গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতি মানা হয়নি, বরং স্বেচ্ছাচারীভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফলে অনলাইন সাংবাদিকতায় অনিয়ম, হলুদ সাংবাদিকতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের অনলাইন নীতিমালা কার্যকর শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য যে শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সম্প্রচার কমিশন গঠন না করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিবন্ধন প্রদান করেছে।
প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ:
১. অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের নীতিমালা হালনাগাদ করে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের আওতায় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২. গত এক দশকে দেওয়া অনলাইন নিবন্ধনগুলো পর্যালোচনা করে সেগুলোর যথার্থতা নির্ধারণ করা।
৩. অনলাইন নিবন্ধনের জন্য একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার তদন্ত ব্যবস্থা বাতিল করে বিদ্যমান পুলিশের তদন্ত ব্যবস্থাকে যথেষ্ট বিবেচনা করা।
৪. বার্ষিক নবায়ন পদ্ধতি বাতিল করা।
৫. আইপিটিভি ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
৬. সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নীতিমালা প্রণয়ন করা।
৭. অনলাইন পোর্টালের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি সাধারণ ট্রেড লাইসেন্সের সমান নির্ধারণ করা।
প্রতিবেদনে অনলাইন সাংবাদিকতার বিকাশ ও পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। কমিশনের কাজকে ‘অমূল্য’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পরামর্শ দেন, এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতি মানা হয়নি, বরং স্বেচ্ছাচারীভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফলে অনলাইন সাংবাদিকতায় অনিয়ম, হলুদ সাংবাদিকতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পূর্ববর্তী সরকারের অনলাইন নীতিমালা কার্যকর শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য যে শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন প্রস্তাবিত সম্প্রচার কমিশনের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সম্প্রচার কমিশন গঠন না করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিবন্ধন প্রদান করেছে।
প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ:
১. অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের নীতিমালা হালনাগাদ করে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের আওতায় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
২. গত এক দশকে দেওয়া অনলাইন নিবন্ধনগুলো পর্যালোচনা করে সেগুলোর যথার্থতা নির্ধারণ করা।
৩. অনলাইন নিবন্ধনের জন্য একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার তদন্ত ব্যবস্থা বাতিল করে বিদ্যমান পুলিশের তদন্ত ব্যবস্থাকে যথেষ্ট বিবেচনা করা।
৪. বার্ষিক নবায়ন পদ্ধতি বাতিল করা।
৫. আইপিটিভি ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
৬. সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নীতিমালা প্রণয়ন করা।
৭. অনলাইন পোর্টালের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ফি সাধারণ ট্রেড লাইসেন্সের সমান নির্ধারণ করা।
প্রতিবেদনে অনলাইন সাংবাদিকতার বিকাশ ও পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। কমিশনের কাজকে ‘অমূল্য’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পরামর্শ দেন, এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।