রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি ও চালের দোকান -সংবাদ
নিত্যপণ্যের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে খুচরায় মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৬ থেকে ৯৬ টাকায়। আর বিআর আটাশ জাতের চাল কেজিতে ২ থেকে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকায়। খুচরা বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল, কেজি ৯৬ টাকা। এছাড়া দাদা ও মনজুর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা মিলারদের বরাত দিয়ে বলছেন, যে ধান থেকে মিনিকেট চাল উৎপাদন হয়, সেই ধানের মজুদ শেষের দিকে, তাই মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেটের প্রভাবে মাঝারি মানের বিআর আটাশের দামও বেড়েছে। আর স্বর্ণা জাতের মোটা চাল আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কেজি ৫৬ টাকায়।
দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা মুনসুর আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘এইটা বইলাও লাভ নাই, আর শুইনাও লাভ নাই। মিনিকেট চাল কেজি ১০০ টাকা যাইবো। মিলাররা বলে ধান নাই। তাহলে ধান গেচে কৈ?’ আপনি কত দরে বিক্রি করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনজুরের চাল আছে, বিক্রি করছি ৮৬ টাকা। আর মোজাম্মেল (ব্র্যান্ডের মিনিকেট) আনছেই কেজি ৯৪ টাকা।’
কে আনছে? জানতে চাইলে তিনি হাত ইশারায় বিপরীত পাশের চাল ব্যবসায়ীকে দেখিয়ে বলেন, ‘ঐ মুরুব্বি আনছে। আমি আনি নাই, আমি বেচতাম না।’
মুনসুর আহমেদের হাত ইশরায় দেখানো চাল ব্যবসায়ীর কাছে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের চালের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘২৫ কেজির এক বস্তা (মোজাম্মেল মিনিকেট চাল) ২৪০০শ টাকা। কেজি ৯৬ টাকা।’ চাল কেনার রসিদ বের করে দেখিয়ে এই খুচরা বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া খান সংবাদকে বলেন, ‘এই দেখেন, আমার ২৫ কেজির বস্তা কচুখেতে কিনতেই পড়েছে ২৩০০ টাকা। আনতে ভাড়া গেছে, এছাড়া আরও খরচ আছে।’
এবার রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ধলা মিয়ার সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘কী কমু,
বাজারে যে টাকা নিয়া আসি, যাওয়ার সময় ভাড়ার টাকাটাই থাকে না। সব বাড়ছে! কমতির কোনো কথা নাই।’
‘বাংলাদেশটা ইয়া নাফসি ইয়া নাফসির ওপর আছে। যে যার কাছে যে ভাবে পারছে, (পণ্যের দাম) নিচ্ছে,’ বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায়।
এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপর। এরমধ্যে বাজারভেদে লম্বা বেগুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গোলাপি রঙের গোল বেগুন ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ১০০ আর সাজনা বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এছাড়া বাজারভেদে শিম-চিচিঙ্গা-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আর শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আকারভেদে ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর জালি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারঘুরে এবং বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
চাল-মুরগির দাম বাড়ায় ক্রেতাদের অস্বস্তি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, চট্টগ্রামে চালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির দামও। তবে শাকসবজি, মাছ-মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর রিয়াজউদ্দিন কর্ণফুলী ও কয়েকটি বাজার ঘুরে ভোগ্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। দাম স্থিতিশীল আছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে চালের দাম বৃদ্ধি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ, জিরাশাইল সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ ও সিদ্ধ- এ চার ধরনের চাল প্রতি ২৫ কেজির বস্তা চট্টগ্রামে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে অন্তঃত ৫০ টাকা। তবে নিম্নমানের ও সাধারণ মানের চালের দাম বাড়েনি।
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ শাফায়াতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যবিত্তদের চাহিদা বেশি এমন চালের মধ্যে রজনী আতপ পাইজাম চালের দাম ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা সেই চালের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকায়।
শাফায়াত বলেন, ছয় মাস ধরে প্রতি ১৫ দিন পর পর রজনী চালের দাম ৪০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। ছয় মাস পর এখন ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা কী সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে বাড়ছে, না কি মজুত করে রাখার কারণে বাড়ছে, আমরা জানি না। অবশ্য এটা দেশি চাল না, বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল।
একই বাজারের জব্বার ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ জব্বার আলী বলেন, দাম বাড়ছে নাজিরশাইল, জিরাশাইল, কাটারিভোগ আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ- এই চার-পাঁচ আইটেমের। নিম্নমানের সাধারণ চাল যেগুলো, সেগুলোর দাম বাড়ছে না। ইন্ডিয়া থেকে যে চালগুলো এসেছে, সেগুলোর দাম একটু কম আছে। দেশি চালের দাম বেশি বেড়েছে।
বাজারে ২৫ কেজির বস্তা নাজিরশাইল সিদ্ধ (মজুমদার ব্র্যান্ড) ২ হাজার ২০০ টাকা, ভারতীয় নাজিরশাইল (হোয়াইট গোল্ড) ২ হাজার ৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ২৫ কেজির বস্তা কাটারিভোগ আতপ ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানের পাইজাম আতপ ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।
নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ের রাজীব স্টোরের মালিক রিপু নাথ জানিয়েছেন, এসব চাল বস্তাপ্রতি এক সপ্তাহে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কর্ণফুলী বাজারে প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজির দেউড়ি বাজারে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা। সোনালী মুরগি গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া হাঁড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, কলিজা ৫৫০ টাকা ও হাঁড়বিহীন ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি বাজারে চলতি সপ্তাহে এলাচের দাম প্রতিকেজিতে অন্তঃত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এলাচ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে এলাচের কোনও ধরনের উৎপাদন হয় না। মূলত গুয়াতেমালা ও ভারত থেকে এলাচ আমদানি করে চাহিদার যোগান দেয়া হয়। বছরের শুরু থেকেই দেশ দুটিতে এলাচির উৎপাদন কমায় বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তি। এর প্রভাবে দেশেও এটির দাম বেড়েছে।
তবে গরম মশলার মধ্যে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে জানিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ শাফায়াত বলেন, লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিকন জিরা ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। এগুলোর দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র এলাচের দাম বাড়তি।
অন্যদিকে শীতকালীন সবজির চাহিদা কমে গেছে। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামে তেমন হেরফের হয়নি। অন্যদিকে লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, পটল-ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে এতদিন বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে রুই মাছ ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০ থেকে ৪৪০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট-বড় চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, চাষের ও দেশি কৈ মাছ ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের ও দেশি শিং মাছ ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিতল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সরপুঁটি মাছ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মুরগি ও চালের দোকান -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
নিত্যপণ্যের বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে খুচরায় মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৬ থেকে ৯৬ টাকায়। আর বিআর আটাশ জাতের চাল কেজিতে ২ থেকে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকায়। খুচরা বাজারে সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল, কেজি ৯৬ টাকা। এছাড়া দাদা ও মনজুর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা মিলারদের বরাত দিয়ে বলছেন, যে ধান থেকে মিনিকেট চাল উৎপাদন হয়, সেই ধানের মজুদ শেষের দিকে, তাই মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে। মিনিকেটের প্রভাবে মাঝারি মানের বিআর আটাশের দামও বেড়েছে। আর স্বর্ণা জাতের মোটা চাল আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কেজি ৫৬ টাকায়।
দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা মুনসুর আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘এইটা বইলাও লাভ নাই, আর শুইনাও লাভ নাই। মিনিকেট চাল কেজি ১০০ টাকা যাইবো। মিলাররা বলে ধান নাই। তাহলে ধান গেচে কৈ?’ আপনি কত দরে বিক্রি করছেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনজুরের চাল আছে, বিক্রি করছি ৮৬ টাকা। আর মোজাম্মেল (ব্র্যান্ডের মিনিকেট) আনছেই কেজি ৯৪ টাকা।’
কে আনছে? জানতে চাইলে তিনি হাত ইশারায় বিপরীত পাশের চাল ব্যবসায়ীকে দেখিয়ে বলেন, ‘ঐ মুরুব্বি আনছে। আমি আনি নাই, আমি বেচতাম না।’
মুনসুর আহমেদের হাত ইশরায় দেখানো চাল ব্যবসায়ীর কাছে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের চালের দাম জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘২৫ কেজির এক বস্তা (মোজাম্মেল মিনিকেট চাল) ২৪০০শ টাকা। কেজি ৯৬ টাকা।’ চাল কেনার রসিদ বের করে দেখিয়ে এই খুচরা বিক্রেতা বাচ্চু মিয়া খান সংবাদকে বলেন, ‘এই দেখেন, আমার ২৫ কেজির বস্তা কচুখেতে কিনতেই পড়েছে ২৩০০ টাকা। আনতে ভাড়া গেছে, এছাড়া আরও খরচ আছে।’
এবার রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচা বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী ধলা মিয়ার সঙ্গে। সংবাদকে তিনি বলেন, ‘কী কমু,
বাজারে যে টাকা নিয়া আসি, যাওয়ার সময় ভাড়ার টাকাটাই থাকে না। সব বাড়ছে! কমতির কোনো কথা নাই।’
‘বাংলাদেশটা ইয়া নাফসি ইয়া নাফসির ওপর আছে। যে যার কাছে যে ভাবে পারছে, (পণ্যের দাম) নিচ্ছে,’ বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায়।
এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ টাকায়।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপর। এরমধ্যে বাজারভেদে লম্বা বেগুন কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গোলাপি রঙের গোল বেগুন ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১১০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটোল ৮০ থেকে ১০০ আর সাজনা বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
এছাড়া বাজারভেদে শিম-চিচিঙ্গা-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আর শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আকারভেদে ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর জালি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা আর কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারঘুরে এবং বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।
