ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চেকপোস্ট ও টহল জোরদার
সারাদেশে ৩ হাজার ৯শ’ কিলোমিটার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঈদ নিরাপত্তা দেয়া শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এ নিরাপত্তা দেয়া শুরু হয়েছে। চলবে ঈদ পর্যন্ত। হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সংবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিআইজি অপারেশন জানান, হাইওয়ে পুলিশের সাড়ে ৩ হাজার সদস্য মহাসড়কে নিরাপত্তা টহল দেয়া শুরু করেছে। যে সব পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে বাড়তি ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। তাদের সহায়তা করতে মহাসড়কসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলা পুলিশও নিরাপত্তার বাড়তি দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামরা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন। হাইওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা তদারকি করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও
নিরাপত্তার সর্বক্ষণ খোঁজখবর রাখছেন।
রাস্তায় কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাতে রাস্তায় প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশের রেকার প্রস্তুত রাখা হবে। আর পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। সন্দেহজনক ও ফিটনেসবিহীন বা পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ সব প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বাড়তি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
বিভাগীয় একজন ডিআইজি জানান, মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে যা কিছু দরকার সব নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করছে। জেলা পুলিশ ও আর্মড ব্যাটালিয়ন (এপিবিবিএন) পুলিশ হাইওয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবে।
ডাকাতিপ্রবণ এলাকাগুলোতে পথে পথে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঈদমুখী যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারে তার জন্য মঙ্গলবার থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া চলছে। হাইওয়ে পুলিশকে আরও অতিরিক্ত ৭শ’ ফোর্স পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। জেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রোল টিম রাতে কাজ করছে। আর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপরাধী চিহ্নিত করতে স্থাপন করা ১৪৭২টি সিসি ক্যামরার চালু আছে। নষ্ট সিসি ক্যামরাগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের এসপি আ.ক.ম, আকতারুজ্জামান বসুনিয়া সংবাদকে জানান, ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যেমন গাজীপুরের চন্দ্র ও টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভূলতা, কাঁচপুর, মোঘরাপাড়া, বিভিন্ন টোল প্লাজা, মাওয়া টোল প্লাজা, আশুগঞ্জ, ভৈরবসহ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তায় ২৪ মার্চ সোমবার বিকেলে থেকে দায়িত্ব দেয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ থেকে তারা পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে জনভোগান্তি কমাতে হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও জেলা কাজ করবেন। এর জন্য বাড়তি যানবাহন ও বাড়তি ফোর্সের ব্যবস্থা করছেন পুলিশ সদর দপ্তর। নিরাপত্তায় ২ হাজার ৯শ’ হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও ৭শ’ ফোর্স বাড়তি থাকছে।
যেসব ডাকাত আগে মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে এমন ডাকাতদের তালিকা সংগ্রহ করে মহাসড়কে ডাকাত চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন থেকে ৪ জন হলে ছিনতাইকারী বা দস্যুতা। ৫ জনের বেশি হলে বা ৭ থেকে ৮ জন হলে ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে। এসব ডাকাতের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা বহরে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর রুটভিত্তিক যানবাহনের গতি নির্ধারণ, যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে জাতীয় মহাসড়ক থেকে রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঈদের বন্ধের সময় উচ্ছেদ করতে হবে।
মহাসড়ক, রেলপথ ও নৌপথে যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, টিকেট কালোবাজারি বন্ধে গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।
এদিকে পুলিশের একজন ডিআইজি মঙ্গলবার রাতে সংবাদকে জানান, দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এই জন্য এইবার ঈদে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছেন। মহাসড়কে যাতে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি না করতে পারে তার জন্য পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে কাজ করছে বলে ওই ডিআইজি জানিয়েছেন।
ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে চেকপোস্ট ও টহল জোরদার
