‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ বা ওই দলের ‘সংশোধিত’ একটি অংশের পুনর্বাসনে রাজি হতে সেনানিবাস থেকে ‘চাপ’ দেয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির অন্যতম মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনী সদরদপ্তর থেকে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
সেনাসদরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়’। সেখানে ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সেনাসদরের প্রতিক্রিয়ার কথা জানানো হয়। নেত্র নিউজ বলছে, একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। তবে সেনাসদরের কোনো বক্তব্য সংবাদ জানতে পারেনি। সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তাও সংবাদ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সেনাসদরের বিবৃতিতে জানানো হয় সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে’র অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে। হাসনাত ও তার দলের আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেইসবুক পোস্টে হাসনাতের সঙ্গে ‘কিছুটা দ্বিমত’ প্রকাশ করেছেন। সারজিস রোববার ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘সেদিন (১১ মার্চ) সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাদের সঙ্গে আরও একজন নেতা যাওয়ার কথা ছিল, তবে ব্যক্তিগত কারণে তিনি যেতে পারেননি।
সারজিস তার পোস্টে আরও লিখেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের আলোচনা ছিল ‘অভিমত প্রকাশের’ মতো, সেটিকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ হিসেবে তিনি দেখেন না। তার মতে, সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, তা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার ‘মূল্যায়ন’ ছিল, কোনো ‘চাপ বা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নয়’।
আর এনসিপির আরেক নেতা নাসীরউদ্দিন পাটোয়ারী শনিবার সিলেটে এক ইফতার অনুষ্ঠানে হাসনাতের ওই ফেইসবুক পোস্টকে ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ মন্তব্য করেছেন।
হাসনাত ও সারজিসের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে অনুমোদিত, তা স্পষ্ট নয়।
হাসনাতের পোস্টে শোরগোল
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নতুনরূপে পুনর্বাসনের বিষয়ে সেনানিবাসের কাছ থেকে ‘ভারতের পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করা হয়েছে- শুক্রবার হাসনাত আব্দুল্লাহর এমন ফেইসবুক পোস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও ঢাকার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে ‘নতুন একটি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে আসার ‘পরিকল্পনা চলছে’।
তিনি বলেন, সেনানিবাস থেকে ১১ মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এক বৈঠকে তাদের এই নয়া আওয়ামী লীগকে মেনে নিতে ‘সমঝোতা ও সংসদের আসন ভাগাভাগির প্রস্তাব’ দেয়া হয়।
প্রায় ৯ লক্ষ বারের মতো প্রতিক্রিয়া, মন্তব্য ও শেয়ার পাওয়া ওই ফেইসবুক পোস্টে হাসনাত ১১ মার্চে সেনানিবাসে হওয়া বৈঠকের কিছু কথোপকথনকে উদ্ধৃত করে লিখেন যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই ‘কথিত সংশোধিত’ আওয়ামী লীগকে ‘মেনে নিয়েছে’।
এনসিপির সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত
তার পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে
সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কিনা। তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমিতো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে।’
তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে ‘কথা বলার জন্য আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ‘বাইনারি’ বা হ্যাঁÑ না জবাব দিতে রাজি হননি।
নেত্রনিউজে সেনাসদরের বিবৃতি
সেনাসদরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি অ্যাডভাইজার তাদের সেনাসদরে আসার জন্য বলেন।’
‘অতঃপর ১১ মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।’
আওয়ামী লীগের ‘পুনর্বাসন’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনাসদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয়, আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে এলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।
বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের যেসব নেতা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসূ ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।’
‘প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কোনোক্রমেই তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগ করার ঘটনা নয়,’ বলা হয় সেনাসদরের বিবৃতিতে।
