চীন সফরের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সফরে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ভারতকে এই ইচ্ছের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বার্তা পাঠানো হলেও প্রতিবেশী দেশটি থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’কে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
তিনি ইংরেজি দৈনিকটিকে বলেন, ‘চীন সফর চূড়ান্ত করার অনেক আগে প্রধান উপদেষ্টা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরেই ভারতকে বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভারত থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
চারদিনের সফরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের গতকাল চীন সফরে যান। এ সফরে তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা চান বাংলাদেশকে চীন তার বিনিয়োগের গন্তব্য করে তুলুক। বিশেষ করে উৎপাদনশিল্পে।’
চীন থেকে ফিরেই প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) সদস্যদেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।
আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল বিমসটেক সম্মেলনের আসরে ইউনূস চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে।
প্রেস সচিব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক দিন আগে এই ইচ্ছা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে বার্তা দিয়েছে। কিন্তু বৈঠক নিয়ে ভারত এখনও কিছু জানায়নি।’
চলমান চীন সফর প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সফরকালে চীনের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন। অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চান। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান, যাতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহী হন।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘বহু দেশ নানা কারণে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কিত। বাংলাদেশ সেই সুযোগ গ্রহণ করতে চায়। চীনা বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের
আসরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হয়েছিল। ওয়াং ই সেই সময় মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চীনের পুরোনো বন্ধু’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। সেই বৈঠকে চীনকে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্যানেল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ার ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
মুহাম্মদ ইউনূসকে মালয়েশিয়াও দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি তা গ্রহণও করেছেন। মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
চীন সফরের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারত সফরে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ভারতকে এই ইচ্ছের কথা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বার্তা পাঠানো হলেও প্রতিবেশী দেশটি থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’কে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
তিনি ইংরেজি দৈনিকটিকে বলেন, ‘চীন সফর চূড়ান্ত করার অনেক আগে প্রধান উপদেষ্টা ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার গত ডিসেম্বরেই ভারতকে বার্তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভারত থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
চারদিনের সফরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের গতকাল চীন সফরে যান। এ সফরে তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা চান বাংলাদেশকে চীন তার বিনিয়োগের গন্তব্য করে তুলুক। বিশেষ করে উৎপাদনশিল্পে।’
চীন থেকে ফিরেই প্রধান উপদেষ্টা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যাবেন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) সদস্যদেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।
আগামী ৩ ও ৪ এপ্রিল বিমসটেক সম্মেলনের আসরে ইউনূস চান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করতে।
প্রেস সচিব এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক দিন আগে এই ইচ্ছা প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার ভারতকে বার্তা দিয়েছে। কিন্তু বৈঠক নিয়ে ভারত এখনও কিছু জানায়নি।’
চলমান চীন সফর প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সফরকালে চীনের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন। অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ব্যবসাবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চান। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান, যাতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহী হন।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘বহু দেশ নানা কারণে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কিত। বাংলাদেশ সেই সুযোগ গ্রহণ করতে চায়। চীনা বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের
আসরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হয়েছিল। ওয়াং ই সেই সময় মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চীনের পুরোনো বন্ধু’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। সেই বৈঠকে চীনকে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্যানেল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ার ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
মুহাম্মদ ইউনূসকে মালয়েশিয়াও দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি তা গ্রহণও করেছেন। মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।