্ষমতা না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ,’ ‘আওয়ামী লীগের দালালরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে থাকে। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা ও মহানগরীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

back to top