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর [মতো] প্রতিষ্ঠিত সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের যুগ্ম সংগঠকদের ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন বা চাপ প্রয়োগ করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার বলে প্রতীয়মান [হয়]।’
সেনাসদরের বক্তব্যে বলা হয়, এই দুই ছাত্র সমন্বয়ককে সেনাবাহিনী প্রধান ‘অত্যন্ত স্নেহের দৃষ্টিতে ছেলের’ মতো দেখতেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি [স্নেহবৎসল] পরিবেশে তাদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতা করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে তাদের নতুন দল গঠনের শুভকামনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পথচলার বিষয়ে নানা প্রসঙ্গে আলাপ করেন।’
‘এছাড়াও পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি তাদের রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি, অংশগ্রহণ ও অন্যান্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সব দলের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেন,’ বলা হয় বিবৃতিতে। ‘সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার ১০ দিন পর ফেইসবুক হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের অনভিপ্রেতকর পোস্ট দেয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়।’
হাসনাতের সঙ্গে ‘কিছুটা
দ্বিমত’ সারজিস
সারজিস তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যেভাবে এই কথাগুলো [হাসনাত আব্দুল্লাহর] ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যে কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।’
সারজিস আলমের মতে, হাসনাতের পোস্টের ভাষা এবং উপস্থাপন কিছুটা ‘এক্সট্রিম’ হয়েছে, যেখানে তিনি নিজে বৈঠকের আলোচনাকে তুলনামূলকভাবে ‘স্ট্রেইট-ফরোয়ার্ড’ ও ‘সো-কনফিডেন্ট’ হিসেবে দেখছেন।
সারজিস লিখেন, ‘প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।
সেদিনের বৈঠকে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে সারজিস লিখেছে, ‘আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন। পাশাপাশি রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছিলেন।
‘হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কী হবে, না থাকলে কী হবে, আওয়ামী লীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের ওপরে কী প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।
‘হাসনাত তার বক্তব্যে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছে- ‘আলোচনার এক পর্যায়ে বলি-যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।’
‘এই কনভারসেশনটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদের যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।
সারজিস আরও লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে।’
‘কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যে কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে,’ মন্তব্য সারজিসের।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
‘রিফাইন্ড’ আওয়ামী লীগ বা ওই দলের ‘সংশোধিত’ একটি অংশের পুনর্বাসনে রাজি হতে সেনানিবাস থেকে ‘চাপ’ দেয়া নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির অন্যতম মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনী সদরদপ্তর থেকে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
সেনাসদরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়’। সেখানে ২৭ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতার বক্তব্যকে ‘অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজ শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সেনাসদরের প্রতিক্রিয়ার কথা জানানো হয়। নেত্র নিউজ বলছে, একজন মুখপাত্রের মাধ্যমে বক্তব্য দেয় সেনাসদর। তবে সেনাসদরের কোনো বক্তব্য সংবাদ জানতে পারেনি। সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল, তাও সংবাদ নিশ্চিত করতে পারেনি।
সেনাসদরের বিবৃতিতে জানানো হয় সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে ‘ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে’র অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে। হাসনাত ও তার দলের আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এক ফেইসবুক পোস্টে হাসনাতের সঙ্গে ‘কিছুটা দ্বিমত’ প্রকাশ করেছেন। সারজিস রোববার ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘সেদিন (১১ মার্চ) সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাদের সঙ্গে আরও একজন নেতা যাওয়ার কথা ছিল, তবে ব্যক্তিগত কারণে তিনি যেতে পারেননি।
