ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সীমান্তবর্তী ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে অশ্লীল নৃত্য ও ধারালো অস্ত্রের মহড়া দেয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা ‘ডেঞ্জার গ্যাং’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গত বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের টহল দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

অভিযানে ঢাকা-নবাবগঞ্জ মহাসড়কের তুলসীখালী সেতুর নিচ থেকে ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জের দৌলতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই লিডারকে আটক করে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি রামদা, ৭টি কুড়াল, ছুরি, হকিস্টিক ও লোহার পাইপ জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন হাসেম আলী (২৭), মো. শেখ (১৯) ও সোহাগ মোল্লা (২০)। বাকিরা শিশু ও কিশোর।

সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ধলেশ্বরী নদীতে নৌকার উপর উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে নাচানাচি করছিল। পরে নৌকাটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ডেঞ্জার গ্যাংয়ের ১৪ সদস্যসহ ৮টি রামদা ও ৭টি কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজন গ্যাং লিডারকে আটক করে সবাইকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর টহল দল গ্যাংটির পালিয়ে যাওয়া সদস্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।

তুলসীখালী এলাকার বাসিন্দা জয়নাল ব্যাপারী বলেন, ঈদের দিন থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বখাটেরা ট্রলারে তুলসীখালী সেতুর আশপাশে নদীতে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে অশ্লীল নাচানাচি করে। পাশাপাশি তারা দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দিচ্ছিল। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ট্রলারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের আটক করে। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। জনগণের স্বার্থে এমন অভিযান নিয়মিত চালানো দরকার।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করেছে। অভিযানে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।