কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে: রুহুল কবির রিজভী
সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বলতে পারি বা আমরা মনে করি যে, তাদের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধাবোধ সেই শ্রদ্ধাবোধটি ছিল এবং এখনও রাখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা যেমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল, একইভাবে আগামীতেও তারা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রংপুর ডিভিশন রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকার (আরডিআরএফ) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আরডিআরএফের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সমিতির সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অবস্থান নেই উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, সেনাবাহিনী আগামীতেও তাদের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটি সেটি ধরে রাখবে। এখানে সেনাবাহিনীর প্রধানকে সরানো বা এ রকম প্রশ্ন কিন্তু কখনও আসেনি। কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর প্রধানকে অপসারণ। আমরা আমাদের সে জায়গা থেকে কখনোই সেনাবাহিনীকে এ রকম কথা বলিনি এবং আমরা মনে করি সে অবস্থাও তৈরি হয়নি। এমন অবস্থা যেন তৈরি না হয় নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত সেটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং আমাদের যে শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক আমরা চাই সেই সম্পর্কটি সব সময় ছিল এবং আগামীতে থাকবে’, মন্তব্য করেন তিনি।
‘অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াবেন না
বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে প্রশ্ন থাকে, মতামত থাকে আমরা সেটি করবো এবং যৌক্তিক আলোচনা-সমালোচনা হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের অভ্যুত্থানের পক্ষে যারা শক্তি ছিলাম তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে কখনোই দাঁড়াবো না।’
মব জাস্টিস ও ন্যায়বিচার সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘দেশ স্থিতিশীলতার জন্য যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে হবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’
রংপুর বিভাগকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সারজিস। আয়োজনে যোগ দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে।’
গণমাধ্যমে যাতে মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেই বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
এতে আরও বক্তব্য দেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী, রংপুর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আহসান সরকার, আরডিআরএফের সভাপতি তামজিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আপেল শাহরিয়ার, আজকের দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগসহ অনেকে।
কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে: রুহুল কবির রিজভী
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে বলতে পারি বা আমরা মনে করি যে, তাদের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধাবোধ সেই শ্রদ্ধাবোধটি ছিল এবং এখনও রাখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা যেমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল, একইভাবে আগামীতেও তারা বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রংপুর ডিভিশন রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকার (আরডিআরএফ) ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। আরডিআরএফের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সমিতির সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অবস্থান নেই উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, সেনাবাহিনী আগামীতেও তাদের প্রতি আমাদের যে শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটি সেটি ধরে রাখবে। এখানে সেনাবাহিনীর প্রধানকে সরানো বা এ রকম প্রশ্ন কিন্তু কখনও আসেনি। কিছু গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, সেনাবাহিনীর প্রধানকে অপসারণ। আমরা আমাদের সে জায়গা থেকে কখনোই সেনাবাহিনীকে এ রকম কথা বলিনি এবং আমরা মনে করি সে অবস্থাও তৈরি হয়নি। এমন অবস্থা যেন তৈরি না হয় নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত সেটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং আমাদের যে শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক আমরা চাই সেই সম্পর্কটি সব সময় ছিল এবং আগামীতে থাকবে’, মন্তব্য করেন তিনি।
‘অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়াবেন না
বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে প্রশ্ন থাকে, মতামত থাকে আমরা সেটি করবো এবং যৌক্তিক আলোচনা-সমালোচনা হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমাদের অভ্যুত্থানের পক্ষে যারা শক্তি ছিলাম তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে কখনোই দাঁড়াবো না।’
মব জাস্টিস ও ন্যায়বিচার সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে এনসিপির উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘দেশ স্থিতিশীলতার জন্য যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে হবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।’
রংপুর বিভাগকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সারজিস। আয়োজনে যোগ দিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সফলতা আসবে।’
গণমাধ্যমে যাতে মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেই বিষয়ে আইন হওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।
এতে আরও বক্তব্য দেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী, রংপুর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আহসান সরকার, আরডিআরএফের সভাপতি তামজিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আপেল শাহরিয়ার, আজকের দৈনিকের সম্পাদক ও প্রকাশক কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগসহ অনেকে।