alt

জাতীয়

দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি

বাসস : শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ও চীন কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও সুসংহত ও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অধ্যাপক ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে পরে দুই দেশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ৪ দিনের চীনে সরকারি সফরে রয়েছেন। বুধবার তিনি চীনে যান। এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

একাধিক বৈঠক ছাড়াও শুক্রবার উভয় পক্ষ একটি চুক্তি ও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং নীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সমুদ্রসংক্রান্ত বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতাসংক্রান্ত নতুন সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এশিয়ার বোয়াও ফোরামের মহাসচিবের আমন্ত্রণে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ ও ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন। এরপর, চীন সরকারের আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফরে রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয় উভয় দেশ একমত হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সবসময় শক্তিশালী ও স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে গেছে। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে গভীর আগ্রহী চীন।

উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির প্রতি অটল থাকার, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এগিয়ে নেয়ার, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করার, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় গভীর করার এবং বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। উভয়পক্ষ পরস্পরের প্রধানতম স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়ে পারস্পরিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তাকে শ্রদ্ধা করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সমর্থন প্রদান করে।

চীন বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্ধারিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন পথ অনুসন্ধানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বলে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতির অনুসারী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর শাসন পরিচালনা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে আসছে।

উভয়পক্ষ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বাস্তবিক বহুপক্ষীয়তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৃহত্তর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

গকাল সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান ‘নতুন

বাংলাদেশ’ গঠনের পথ সুগম করেছে।বৈঠকের সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন এবং মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ এবং চীনা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে সে দেশের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীন থেকে ২.১ বিলিয়ন

ডলারের প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ চীন সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।

চীন আরও মোংলাবন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

চীনা বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চীনা বিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা (চীনা বিনিয়োগকারীরা) বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।”

শুক্রবার বেইজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’ এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বিনিয়োগ সংলাপে এমন বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।

ব্যবসায়ীদের সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। এছাড়া, বাংলাদেশ এমন একটি চমৎকার ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে যেখানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বড় বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কথা উল্লেখ করে তিনি বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। তিনি এসব দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন, যা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশের মানবসম্পদের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং প্রতি বছর আরও ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব নেইÑ পুরুষ এবং নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে।”

ঢাকা-বেইজিং ৯ চুক্তি ও এমওইউ সই

বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। এর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে। আর চিরায়ত সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিনিময় ও সহযোগিতা, সংবাদ বিনিময়সহ গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের মধ্যে শুক্রবার বেইজিংয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি বিনিয়োগসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর জন্য পাঁচটি ঘোষণাও এসেছে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে।

বাংলাদেশে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি নথি স্বাক্ষর হয়েছে। পাশাপাশি মোংলাবন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে দুই দেশ। চীন বাংলাদেশে একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি অনুদান হিসেবে একটি কার্ডিয়াক সার্জারি ভেহিকেল দেবে। এ বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে নথি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে এবং চীনের শিল্প কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরে সমর্থন দেওয়া হবে। বৈঠকের এ ফলাফলকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করে শফিকুল আলম বলেন, “আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক; সেখানে উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যের ছাপ ছিল।বৈঠকে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে। ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।”

প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চীনের সমর্থনের কথা বৈঠকে আবারো তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট শি। চীনা ঋণের সুদ হার কমানো এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার মত বিষয়ও রয়েছে এর মধ্যে।

সিসিপিআইটির ভাইস-চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) -এর ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াও ওয়াং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। বেইজিংয়ের প্রেসিডেন্সিয়ালে শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ছবি

ঢাকার রাস্তায় বণাঢ্য ঈদ আনন্দ মিছিল

ছবি

দূরত্ব ঘুচিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে এগোনোর বার্তা প্রধান উপদেষ্টার

২ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৪১ লাখ সিম ব্যবহারকারী

দ্রুত নির্বাচন চেয়ে ঈদের জামাতে দোয়া

ছবি

আজ খুশির ঈদ

ঢাকায় কখন কোথায় ঈদের জামাত

ছবি

বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঈদগাহে

ছবি

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের ইতিবাচক সাড়া

ছবি

বাংলাদেশে সোমবার ঈদুল ফিতর

ঢাকায় ঈদ করবেন প্রধান উপদেষ্টা, ঈদের নামাজ পড়বেন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

ট্রেনের টিকিট নিয়ে কোনো কালোবাজারি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

কখন কোথায় ঈদুল ফিতরের জামাত

মায়ানমারে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল

ছবি

ক্যাপসিকামের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা

ঈদের দিনও থাকবে গরম, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১

এবারও ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ, আগে-পরের সূচিতে নেই রদবদল

ছবি

বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি, সতর্ক থাকার পরামর্শ

রবিবার চাঁদ দেখা গেলে সোমবার ঈদ

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

নির্বাচন লক্ষ্যে রেখে ব্যস্ত এনসিপি

তালাবদ্ধ বাসা থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, খুনের রহস্য উদ্ঘাটন

