আবেগ দিয়ে জনগণের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথাও বলেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালীন এই সময়ে ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণ নতুন গণতান্ত্রিক সংসদের প্রত্যাশায় রয়েছে।’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যতটুকু সংস্কার করা দরকার, ততটুকু সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আবেগের মধ্য দিয়েও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদের বাস্তববাদী চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, ‘আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আনন্দের এই জন্যই যে আমরা অনেক দিন পর ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা আজকে একটু ভারাক্রান্ত, কারণ আজকে আমাদের মধ্যে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং একই সঙ্গে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকাটা অত্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আপনার জানেন, আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য দেশে বাইরে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আছেন। তিনি এখনও বিভিন্ন মামলা সমস্যার কারণে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থাতেই আছেন।’ তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে আসতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজ নিজ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই সময়টা আমরা সবাই যে যেখানে আছি আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভূমিকা পালন করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা সবাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের ভূমিকা পালন করবেন। আমরা যারা রাজনীতি করছি, যারা বিভিন্ন পেশাতে আছি, যারা বিভিন্নভাবে সরকার অথবা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, আমরা সবাই এমনভাবে কথা বলব, কাজ করব যেন আমাদের এই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরও সুগম করে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে সংস্কারের জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়ছে, সেই কারণেই আমরা দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব সংস্কারের জন্য একত্রিশ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। সেই কর্মসূচির মধ্যে আমাদের সংস্কারের যে কথাগুলো বলা আছে, সেই কাজগুলো আমরা মনে করি যথেষ্ট দেশের পরিবর্তনের জন্য।’ অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে তাদের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের প্রস্তাবগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবেদীন, ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।
পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
আবেগ দিয়ে জনগণের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার কথাও বলেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে আয়োজিত বিএনপির ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালীন এই সময়ে ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণ নতুন গণতান্ত্রিক সংসদের প্রত্যাশায় রয়েছে।’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যতটুকু সংস্কার করা দরকার, ততটুকু সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আবেগের মধ্য দিয়েও সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদের বাস্তববাদী চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, ‘আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আনন্দের এই জন্যই যে আমরা অনেক দিন পর ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা আজকে একটু ভারাক্রান্ত, কারণ আজকে আমাদের মধ্যে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং একই সঙ্গে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিত থাকাটা অত্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আপনার জানেন, আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য দেশে বাইরে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আছেন। তিনি এখনও বিভিন্ন মামলা সমস্যার কারণে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থাতেই আছেন।’ তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে আসতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজ নিজ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই সময়টা আমরা সবাই যে যেখানে আছি আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভূমিকা পালন করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা সবাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের ভূমিকা পালন করবেন। আমরা যারা রাজনীতি করছি, যারা বিভিন্ন পেশাতে আছি, যারা বিভিন্নভাবে সরকার অথবা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, আমরা সবাই এমনভাবে কথা বলব, কাজ করব যেন আমাদের এই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরও সুগম করে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে সংস্কারের জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়ছে, সেই কারণেই আমরা দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব সংস্কারের জন্য একত্রিশ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। সেই কর্মসূচির মধ্যে আমাদের সংস্কারের যে কথাগুলো বলা আছে, সেই কাজগুলো আমরা মনে করি যথেষ্ট দেশের পরিবর্তনের জন্য।’ অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে তাদের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের প্রস্তাবগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে মতামত দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবেদীন, ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।
পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।