বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী চান, আর্থিক খাতে এমন নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকুক, যারা অপরাধীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হবে।
রোববার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মানুষ কাজ করে দুই কারণে—একটি ইনসেনটিভ, আরেকটি শাস্তি।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রূপালী চৌধুরী বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশীর্বাদ ছাড়া দুর্নীতি সম্ভব না।” নিরীক্ষকদের জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “যে নিরীক্ষক অনিয়মে জর্জরিত কোম্পানির নিরীক্ষা করেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিবেদনে আনেনি, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত।”
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের কথা উল্লেখ করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কয় পয়সা বেতন দিয়েছি? তাহলে এখন আমাদের দায়িত্ব কী? দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং সেই কাজটি আমাদের সবাইকে করতে হবে। যে করবে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে।”
সমাজের নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, “একসময় শিক্ষকরা শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন, ভালো ডাক্তারও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। সেই সমাজে ফিরে যেতে হবে। যদি দরকার হয়, সারা বাংলাদেশের বাঙালিদের রক্ত ট্রান্সমিশন করে ঠিক করতে হবে, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত হব, না ভালো মানুষ হব।”
ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, “বন্দরের সেবা ফি বা মাশুল বাড়ানো উচিত হবে না। এই মুহূর্তে শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরনের মূল্যস্ফীতির চাপ নিতে পারবে না।”
বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী নয় কেন—এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তো ফিকি’র সদস্য, কিন্তু তারা এখনো লিস্টেড না। তাদের কাছে আমাদের প্রস্তাব দিতে হবে। বাজারে আসার পথ আকর্ষণীয় হতে হবে।”
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে কর কাঠামো পরিবর্তন ও কোম্পানি আইন পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন রূপালী চৌধুরী। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আর্থিক ও রাজস্ব নীতির একটি আগাম ধারণা দেওয়ার ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।
অবকাঠামো খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, তাদের লিড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা, তা বলার বাইরে। কাচপুর ব্রিজের যানজট সমস্যা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় দক্ষতা আনতে হবে।”
রংয়ের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, “রং এখন বিলাস পণ্য নয়। এটি পণ্যকে নিরাপদ করে, তাই অত্যাবশ্যকীয়। নীতিগুলো সমঝোতামূলক হওয়া উচিত।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি রূপালী হক চৌধুরী চান, আর্থিক খাতে এমন নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকুক, যারা অপরাধীকে শাস্তি দিতে সক্ষম হবে।
রোববার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মানুষ কাজ করে দুই কারণে—একটি ইনসেনটিভ, আরেকটি শাস্তি।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রূপালী চৌধুরী বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশীর্বাদ ছাড়া দুর্নীতি সম্ভব না।” নিরীক্ষকদের জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “যে নিরীক্ষক অনিয়মে জর্জরিত কোম্পানির নিরীক্ষা করেছে, কিন্তু সেগুলো প্রতিবেদনে আনেনি, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত।”
দেশের প্রতি দায়িত্ববোধের কথা উল্লেখ করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আমি নিজে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কয় পয়সা বেতন দিয়েছি? তাহলে এখন আমাদের দায়িত্ব কী? দেশকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং সেই কাজটি আমাদের সবাইকে করতে হবে। যে করবে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে।”
সমাজের নৈতিক অবক্ষয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, “একসময় শিক্ষকরা শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন, ভালো ডাক্তারও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। সেই সমাজে ফিরে যেতে হবে। যদি দরকার হয়, সারা বাংলাদেশের বাঙালিদের রক্ত ট্রান্সমিশন করে ঠিক করতে হবে, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত হব, না ভালো মানুষ হব।”
ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, “বন্দরের সেবা ফি বা মাশুল বাড়ানো উচিত হবে না। এই মুহূর্তে শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো ধরনের মূল্যস্ফীতির চাপ নিতে পারবে না।”
বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী নয় কেন—এই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তো ফিকি’র সদস্য, কিন্তু তারা এখনো লিস্টেড না। তাদের কাছে আমাদের প্রস্তাব দিতে হবে। বাজারে আসার পথ আকর্ষণীয় হতে হবে।”
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে কর কাঠামো পরিবর্তন ও কোম্পানি আইন পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন রূপালী চৌধুরী। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে আর্থিক ও রাজস্ব নীতির একটি আগাম ধারণা দেওয়ার ওপরও তিনি গুরুত্ব দেন।
অবকাঠামো খাতে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, তাদের লিড টাইম অনেক কম। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তাঘাটের যে অবস্থা, তা বলার বাইরে। কাচপুর ব্রিজের যানজট সমস্যা এখনো পুরোপুরি কাটেনি। সার্বিক অবকাঠামো ভালো, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় দক্ষতা আনতে হবে।”
রংয়ের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, “রং এখন বিলাস পণ্য নয়। এটি পণ্যকে নিরাপদ করে, তাই অত্যাবশ্যকীয়। নীতিগুলো সমঝোতামূলক হওয়া উচিত।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূঁইয়া এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।