একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিচার এবং সংস্কারের প্রশ্নকে ‘পাশ কাটিয়ে’ নির্বাচনকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেছেন, সংস্কার ও বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচন এনসিপি মেনে নেবে না। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে সংস্কার এবং বিচারবিহীন যদি নির্বাচন দেয়া হয় এবং কেবল কোনো একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই নির্বাচন চাপিয়ে দেয়া হয় সংস্কার এবং বিচার ছাড়া তাহলে তা অবশ্যই মেনে নেয়া হবে না।’ নাহিদের অভিযোগ, কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একদিকে বিচার এবং সংস্কারের প্রশ্নকে ‘পাশ কাটিয়ে’ নির্বাচনকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের ‘পাঁয়তারা চলছে’। এ ধরনের কাজকে প্রতিহত করার পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে সামনে নিয়ে এনসিপি এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
একাত্তরের সংগ্রাম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান- এই দুই সংগ্রামের অর্জিত স্বাধীনতা ‘পরস্পরবিরোধী নয়’ মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয়, বরং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৭১ এর স্পিরিট পুনর্জীবিত হয়েছে। ৭১ এ আমরা যা চেয়েছিলাম তা ৫৪ বছরে অর্জিত হয়নি বিধায় একটা ফ্যাসিজম ১৫ বছর ধরে চেপে বসেছিল, বিধায়ই আরেকটা গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয়েছিল।’
নাহিদের ভাষায়, ‘একাত্তরের যে সাম্যের কথা বলা হয়েছিলন চব্বিশেও সেই বৈষম্যহীন সমাজের কথাই বলা হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের সংগ্রাম, ৪৭ এর আজাদীর লড়াই এসব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতে চেয়েছিলাম, সুযোগ এবং সম্ভাবনা গণঅভ্যুত্থানের পরে তৈরি
হয়েছে।’ কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে সেই সুযোগ যাতে নষ্ট করে ফেলা না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।
যারা ৭১ এবং ২৪ কে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য ‘অসৎ’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘তারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। তরুণরা নেমে এসেছে, নতুন সময়ের যে বার্তা সেটাকে তারা ধারণ করতে পারছে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও পুরনো সংবিধান এবং ভোট ব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে এবং বারবার যেটা বেহাত হয়েছে এবং বারবার রক্ত দিতে হয়েছে জনগণকে। আমাদের যাতে আর রক্ত দিতে না হয় জনগণের এমনটাই প্রত্যাশা আজকের দিনে।’ বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে এনসিপির যে দাবি, সে পথ ধরে এগিয়ে চলে ‘জাতির উত্তরণ’ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাহিদ।
৫ আগস্টের আগে দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, তাতে কোনো ফাটল দেখছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের যে সুযোগ এবং পাটাতন তৈরি হয়েছিল, দল এখনো সে পাটাতনেই আছে। এখন হয়তো বিভিন্ন দলের এজেন্ডা আলাদা হচ্ছে, কিন্তু আমরা যদি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে চাই, দেশের স্বার্থকে আমরা রক্ষা করতে চাই তাহলে এই একই পাটাতনে থেকে আমাদের পরস্পর ভিন্ন মত, লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও সামনের দিকে আগাতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি না, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে বা বিনষ্ট হউক আমরা চাই না। কিন্তু যদি গণঅভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা, জনগণের সংস্কার এবং পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা, সে আকাক্সক্ষা থেকে যদি কেউ সরে যায়, তাহলে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আর ঐক্যের সুযোগ থাকবে না।’
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য বিচার এবং সংস্কারের প্রশ্নকে ‘পাশ কাটিয়ে’ নির্বাচনকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেছেন, সংস্কার ও বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচন এনসিপি মেনে নেবে না। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে সংস্কার এবং বিচারবিহীন যদি নির্বাচন দেয়া হয় এবং কেবল কোনো একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্যই নির্বাচন চাপিয়ে দেয়া হয় সংস্কার এবং বিচার ছাড়া তাহলে তা অবশ্যই মেনে নেয়া হবে না।’ নাহিদের অভিযোগ, কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একদিকে বিচার এবং সংস্কারের প্রশ্নকে ‘পাশ কাটিয়ে’ নির্বাচনকে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের ‘পাঁয়তারা চলছে’। এ ধরনের কাজকে প্রতিহত করার পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে সামনে নিয়ে এনসিপি এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
একাত্তরের সংগ্রাম এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান- এই দুই সংগ্রামের অর্জিত স্বাধীনতা ‘পরস্পরবিরোধী নয়’ মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৭১ এবং ২৪ আলাদা কিছু নয়, বরং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৭১ এর স্পিরিট পুনর্জীবিত হয়েছে। ৭১ এ আমরা যা চেয়েছিলাম তা ৫৪ বছরে অর্জিত হয়নি বিধায় একটা ফ্যাসিজম ১৫ বছর ধরে চেপে বসেছিল, বিধায়ই আরেকটা গণঅভ্যুত্থানের প্রয়োজন হয়েছিল।’
নাহিদের ভাষায়, ‘একাত্তরের যে সাম্যের কথা বলা হয়েছিলন চব্বিশেও সেই বৈষম্যহীন সমাজের কথাই বলা হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের সংগ্রাম, ৪৭ এর আজাদীর লড়াই এসব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেতে চেয়েছিলাম, সুযোগ এবং সম্ভাবনা গণঅভ্যুত্থানের পরে তৈরি
হয়েছে।’ কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে সেই সুযোগ যাতে নষ্ট করে ফেলা না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।
যারা ৭১ এবং ২৪ কে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য ‘অসৎ’ মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, ‘তারা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে প্রকৃতভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। তরুণরা নেমে এসেছে, নতুন সময়ের যে বার্তা সেটাকে তারা ধারণ করতে পারছে না। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও পুরনো সংবিধান এবং ভোট ব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমাদের যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে এবং বারবার যেটা বেহাত হয়েছে এবং বারবার রক্ত দিতে হয়েছে জনগণকে। আমাদের যাতে আর রক্ত দিতে না হয় জনগণের এমনটাই প্রত্যাশা আজকের দিনে।’ বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে এনসিপির যে দাবি, সে পথ ধরে এগিয়ে চলে ‘জাতির উত্তরণ’ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাহিদ।
৫ আগস্টের আগে দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, তাতে কোনো ফাটল দেখছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের যে সুযোগ এবং পাটাতন তৈরি হয়েছিল, দল এখনো সে পাটাতনেই আছে। এখন হয়তো বিভিন্ন দলের এজেন্ডা আলাদা হচ্ছে, কিন্তু আমরা যদি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে চাই, দেশের স্বার্থকে আমরা রক্ষা করতে চাই তাহলে এই একই পাটাতনে থেকে আমাদের পরস্পর ভিন্ন মত, লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও সামনের দিকে আগাতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি না, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে বা বিনষ্ট হউক আমরা চাই না। কিন্তু যদি গণঅভ্যুত্থানের যে আকাক্সক্ষা, জনগণের সংস্কার এবং পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা, সে আকাক্সক্ষা থেকে যদি কেউ সরে যায়, তাহলে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আর ঐক্যের সুযোগ থাকবে না।’