একই কোম্পানি বা মালিকের অধীনে একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান না রাখার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশন ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া’ নীতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের প্রধান সুপারিশ:
১. ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধকরণ:একই কোম্পানি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, পরিবার বা উদ্যোক্তা যাতে একই সঙ্গে একাধিক মাধ্যমের মালিক হতে না পারে, সে জন্য বিশ্বের বহু দেশে ‘ক্রস-ওনারশিপ’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, বাংলাদেশেও অচিরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
২. বিদ্যমান মালিকানা পুনর্গঠন:
যেসব ক্ষেত্রে একই মালিকের অধীনে একাধিক গণমাধ্যম রয়েছে, সেগুলোয় পরিবর্তন আনার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, মালিকরা যেকোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রি করে দিতে পারেন। অথবা দুটি গণমাধ্যমের (টেলিভিশন ও পত্রিকা) সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারে একটি গণমাধ্যম পরিচালনা করতে পারেন।
৩. একক মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যমের সমস্যা:কমিশনের মতে, একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। এতে গণমাধ্যমের প্রভাবক ক্ষমতা নিজস্ব স্বার্থে কেন্দ্রীভূত হয়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
৪. উদাহরণ: কমিশন উদাহরণ হিসেবে বলেছে, "একই সাবান একাধিক মোড়কে বাজারজাত করা যেমন বাজারের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকাও গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।"
কমিশন মনে করে, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়। এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
একই কোম্পানি বা মালিকের অধীনে একাধিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান না রাখার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশন ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া’ নীতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের প্রধান সুপারিশ:
১. ক্রস-ওনারশিপ নিষিদ্ধকরণ:একই কোম্পানি, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, পরিবার বা উদ্যোক্তা যাতে একই সঙ্গে একাধিক মাধ্যমের মালিক হতে না পারে, সে জন্য বিশ্বের বহু দেশে ‘ক্রস-ওনারশিপ’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, বাংলাদেশেও অচিরেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
২. বিদ্যমান মালিকানা পুনর্গঠন:
যেসব ক্ষেত্রে একই মালিকের অধীনে একাধিক গণমাধ্যম রয়েছে, সেগুলোয় পরিবর্তন আনার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, মালিকরা যেকোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রি করে দিতে পারেন। অথবা দুটি গণমাধ্যমের (টেলিভিশন ও পত্রিকা) সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারে একটি গণমাধ্যম পরিচালনা করতে পারেন।
৩. একক মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যমের সমস্যা:কমিশনের মতে, একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। এতে গণমাধ্যমের প্রভাবক ক্ষমতা নিজস্ব স্বার্থে কেন্দ্রীভূত হয়, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।
৪. উদাহরণ: কমিশন উদাহরণ হিসেবে বলেছে, "একই সাবান একাধিক মোড়কে বাজারজাত করা যেমন বাজারের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকাও গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।"
কমিশন মনে করে, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়। এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।