বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় অঙ্কের সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারপ্রধানের প্রেস অফিস।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠক শুরুর আগে সন্ধ্যায় যমুনার গেটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান শনিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীরা যেসব সুপারিশ দিয়েছেন, তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।
এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে মোট ৫২ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধানে ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হবে বলে তিনি আশাবাদী।
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় অঙ্কের সম্পূরক শুল্ক বসানোর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারপ্রধানের প্রেস অফিস।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন আহমেদ, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠক শুরুর আগে সন্ধ্যায় যমুনার গেটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান শনিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীরা যেসব সুপারিশ দিয়েছেন, তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।
এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে মোট ৫২ শতাংশ হয়েছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধানে ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হবে বলে তিনি আশাবাদী।