সারজিস তার পোস্টে আরও লিখেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের আলোচনা ছিল ‘অভিমত প্রকাশের’ মতো, সেটিকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ হিসেবে তিনি দেখেন না। তার মতে, সেনাপ্রধান রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনের বিষয়ে যে কথা বলেছেন, তা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার ‘মূল্যায়ন’ ছিল, কোনো ‘চাপ বা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নয়’।
আর এনসিপির আরেক নেতা নাসীরউদ্দিন পাটোয়ারী শনিবার সিলেটে এক ইফতার অনুষ্ঠানে হাসনাতের ওই ফেইসবুক পোস্টকে ‘শিষ্টাচারবর্জিত’ মন্তব্য করেছেন।
হাসনাত ও সারজিসের ওই বৈঠক তাদের ব্যক্তিগত নাকি জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে অনুমোদিত, তা স্পষ্ট নয়।
হাসনাতের পোস্টে শোরগোল
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নতুনরূপে পুনর্বাসনের বিষয়ে সেনানিবাসের কাছ থেকে ‘ভারতের পরিকল্পনা’ উপস্থাপন করা হয়েছে- শুক্রবার হাসনাত আব্দুল্লাহর এমন ফেইসবুক পোস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও ঢাকার মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে ‘নতুন একটি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে আসার ‘পরিকল্পনা চলছে’।
তিনি বলেন, সেনানিবাস থেকে ১১ মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এক বৈঠকে তাদের এই নয়া আওয়ামী লীগকে মেনে নিতে ‘সমঝোতা ও সংসদের আসন ভাগাভাগির প্রস্তাব’ দেয়া হয়।
প্রায় ৯ লক্ষ বারের মতো প্রতিক্রিয়া, মন্তব্য ও শেয়ার পাওয়া ওই ফেইসবুক পোস্টে হাসনাত ১১ মার্চে সেনানিবাসে হওয়া বৈঠকের কিছু কথোপকথনকে উদ্ধৃত করে লিখেন যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই ‘কথিত সংশোধিত’ আওয়ামী লীগকে ‘মেনে নিয়েছে’।
এনসিপির সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত
তার পোস্টের পর ওই রাতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে
সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে হাসনাত আব্দুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়, সেনানিবাসে তিনি যে বৈঠকটির কথা বলছেন, তা সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে হয়েছিল কিনা। তিনি সরাসরি জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমিতো সেখানে ক্যান্টনমেন্ট উল্লেখ করেছি, আপনারা কথা বলতে পারেন সেখানে।’
তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কার উদ্যোগে বৈঠকটি হয়েছিল। জবাবে হাসনাত বলেন, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ও বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন ছিল। এসব বিষয়ে ‘কথা বলার জন্য আমাদের আহ্বান জানানো হয়েছিল।’
সংবাদ সম্মেলনের পর নেত্র নিউজের একজন প্রতিবেদক আবারও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি ‘বাইনারি’ বা হ্যাঁÑ না জবাব দিতে রাজি হননি।
নেত্রনিউজে সেনাসদরের বিবৃতি
সেনাসদরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলম দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইচ্ছা পোষণ করছিলেন। পরবর্তীতে সারজিস আলম ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারকে ফোন দিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিলিটারি অ্যাডভাইজার তাদের সেনাসদরে আসার জন্য বলেন।’
‘অতঃপর ১১ মার্চ দুপুরে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ সেনাসদরে না এসে সরাসরি সেনাভবনে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেন। পরবর্তীতে সেনাপ্রধান অফিস কার্যক্রম শেষ করে সেনা ভবনে এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন।’
আওয়ামী লীগের ‘পুনর্বাসন’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনাসদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয়, আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে এলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।
বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের যেসব নেতা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসূ ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।’
‘প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি কোনোক্রমেই তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদের প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগ করার ঘটনা নয়,’ বলা হয় সেনাসদরের বিবৃতিতে।
‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর [মতো] প্রতিষ্ঠিত সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের যুগ্ম সংগঠকদের ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন বা চাপ প্রয়োগ করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার বলে প্রতীয়মান [হয়]।’