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সারাদেশে ৩ হাজার ৯শ’ কিলোমিটার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঈদ নিরাপত্তা দেয়া শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এ নিরাপত্তা দেয়া শুরু হয়েছে। চলবে ঈদ পর্যন্ত। হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সংবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিআইজি অপারেশন জানান, হাইওয়ে পুলিশের সাড়ে ৩ হাজার সদস্য মহাসড়কে নিরাপত্তা টহল দেয়া শুরু করেছে। যে সব পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ সেখানে বাড়তি ফোর্স নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। তাদের সহায়তা করতে মহাসড়কসংলগ্ন জেলাগুলোর জেলা পুলিশও নিরাপত্তার বাড়তি দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামরা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন। হাইওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা তদারকি করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও
নিরাপত্তার সর্বক্ষণ খোঁজখবর রাখছেন।
রাস্তায় কোনো যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাতে রাস্তায় প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি না হয় তার জন্য পুলিশের রেকার প্রস্তুত রাখা হবে। আর পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। সন্দেহজনক ও ফিটনেসবিহীন বা পুরোনো লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ সব প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বাড়তি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন শুরু করছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
বিভাগীয় একজন ডিআইজি জানান, মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে যা কিছু দরকার সব নিয়ে পুলিশ কাজ শুরু করছে। জেলা পুলিশ ও আর্মড ব্যাটালিয়ন (এপিবিবিএন) পুলিশ হাইওয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করবে।
ডাকাতিপ্রবণ এলাকাগুলোতে পথে পথে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ঈদমুখী যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারে তার জন্য মঙ্গলবার থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট পোশাকে ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া চলছে। হাইওয়ে পুলিশকে আরও অতিরিক্ত ৭শ’ ফোর্স পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে। জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। জেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রোল টিম রাতে কাজ করছে। আর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপরাধী চিহ্নিত করতে স্থাপন করা ১৪৭২টি সিসি ক্যামরার চালু আছে। নষ্ট সিসি ক্যামরাগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের এসপি আ.ক.ম, আকতারুজ্জামান বসুনিয়া সংবাদকে জানান, ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে বাড়তি নিরাপত্তা ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। যেমন গাজীপুরের চন্দ্র ও টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভূলতা, কাঁচপুর, মোঘরাপাড়া, বিভিন্ন টোল প্লাজা, মাওয়া টোল প্লাজা, আশুগঞ্জ, ভৈরবসহ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তায় ২৪ মার্চ সোমবার বিকেলে থেকে দায়িত্ব দেয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৫ মার্চ থেকে তারা পুরো দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে জনভোগান্তি কমাতে হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও জেলা কাজ করবেন। এর জন্য বাড়তি যানবাহন ও বাড়তি ফোর্সের ব্যবস্থা করছেন পুলিশ সদর দপ্তর। নিরাপত্তায় ২ হাজার ৯শ’ হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও ৭শ’ ফোর্স বাড়তি থাকছে।
যেসব ডাকাত আগে মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে এমন ডাকাতদের তালিকা সংগ্রহ করে মহাসড়কে ডাকাত চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন থেকে ৪ জন হলে ছিনতাইকারী বা দস্যুতা। ৫ জনের বেশি হলে বা ৭ থেকে ৮ জন হলে ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে। এসব ডাকাতের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা বহরে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর রুটভিত্তিক যানবাহনের গতি নির্ধারণ, যানজট ও দুর্ঘটনা কমাতে জাতীয় মহাসড়ক থেকে রিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঈদের বন্ধের সময় উচ্ছেদ করতে হবে।
মহাসড়ক, রেলপথ ও নৌপথে যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, টিকেট কালোবাজারি বন্ধে গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।
এদিকে পুলিশের একজন ডিআইজি মঙ্গলবার রাতে সংবাদকে জানান, দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এই জন্য এইবার ঈদে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছেন। মহাসড়কে যাতে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি না করতে পারে তার জন্য পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে কাজ করছে বলে ওই ডিআইজি জানিয়েছেন।