প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে কেন্দ্র করে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান।
রোববার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে আগামী ৫০ বছরের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে চীনের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। চীন এসব ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি, এবং চীনও সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। চারদিনের সফর শেষে শনিবার তিনি দেশে ফেরেন। সফরে জলবিদ্যুৎ, বন্যা ব্যবস্থাপনা, নদী খনন ও পানিসম্পদ উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও চীন একমত হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।
শুক্রবার উভয় পক্ষ ইয়ারলুং জাংবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বাস্তবায়নে ইতিবাচক আলোচনা করেছে। যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন। এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে আগামী ৫০ বছরের পানির চাহিদা পূরণে সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন নদীর পানি সংরক্ষণ, বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে আগ্রহী, এবং তারাও এতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এ সফরে আমরা চাবিটা খুলে দিয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার, ৩০ মার্চ ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরকে কেন্দ্র করে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান।
রোববার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে আগামী ৫০ বছরের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে চীনের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। চীন এসব ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি, এবং চীনও সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। চারদিনের সফর শেষে শনিবার তিনি দেশে ফেরেন। সফরে জলবিদ্যুৎ, বন্যা ব্যবস্থাপনা, নদী খনন ও পানিসম্পদ উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও চীন একমত হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।
শুক্রবার উভয় পক্ষ ইয়ারলুং জাংবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বাস্তবায়নে ইতিবাচক আলোচনা করেছে। যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশ নেন। এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। বাংলাদেশ চীন সরকার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২১০ কোটি ডলারের ঋণ, অনুদান ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে।
চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে আগামী ৫০ বছরের পানির চাহিদা পূরণে সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন নদীর পানি সংরক্ষণ, বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে আগ্রহী, এবং তারাও এতে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এ সফরে আমরা চাবিটা খুলে দিয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।