বুধবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করতে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালির ইতিহাসের রক্ত আখরে লেখা অনন্য এক গৌরবোজ্জ্বল এক দিনের নাম ২৬ মার্চ।
পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে সেদিন থেকেই রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় নয় মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পরই মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিবনগরে আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ।
গোটা জাতি বুধবার শোক ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের, আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের।
বাণী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচি
বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। ঢাকাসহ সারাদেশে ২৬ মার্চে দিবসটির উদযাপন শুরু হবে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে। এরপর ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানাবেন।
পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। একইভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে আগের দিন কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঢাকা ও অন্যান্য শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক বিভাজক জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন রেখেছে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডুসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্র ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের প্রতিটি শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনামূল্যে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
বুধবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করতে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালির ইতিহাসের রক্ত আখরে লেখা অনন্য এক গৌরবোজ্জ্বল এক দিনের নাম ২৬ মার্চ।
পাকিস্তানি শোষকের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে সেদিন থেকেই রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার দামাল ছেলেরা। এরই ধারাবাহিকতায় নয় মাস বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে স্বাধীনতা দিবস।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পরই মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিবনগরে আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ।
গোটা জাতি বুধবার শোক ও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের, আত্মত্যাগকারী বাংলার অকুতোভয় বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের।
বাণী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
কর্মসূচি
বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির বীর সন্তানদের স্মরণে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। ঢাকাসহ সারাদেশে ২৬ মার্চে দিবসটির উদযাপন শুরু হবে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে। এরপর ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানাবেন।
পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। একইভাবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে আগের দিন কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঢাকা ও অন্যান্য শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক বিভাজক জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে।
সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন রেখেছে।
মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি ও হাডুডুসহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে আশ্রয়কেন্দ্র ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের প্রতিটি শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনামূল্যে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।