রোববার মোট ১৫টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা
পায়রা সমুদ্রবন্দর ফাইল ছবি
পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পকে অর্থনীতির বিষফোঁড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবুও প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একই স্থানে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। এ সময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুদ্রবন্দর তো দূরের কথা, নদীবন্দরও বলা যায় না। বাণিজ্য উপদেষ্টা তো বলেছিলেন নদীর নাব্য হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়। এ প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়লা আনা যায়। যা হোক, ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদিন আগে সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ফলে দরপত্রে ১০ শতাংশ দরপ্রস্তাবের সীমা বাদ যাচ্ছে। ফলে একক ঠিকাদার চক্রের কাজ পাওয়া বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে আইএমইডিকে শক্তিশালী করা হবে। প্রকল্প অনলাইনে থাকবে এবং শতভাগ দরপত্র ইজিপিতে যুক্ত করতে হবে।’
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প- চট্টগ্রাম মহানগরীর কালুরঘাট এলাকায় পয়ঃশোধনাগার
নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, স্ট্রেন্থনিং ইনিস্টিটিউশান ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অডপ্টেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইন ঢাকা প্রকল্প, এবং সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়াও রয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধন) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সারাদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্য গুদাম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কার প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত রেকর্ড রুমসমূহ সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রভেন বুল তৈরি প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণ (১ম সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (পতেঙ্গা হতে সাগরিকা) (৪র্থ সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর অধীনে সুপার স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) চতুর্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সভায় পাস করা হয়।
রোববার মোট ১৫টি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা
পায়রা সমুদ্রবন্দর ফাইল ছবি
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল প্রকল্পকে অর্থনীতির বিষফোঁড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তবুও প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একই স্থানে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা। এ সময় পরিকল্পনা সচিবসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মোট ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২১ হাজার ১৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১৪ হাজার ১৯৩ কোটি, বৈদেশিক ঋণের ৬ হাজার ৫৩৯ কোটি ২৯ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বলা হলেও মূলত একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আনতে এই বন্দর করা হচ্ছে। এটাকে সমুদ্রবন্দর তো দূরের কথা, নদীবন্দরও বলা যায় না। বাণিজ্য উপদেষ্টা তো বলেছিলেন নদীর নাব্য হিসেবে এটাকে ঘাট বলা যায়। এ প্রকল্পের জন্য প্রতি বছর ড্রেজিং করতে হবে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। এটি বাদ দিয়ে প্লেনে কয়লা আনা যায়। যা হোক, ভুল প্রকল্প হলেও অনেক কাজ হয়েছে, অনেক টাকা খরচ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই শেষ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদিন আগে সরকারি ক্রয় আইনের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ফলে দরপত্রে ১০ শতাংশ দরপ্রস্তাবের সীমা বাদ যাচ্ছে। ফলে একক ঠিকাদার চক্রের কাজ পাওয়া বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে আইএমইডিকে শক্তিশালী করা হবে। প্রকল্প অনলাইনে থাকবে এবং শতভাগ দরপত্র ইজিপিতে যুক্ত করতে হবে।’
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প- চট্টগ্রাম মহানগরীর কালুরঘাট এলাকায় পয়ঃশোধনাগার
নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, স্ট্রেন্থনিং ইনিস্টিটিউশান ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অডপ্টেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ইন ঢাকা প্রকল্প, এবং সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ফেজ-৩ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়াও রয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধন) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) প্রকল্প; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্প; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সারাদেশে অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্য গুদাম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কার প্রকল্প; ভূমি মন্ত্রণালয়ের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত রেকর্ড রুমসমূহ সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রভেন বুল তৈরি প্রকল্প এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।
এছাড়া কুষ্টিয়া জেলায় নতুন সার্কিট হাউজ নির্মাণ (১ম সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড (পতেঙ্গা হতে সাগরিকা) (৪র্থ সংশোধিত) ৪র্থ বার বৃদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর অধীনে সুপার স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) চতুর্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব সভায় পাস করা হয়।