সেনাসদরের বক্তব্যে বলা হয়, এই দুই ছাত্র সমন্বয়ককে সেনাবাহিনী প্রধান ‘অত্যন্ত স্নেহের দৃষ্টিতে ছেলের’ মতো দেখতেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিনি [স্নেহবৎসল] পরিবেশে তাদের সঙ্গে নানা আলাপচারিতা করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে তাদের নতুন দল গঠনের শুভকামনা ও পরবর্তী রাজনৈতিক পথচলার বিষয়ে নানা প্রসঙ্গে আলাপ করেন।’
‘এছাড়াও পরবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি তাদের রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি, অংশগ্রহণ ও অন্যান্য সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সব দলের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ব্যাখ্যা করেন,’ বলা হয় বিবৃতিতে। ‘সেনাবাহিনীপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার ১০ দিন পর ফেইসবুক হাসনাত আব্দুল্লাহর এই ধরনের অনভিপ্রেতকর পোস্ট দেয়া সম্পূর্ণ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বৈ অন্য কিছু নয়।’
হাসনাতের সঙ্গে ‘কিছুটা
দ্বিমত’ সারজিস
সারজিস তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যেভাবে এই কথাগুলো [হাসনাত আব্দুল্লাহর] ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যে কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে।’
সারজিস আলমের মতে, হাসনাতের পোস্টের ভাষা এবং উপস্থাপন কিছুটা ‘এক্সট্রিম’ হয়েছে, যেখানে তিনি নিজে বৈঠকের আলোচনাকে তুলনামূলকভাবে ‘স্ট্রেইট-ফরোয়ার্ড’ ও ‘সো-কনফিডেন্ট’ হিসেবে দেখছেন।
সারজিস লিখেন, ‘প্রথমেই স্পষ্ট করে জানিয়ে রাখি সেদিন সেনানিবাসে আমাদের ডেকে নেয়া হয়নি বরং সেনাপ্রধানের মিলিটারি অ্যাডভাইজারের সাথে যখন প্রয়োজন হতো তখন মেসেজের মাধ্যমে আমাদের কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর আদান-প্রদান হতো।
সেদিনের বৈঠকে সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে সারজিস লিখেছে, ‘আমার জায়গা থেকে আমি সেদিনের বক্তব্যকে সরাসরি ‘প্রস্তাব’ দেয়ার আঙ্গিকে দেখি না বরং ‘সরাসরি অভিমত প্রকাশের’ মতো করে দেখি। ‘অভিমত প্রকাশ’ এবং ‘প্রস্তাব দেয়া’ দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় সেদিন সেনাপ্রধান অনেকটা স্ট্রেইথ-ফরোয়ার্ড ভাষায় কথা বলছিলেন। পাশাপাশি রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য ‘চাপ দেয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। বরং রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ না আসলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটা তিনি অতি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছিলেন।
‘হাসনাতের বক্তব্যে যে টপিকগুলো এসেছিল, যেমন- ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ, সাবের হোসেন, শিরিন শারমিন চৌধুরী, সোহেল তাজ; এসব নিয়ে কথা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে কিনা, এই ইলেকশনে আওয়ামী লীগ থাকলে কী হবে, না থাকলে কী হবে, আওয়ামী লীগ এই ইলেকশন না করলে কবে ফিরে আসতে পারে কিংবা আদৌ আসবে কিনা এসব বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। এসব সমীকরণে দেশের ওপরে কী প্রভাব পড়তে পারে, স্থিতিশীলতা কিংবা অস্থিতিশীলতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে সেসব নিয়ে কথা হয়েছিল।
‘হাসনাত তার বক্তব্যে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছে- ‘আলোচনার এক পর্যায়ে বলি-যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কীভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম অ্যান্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি।’
‘এই কনভারসেশনটা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের রুমে বসে হওয়া কনভারসেশন হঠাৎ এককভাবে শেষ করে যখন সেনাপ্রধান উঠে দাঁড়ালেন এবং রুম থেকে কথা বলতে বলতে বের হয়ে এসে যখন আমরা গাড়িতে করে ফিরবো তার পূর্বে বিদায় নেয়ার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই কনভারসেশন হয়েছে। সেনাপ্রধান রেগে যাওয়ার সুরে এই কথা বলেছেন বলে আমার মনে হয়নি বরং বয়সে তুলনামূলক বেশ সিনিয়র কেউ জুনিয়রদের যেভাবে অভিজ্ঞতার ভারের কথা ব্যক্ত করে সেই টোন এবং এক্সপ্রেশনে বলেছেন।
সারজিস আরও লিখেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ না কেউ যোগাযোগ রক্ষা করে। সেই প্রাইভেসি তারা বজায় রাখে।’
‘কিন্তু যেভাবে এই কথাগুলো ফেইসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি বরং এর ফলে পরবর্তীতে যে কোনো স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আস্থার সংকটে পড়তে পারে,’ মন্তব্য সারজিসের।