চাল-মুরগির দাম বাড়ায় ক্রেতাদের অস্বস্তি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, চট্টগ্রামে চালের দাম বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির দামও। তবে শাকসবজি, মাছ-মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর রিয়াজউদ্দিন কর্ণফুলী ও কয়েকটি বাজার ঘুরে ভোগ্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়েছে। বাজারে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা, দুই লিটার বোতল ৩৪৮ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা, সরিষার তেল খোলা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। দাম স্থিতিশীল আছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না রসুন প্রতি কেজি ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা এবং চায়না আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য মুদিপণ্যের মধ্যে ছোট মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, বুটের ডাল ১২০ টাকা, মাষকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা, ডাবলি ৬০ টাকা, ছোলা ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১২০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে চালের দাম বৃদ্ধি রয়েছে। ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ, জিরাশাইল সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ ও সিদ্ধ- এ চার ধরনের চাল প্রতি ২৫ কেজির বস্তা চট্টগ্রামে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে অন্তঃত ৫০ টাকা। তবে নিম্নমানের ও সাধারণ মানের চালের দাম বাড়েনি।
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ শাফায়াতের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মধ্যবিত্তদের চাহিদা বেশি এমন চালের মধ্যে রজনী আতপ পাইজাম চালের দাম ছয় মাস আগে ছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তা সেই চালের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকায়।
শাফায়াত বলেন, ছয় মাস ধরে প্রতি ১৫ দিন পর পর রজনী চালের দাম ৪০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। ছয় মাস পর এখন ৫০ কেজি চালের বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা কী সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে বাড়ছে, না কি মজুত করে রাখার কারণে বাড়ছে, আমরা জানি না। অবশ্য এটা দেশি চাল না, বিদেশ থেকে আমদানি করা চাল।
একই বাজারের জব্বার ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ জব্বার আলী বলেন, দাম বাড়ছে নাজিরশাইল, জিরাশাইল, কাটারিভোগ আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ- এই চার-পাঁচ আইটেমের। নিম্নমানের সাধারণ চাল যেগুলো, সেগুলোর দাম বাড়ছে না। ইন্ডিয়া থেকে যে চালগুলো এসেছে, সেগুলোর দাম একটু কম আছে। দেশি চালের দাম বেশি বেড়েছে।
বাজারে ২৫ কেজির বস্তা নাজিরশাইল সিদ্ধ (মজুমদার ব্র্যান্ড) ২ হাজার ২০০ টাকা, ভারতীয় নাজিরশাইল (হোয়াইট গোল্ড) ২ হাজার ৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২৫০ টাকা, ২৫ কেজির বস্তা কাটারিভোগ আতপ ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা এবং সাধারণ মানের পাইজাম আতপ ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাটারিভোগ সিদ্ধ ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।
নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ের রাজীব স্টোরের মালিক রিপু নাথ জানিয়েছেন, এসব চাল বস্তাপ্রতি এক সপ্তাহে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে খামারের ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কর্ণফুলী বাজারে প্রতিকেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজির দেউড়ি বাজারে ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৬০০ টাকা। সোনালী মুরগি গত সপ্তাহে ২৮০ থেকে ২৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া হাঁড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, কলিজা ৫৫০ টাকা ও হাঁড়বিহীন ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ও হাঁসের ডিম ২৪৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি বাজারে চলতি সপ্তাহে এলাচের দাম প্রতিকেজিতে অন্তঃত ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে এলাচ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে এলাচের কোনও ধরনের উৎপাদন হয় না। মূলত গুয়াতেমালা ও ভারত থেকে এলাচ আমদানি করে চাহিদার যোগান দেয়া হয়। বছরের শুরু থেকেই দেশ দুটিতে এলাচির উৎপাদন কমায় বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তি। এর প্রভাবে দেশেও এটির দাম বেড়েছে।
তবে গরম মশলার মধ্যে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে জানিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মোহাম্মদ শাফায়াত বলেন, লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, চিকন জিরা ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। এগুলোর দাম বাড়েনি। শুধুমাত্র এলাচের দাম বাড়তি।
অন্যদিকে শীতকালীন সবজির চাহিদা কমে গেছে। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামে তেমন হেরফের হয়নি। অন্যদিকে লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে কাঁকরোল প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, পটল-ঢেঁড়স ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা, শসা প্রতিকেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে এতদিন বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে রুই মাছ ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০ থেকে ৪৪০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট-বড় চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৫০০ টাকা, চাষের ও দেশি কৈ মাছ ২০০ থেকে ১ হাজার টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চাষের ও দেশি শিং মাছ ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিতল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, সরপুঁটি মাছ ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।