কমিশনের সুপারিশ ছয় মাসেই বাস্তবায়ন সম্ভব একটি ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে দ্বিমত
আগে ‘গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার’ করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে ১৬৬টি প্রস্তাব দিয়েছে তার মধ্যে ১৫১টিতে দলটি একমত বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।
রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাত সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আমরা যে যে জায়গায় সবাই একমত হব, যতটুকু সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, সেটা বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের মাধ্যমেও করা হয়, তা মেনে নেব। আমরা প্রধানত চাই সংস্কারটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হয়। এটা যেন নির্বাচিত সংসদের হাতে চলে যায়, এরকমটা না হয়ে, আগে হয়। সেটা গণভোট বা সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ১৫১টি প্রস্তাবে একমত, ১০টি আংশিকভাবে একমত এবং ৫টিতে একমত নয়। একই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ২টি মতামত দেয়া হয়েছে।’
হাসনাত কাইয়ুম জানান, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তারা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিমালা’ অন্য নামে রাখার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বহুত্ববাদের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা যে অনুচ্ছেদ ছিল, ওখানে শিরোনামে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলে বাকি আগে যা কিছু ছিল তা অক্ষুণœ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নর জন্য জেলায় জেলায় নাগরিক আদালত করার এবং পুরনো ১৯ জেলায় জেলা সরকার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, একে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা পাবে। পাচার হওয়া টাকা আদায় করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আদালতের আদলে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইবুনাল করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান হাসনাত কাইয়ুম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সংস্কারের মাধ্যমে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো চেষ্টা হচ্ছে বলে বিএনপির যে অভিযোগ তুলেছে, সে বিসয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংবিধান কাউন্সিলের পক্ষে। স্বাভাবিক অবস্থায় এনসিসিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিই বেশি থাকবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন তাদের প্রতিনিধি থাকবে তখন মনে হবে অনির্বাচিত প্রতিনিধি বেশি।
এটা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কনসেপ্টের সঙ্গে বিরোধ করে না।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ছাড়াও কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের সুপারিশ ছয় মাসেই বাস্তবায়ন সম্ভব একটি ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে দ্বিমত
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
আগে ‘গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার’ করার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে ১৬৬টি প্রস্তাব দিয়েছে তার মধ্যে ১৫১টিতে দলটি একমত বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।
রবিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাত সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে আমরা যে যে জায়গায় সবাই একমত হব, যতটুকু সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, সেটা বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের মাধ্যমেও করা হয়, তা মেনে নেব। আমরা প্রধানত চাই সংস্কারটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কিংবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে হয়। এটা যেন নির্বাচিত সংসদের হাতে চলে যায়, এরকমটা না হয়ে, আগে হয়। সেটা গণভোট বা সংবিধান সংস্কার সভার নির্বাচন হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ১৫১টি প্রস্তাবে একমত, ১০টি আংশিকভাবে একমত এবং ৫টিতে একমত নয়। একই সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ২টি মতামত দেয়া হয়েছে।’
হাসনাত কাইয়ুম জানান, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তারা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিমালা’ অন্য নামে রাখার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বহুত্ববাদের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা যে অনুচ্ছেদ ছিল, ওখানে শিরোনামে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলে বাকি আগে যা কিছু ছিল তা অক্ষুণœ রাখার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নর জন্য জেলায় জেলায় নাগরিক আদালত করার এবং পুরনো ১৯ জেলায় জেলা সরকার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, একে অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা পাবে। পাচার হওয়া টাকা আদায় করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আদালতের আদলে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইবুনাল করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান হাসনাত কাইয়ুম।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সংস্কারের মাধ্যমে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো চেষ্টা হচ্ছে বলে বিএনপির যে অভিযোগ তুলেছে, সে বিসয়ে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আমরা জাতীয় সংবিধান কাউন্সিলের পক্ষে। স্বাভাবিক অবস্থায় এনসিসিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিই বেশি থাকবে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন তাদের প্রতিনিধি থাকবে তখন মনে হবে অনির্বাচিত প্রতিনিধি বেশি।
এটা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কনসেপ্টের সঙ্গে বিরোধ করে না।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ছাড়াও কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।