স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট সেবায় আইনানুগ আড়ি পাতার সুযোগ রেখে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলে সেখানেও আইনানুগ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।
বুধবার বিটিআরসি নতুন নির্দেশিকাটি প্রকাশ করে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’। এটি স্টারলিংকের সম্ভাব্য কার্যক্রম বিবেচনায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। স্টারলিংক হলো প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। পরে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশিকার ২৬(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইনানুগ আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এর জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে একটি ‘গেটওয়ে সিস্টেম’ স্থাপন করতে হবে, যার মাধ্যমে নির্ধারিত সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারবে। এ ছাড়া লাইসেন্সধারীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে এবং বিটিআরসি অনুমোদিত ট্যারিফ অনুসরণ করতে হবে।
নতুন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক নিবন্ধন ফি ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য ৩০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দুই বছর সেবাদাতাকে কোনো রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে না, তবে তৃতীয় বছর থেকে ৩ শতাংশ এবং ষষ্ঠ বছর থেকে ৫.৫ শতাংশ রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেছেন, আড়ি পাতার সুযোগ রাখলে তার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা জরুরি। কারণ, এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে। কাদের দায়িত্বে আড়ি পাতা থাকবে, কীভাবে এটি কার্যকর হবে এবং কারা জবাবদিহির আওতায় থাকবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
দেশীয় আইআইজির মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ গ্রহণ করলে সরকার প্রয়োজনে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট নীতি থাকা দরকার বলে মত দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট সেবায় আইনানুগ আড়ি পাতার সুযোগ রেখে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলে সেখানেও আইনানুগ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে।
বুধবার বিটিআরসি নতুন নির্দেশিকাটি প্রকাশ করে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’। এটি স্টারলিংকের সম্ভাব্য কার্যক্রম বিবেচনায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। স্টারলিংক হলো প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। পরে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশিকার ২৬(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইনানুগ আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এর জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে একটি ‘গেটওয়ে সিস্টেম’ স্থাপন করতে হবে, যার মাধ্যমে নির্ধারিত সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারবে। এ ছাড়া লাইসেন্সধারীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে এবং বিটিআরসি অনুমোদিত ট্যারিফ অনুসরণ করতে হবে।
নতুন নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক নিবন্ধন ফি ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য ৩০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দুই বছর সেবাদাতাকে কোনো রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে না, তবে তৃতীয় বছর থেকে ৩ শতাংশ এবং ষষ্ঠ বছর থেকে ৫.৫ শতাংশ রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেছেন, আড়ি পাতার সুযোগ রাখলে তার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি থাকা জরুরি। কারণ, এ ধরনের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে অসন্তোষ রয়েছে। কাদের দায়িত্বে আড়ি পাতা থাকবে, কীভাবে এটি কার্যকর হবে এবং কারা জবাবদিহির আওতায় থাকবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
দেশীয় আইআইজির মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ গ্রহণ করলে সরকার প্রয়োজনে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের একটি স্পষ্ট নীতি থাকা দরকার বলে মত দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।