অবৈধ সম্পদের এক মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সেই গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন বলে তথ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান রানা। মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদের আরেকটি মামলায় রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত। তার আগে অস্ত্র মামলায় তাকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দুদকের কৌঁসুলি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় মালেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপনের অভিযোগে আরেকটি ধারায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান রানা বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত মালেকের ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুই ধারায় দেয়া সাজা একত্রে ভোগ করার বিষয়ে আদালতের আদেশ তুলে ধরে তিনি বলেন, এ কারণে মালেককে ১০ বছরের কারাগারে কাটাতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ের পর মালেকের আইনজীবী শাহিনুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করবেন। ২০২১ সালের গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ দুটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া ওই দিন মালেকের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়। অবৈধ সম্পদের এক মামলায় শুধু মালেককে আসামি করা হয় এবং আরেকটিতে তার সঙ্গে তার স্ত্রীও আসামি। মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নার্গিস বেগমের দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে বৈধ উৎস পাওয়া যায় এক কোটি এক লাখ ৪৩
হাজার ৩৮২ টাকার। বাকি এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র্যাব। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
অস্ত্র মামলায় বিচার শেষে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরই কারাগারে কাটাতে হবে।
এ গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের পর তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সময় র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে। মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
অবৈধ সম্পদের এক মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আলোচিত সেই গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় দেন বলে তথ্য দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান রানা। মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদের আরেকটি মামলায় রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ১৬ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত। তার আগে অস্ত্র মামলায় তাকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
দুদকের কৌঁসুলি বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় মালেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপনের অভিযোগে আরেকটি ধারায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান রানা বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত মালেকের ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দুই ধারায় দেয়া সাজা একত্রে ভোগ করার বিষয়ে আদালতের আদেশ তুলে ধরে তিনি বলেন, এ কারণে মালেককে ১০ বছরের কারাগারে কাটাতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় মালেককে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। রায়ের পর মালেকের আইনজীবী শাহিনুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করবেন। ২০২১ সালের গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ দুটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া ওই দিন মালেকের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাও দায়ের করা হয়। অবৈধ সম্পদের এক মামলায় শুধু মালেককে আসামি করা হয় এবং আরেকটিতে তার সঙ্গে তার স্ত্রীও আসামি। মালেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নার্গিস বেগমের দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে বৈধ উৎস পাওয়া যায় এক কোটি এক লাখ ৪৩
হাজার ৩৮২ টাকার। বাকি এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেককে আটক করে র্যাব। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়।
অস্ত্র মামলায় বিচার শেষে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মালেককে ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরই কারাগারে কাটাতে হবে।
এ গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের পর তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সময় র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে। মালেককে গ্রেপ্তারের পরদিন দুদক জানায়, আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। তাদের মধ্যে গাড়িচালক মালেকও রয়েছেন।