আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শনিবার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায়। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা দাবি জানানো হয়।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ-এর প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম গণঅভ্যুত্থানে আহতদের
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংগঠনটি এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে এসব দাবি জানায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে আতিকুল গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। যদি করা হয়, তাহলে আমার হারানো হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।’ যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হাসানুর রহমান নামের একজন বলেন, ‘এই বাংলার মাটিতে যত দিন পর্যন্ত বেঁচে আছি, তত দিন আওয়ামী লীগ ও খুনি হাসিনার বাংলার মাটিতে জায়গা হবে না।’
সমাবেশে ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘একটি অভ্যুত্থান হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে খুনি হাসিনার দোসররা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দুই হাজার লাশ ও হাজারো আহত ব্যক্তির অঙ্গহানির ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। অবিলম্বে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখিকরতে হবে।’
আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর এনসিপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘কোনো শান্তিপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়নি। হাজারো মানুষের রাজপথ ভেজানো রক্তের মধ্য দিয়ে এই খুনি-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। আমাদের পুনর্জন্ম হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে আমরা পুনর্বাসিত হতে দেব না। বাংলাদেশে যতবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবার সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।’
দেশের মানুষ জীবন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শনিবার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা না থাকার কথা তুলে ধরেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায়। এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা দাবি জানানো হয়।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ-এর প্রতিনিধিরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম গণঅভ্যুত্থানে আহতদের
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংগঠন ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংগঠনটি এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে এসব দাবি জানায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে আতিকুল গাজী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে পুনর্বাসন করা যাবে না। যদি করা হয়, তাহলে আমার হারানো হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।’ যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হাসানুর রহমান নামের একজন বলেন, ‘এই বাংলার মাটিতে যত দিন পর্যন্ত বেঁচে আছি, তত দিন আওয়ামী লীগ ও খুনি হাসিনার বাংলার মাটিতে জায়গা হবে না।’
সমাবেশে ওয়ারিয়র্স অব জুলাইয়ের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘একটি অভ্যুত্থান হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে খুনি হাসিনার দোসররা নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দুই হাজার লাশ ও হাজারো আহত ব্যক্তির অঙ্গহানির ওপর রাষ্ট্র দাঁড়িয়ে আছে। অবিলম্বে খুনি হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখিকরতে হবে।’
আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা মহানগর এনসিপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘কোনো শান্তিপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়নি। হাজারো মানুষের রাজপথ ভেজানো রক্তের মধ্য দিয়ে এই খুনি-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। আমাদের পুনর্জন্ম হতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে আমরা পুনর্বাসিত হতে দেব না। বাংলাদেশে যতবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ততবার সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।’
দেশের মানুষ জীবন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ এ দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, ‘যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের শপথ আমাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত গিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।