প্রণয় ভার্মা-দ্বিবেদী বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

অন্তর্বর্তী সরকারের অনির্দিষ্টকাল ক্ষমতায় থাকা মেনে নেয়া হবে না: ফখরুল

ছবি

ঈদের তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা

দেশে ভূমিকম্পের ‘উচ্চঝুঁকিতে’ চার অঞ্চলের কথা জানালো ফায়ার সার্ভিস

ঈদে নিরাপত্তা হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মায়ানমারে ভূমিকম্প: ধ্বংসস্তূপ, খালি হাতেই চলছে আটকেপড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা

ছবি

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস

ছবি

বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা, উচ্চ ঝুঁকিতে চার অঞ্চল: ফায়ার সার্ভিস

ছবি

রাজধানীতে ঈদে নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পানি ব্যবস্থাপনার জন্য চীনের কাছ থেকে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান

ঢাকা ও বগুড়ায় এমপি পদ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি হিরো আলমের

tab

জাতীয়

দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি

বাসস

শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ও চীন কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও সুসংহত ও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অধ্যাপক ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে পরে দুই দেশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ৪ দিনের চীনে সরকারি সফরে রয়েছেন। বুধবার তিনি চীনে যান। এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

একাধিক বৈঠক ছাড়াও শুক্রবার উভয় পক্ষ একটি চুক্তি ও ৮টি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। উভয়পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং নীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সমুদ্রসংক্রান্ত বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতাসংক্রান্ত নতুন সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এশিয়ার বোয়াও ফোরামের মহাসচিবের আমন্ত্রণে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ ও ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন। এরপর, চীন সরকারের আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফরে রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয় উভয় দেশ একমত হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সবসময় শক্তিশালী ও স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে গেছে। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে গভীর আগ্রহী চীন।

উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির প্রতি অটল থাকার, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এগিয়ে নেয়ার, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করার, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় গভীর করার এবং বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। উভয়পক্ষ পরস্পরের প্রধানতম স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়ে পারস্পরিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তাকে শ্রদ্ধা করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সমর্থন প্রদান করে।

চীন বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্ধারিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন পথ অনুসন্ধানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বলে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতির অনুসারী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর শাসন পরিচালনা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে আসছে।

উভয়পক্ষ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বাস্তবিক বহুপক্ষীয়তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৃহত্তর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

গকাল সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান ‘নতুন

বাংলাদেশ’ গঠনের পথ সুগম করেছে।বৈঠকের সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন এবং মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ এবং চীনা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে সে দেশের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীন থেকে ২.১ বিলিয়ন

ডলারের প্রতিশ্রুতি

বাংলাদেশ চীন সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।

চীন আরও মোংলাবন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

চীনা বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি চীনা বিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা (চীনা বিনিয়োগকারীরা) বাংলাদেশের ব্যবসার সম্ভাবনার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।”

শুক্রবার বেইজিংয়ের ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল’ এ চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বিনিয়োগ সংলাপে এমন বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা।

ব্যবসায়ীদের সংলাপে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। এছাড়া, বাংলাদেশ এমন একটি চমৎকার ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে যেখানে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বড় বড় নদী প্রবাহিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের কথা উল্লেখ করে তিনি বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে সমুদ্রের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নেপাল ও ভুটান স্থলবেষ্টিত দেশ, যাদের কোনো সমুদ্র নেই। ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যও স্থলবেষ্টিত। তিনি এসব দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর জোর দেন, যা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশের মানবসম্পদের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং প্রতি বছর আরও ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব নেইÑ পুরুষ এবং নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করছে।”

ঢাকা-বেইজিং ৯ চুক্তি ও এমওইউ সই

বাংলাদেশ ও চীন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। এর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে। আর চিরায়ত সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিনিময় ও সহযোগিতা, সংবাদ বিনিময়সহ গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের মধ্যে শুক্রবার বেইজিংয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের বরাত দিয়ে বাসস জানায়, চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি বিনিয়োগসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর জন্য পাঁচটি ঘোষণাও এসেছে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে।

বাংলাদেশে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি নথি স্বাক্ষর হয়েছে। পাশাপাশি মোংলাবন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে দুই দেশ। চীন বাংলাদেশে একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি অনুদান হিসেবে একটি কার্ডিয়াক সার্জারি ভেহিকেল দেবে। এ বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে নথি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে এবং চীনের শিল্প কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরে সমর্থন দেওয়া হবে। বৈঠকের এ ফলাফলকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করে শফিকুল আলম বলেন, “আলোচনা ছিল খুবই ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক; সেখানে উষ্ণতা ও সৌহার্দ্যের ছাপ ছিল।বৈঠকে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে। ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।”

প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চীনের সমর্থনের কথা বৈঠকে আবারো তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট শি। চীনা ঋণের সুদ হার কমানো এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার মত বিষয়ও রয়েছে এর মধ্যে।

সিসিপিআইটির ভাইস-চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) -এর ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াও ওয়াং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। বেইজিংয়ের প্রেসিডেন্সিয়ালে শুক্রবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

back to top