জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দোলপূর্ণিমার মেলায় শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শণের অভিযোগে অনুমতি বাতিল করে মেলা ও যাত্রাপালা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অনুমতির শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে গত ১৩ মার্চ শুরু হওয়া ৫শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ মেলা ১৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার রমজান মাস হওয়ায় যাত্রাপালা, পুতুল নাচসহ বিনোদনের কোনো অনুমোদন ছিল না। গত ১ এপ্রিল থেকে শিল্পকলা একাডেমি অনুমোদিত হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার জন্য এবার চৈতালী অপেরা নামের একটি যাত্রাপালার দলকে অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। শর্ত ছিল অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে।
১ ও ২ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে শুরু হয় যাত্রাপালা। শুরুতে অশ্লীলতা না থাকলেও রাত যত গভীর হয় ওই যাত্রাপালায় অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন ততই বেড়ে যায়। প্রদর্শিত অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অশ্লীলতা পরিহার করে সুস্থ ধারার হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আয়োজকরা সেসব শর্ত ভঙ্গ করেছে: জেলা প্রশাসক
গোপীনাথপুরের বাসিন্দা শাহজান বলেন, গোপীনাথের মেলাটি ৫শ’ বছরের পুরনো ও এতিহ্যবাহী মেলা। গত কয়েক বছর ধরে মেলায় পুতুল নাচ ও যাত্রাপালাসহ বিনোদন বন্ধ ছিল। এবার প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অশ্লীলতামুক্ত গ্রামীণ যাত্রাপালার নামে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এতে যুব সমাজের নৈতিকতা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। যাত্রার নামে এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
মেলা কমিটির সভাপতি ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, যাত্রার নামে অশ্লীলতার অভিযোগে মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এর আগে অনুমতি না নিয়ে দুইটি পুতুল নাচে (ছায়াবাজি) অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শণ করায় তা ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, মেলায় অশ্লীলতা পরিহার করে সুস্থ ধারা হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আয়োজকরা সেসব শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করায় মেলা ও যাত্রাপালা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দোলপূর্ণিমার মেলায় শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শণের অভিযোগে অনুমতি বাতিল করে মেলা ও যাত্রাপালা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অনুমতির শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে গত ১৩ মার্চ শুরু হওয়া ৫শ’ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ মেলা ১৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবার রমজান মাস হওয়ায় যাত্রাপালা, পুতুল নাচসহ বিনোদনের কোনো অনুমোদন ছিল না। গত ১ এপ্রিল থেকে শিল্পকলা একাডেমি অনুমোদিত হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার জন্য এবার চৈতালী অপেরা নামের একটি যাত্রাপালার দলকে অনুমোদন দেয় জেলা প্রশাসন। শর্ত ছিল অশ্লীলতামুক্ত হতে হবে।
১ ও ২ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে শুরু হয় যাত্রাপালা। শুরুতে অশ্লীলতা না থাকলেও রাত যত গভীর হয় ওই যাত্রাপালায় অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন ততই বেড়ে যায়। প্রদর্শিত অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অশ্লীলতা পরিহার করে সুস্থ ধারার হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আয়োজকরা সেসব শর্ত ভঙ্গ করেছে: জেলা প্রশাসক
গোপীনাথপুরের বাসিন্দা শাহজান বলেন, গোপীনাথের মেলাটি ৫শ’ বছরের পুরনো ও এতিহ্যবাহী মেলা। গত কয়েক বছর ধরে মেলায় পুতুল নাচ ও যাত্রাপালাসহ বিনোদন বন্ধ ছিল। এবার প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অশ্লীলতামুক্ত গ্রামীণ যাত্রাপালার নামে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এতে যুব সমাজের নৈতিকতা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। যাত্রার নামে এসব অপসংস্কৃতি বন্ধ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
মেলা কমিটির সভাপতি ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, যাত্রার নামে অশ্লীলতার অভিযোগে মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এর আগে অনুমতি না নিয়ে দুইটি পুতুল নাচে (ছায়াবাজি) অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শণ করায় তা ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, মেলায় অশ্লীলতা পরিহার করে সুস্থ ধারা হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ যাত্রাপালা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। আয়োজকরা সেসব শর্ত ভঙ্গ করে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করায় মেলা ও যাত্রাপালা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।