বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় অঙ্কের শুল্ক বসানোর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের তরফে সরকারি বিভিন্ন আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের নীতি শাখার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এলএনজি ও গমসহ যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা সম্ভব এবং সরকারের প্রয়োজন রয়েছে, তা সেখান থেকেই বাড়তি খরচ হলেও আমদানি করে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু পণ্যের তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর আমদানি শুল্ক কমানো যেতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, এনবিআরের নীতি শাখা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের আমদানি পর্যায়ে কত শুল্ক রয়েছে, কোথায় প্যারা ট্যারিফ রয়েছে এবং কত শুল্ক আদায় হয়, সে বিষয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রস্তুত করেছে।
তার ভাষ্য, “আমেরিকা থেকে যে পণ্য আমরা আনি, যেখানে বলা হয়েছে আমরা ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি, এটা ভুল। আমাদের রিভিউ করে দেখা গেছে, আমাদের ইফেক্টিভ রেট হচ্ছে ৫ শতাংশেরও কম। তার মানে হচ্ছে, আপনি যদি ইমপোর্ট না বাড়ান, আর আপনি যদি ডিউটি জিরো করে দেন, লাভ নাই। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইমপোর্ট ডিউটি জিরো করলেও যে ইমপোর্ট বাড়বে তা কিন্তু না।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৫২ শতাংশে।
এ অবস্থায় এনবিআরের প্রস্তাবে কী রয়েছে, জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কিছু প্রোডাক্টের লিস্ট বানিয়ে দিছি চেয়ারম্যান স্যারকে। সেখানে কিছু ডিউটি কমাতে হবে। আমরা ১০টার মত প্রোডাক্টের লিস্ট বানিয়ে দিছি। বাল্ব আছে, পাইপে ইউস করে, জেনারেটর, জেনারেটিং সেট, ইলেক্ট্রিক্যাল আইটেম এসব রয়েছে।”
তবে এসব পণ্যের শুল্ক কমালেই যে আমদানি বাড়বে সে নিশ্চয়তা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে যদি ইমপোর্ট বাড়াতে হয় তাহলে গভমেন্টের কিছু ফোর্স ইমপোর্ট বাড়াতে হবে। যেমন গতবছর গভমেন্ট এলএনজি ইমপোর্ট করেছে, এ বছর করে নাই। এটা করতে পারে। গম, এগুলো ইউএসএ থেকে কিনতে পারে।”
অন্য দেশ থেকে না এনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনায় খরচ বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ফিজিবল কিনা চিন্তা করার সুযোগ নাই।”
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির বাজার রক্ষায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করাই এ মুহূর্তে কার্যত সমাধান হতে পারে বলে মত দেন এই কর্মকর্তা।
মার্কিন পণ্য থেকে কত শুল্ক পায় বাংলাদেশ?
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে, যার মূল্য ২৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। এ থেকে শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গড়ে এসব পণ্যে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ শুল্ক আদায় করেছে।
ওই অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে স্ক্র্যাপ আয়রন, যার মূল্য ৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শুল্ক আদায় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি এবং তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ১১১টি গাড়ি আমদানিতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১৫৪ কোটি টাকা।
ডিজেল বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৫২৪ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।
২০০১ থেকে ২৫০০ সিসি ইঞ্জিনের ৭০টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৪১ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ২৬টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮১ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৫ লাখ ২ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে। এর মূল্য ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গড়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ওই অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি শুল্ক এসেছে স্ক্র্যাপ আয়রন থেকে, যার আমদানিমূল্য ৭ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ২৩৬ কোটি টাকা।
এছাড়া ৭০২ কোটি টাকার এলএনজি আমদানিতে শুল্ক এসেছে ১০৫ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি এবং তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ৫২টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৮৩ দশমিক ১৮ কোটি টাকা।
জ্বালানি তেলের আমদানি হয়েছে ২৯৯ কোটি টাকার; শুল্ক আদায় হয়েছে ৬২ কোটি টাকা।
ডিজেল বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২২৭ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৭ লাখ ৭১ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে, যার মূল্য ২২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। এ থেকে শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ১০ কোটি টাকা; গড়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র বড় অঙ্কের শুল্ক বসানোর প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের তরফে সরকারি বিভিন্ন আমদানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের নীতি শাখার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এলএনজি ও গমসহ যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা সম্ভব এবং সরকারের প্রয়োজন রয়েছে, তা সেখান থেকেই বাড়তি খরচ হলেও আমদানি করে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে কিছু পণ্যের তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর আমদানি শুল্ক কমানো যেতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, এনবিআরের নীতি শাখা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যের আমদানি পর্যায়ে কত শুল্ক রয়েছে, কোথায় প্যারা ট্যারিফ রয়েছে এবং কত শুল্ক আদায় হয়, সে বিষয়ে একটি বিশ্লেষণ প্রস্তুত করেছে।
তার ভাষ্য, “আমেরিকা থেকে যে পণ্য আমরা আনি, যেখানে বলা হয়েছে আমরা ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি, এটা ভুল। আমাদের রিভিউ করে দেখা গেছে, আমাদের ইফেক্টিভ রেট হচ্ছে ৫ শতাংশেরও কম। তার মানে হচ্ছে, আপনি যদি ইমপোর্ট না বাড়ান, আর আপনি যদি ডিউটি জিরো করে দেন, লাভ নাই। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইমপোর্ট ডিউটি জিরো করলেও যে ইমপোর্ট বাড়বে তা কিন্তু না।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৫২ শতাংশে।
এ অবস্থায় এনবিআরের প্রস্তাবে কী রয়েছে, জানতে চাইলে কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কিছু প্রোডাক্টের লিস্ট বানিয়ে দিছি চেয়ারম্যান স্যারকে। সেখানে কিছু ডিউটি কমাতে হবে। আমরা ১০টার মত প্রোডাক্টের লিস্ট বানিয়ে দিছি। বাল্ব আছে, পাইপে ইউস করে, জেনারেটর, জেনারেটিং সেট, ইলেক্ট্রিক্যাল আইটেম এসব রয়েছে।”
তবে এসব পণ্যের শুল্ক কমালেই যে আমদানি বাড়বে সে নিশ্চয়তা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে যদি ইমপোর্ট বাড়াতে হয় তাহলে গভমেন্টের কিছু ফোর্স ইমপোর্ট বাড়াতে হবে। যেমন গতবছর গভমেন্ট এলএনজি ইমপোর্ট করেছে, এ বছর করে নাই। এটা করতে পারে। গম, এগুলো ইউএসএ থেকে কিনতে পারে।”
অন্য দেশ থেকে না এনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনায় খরচ বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ফিজিবল কিনা চিন্তা করার সুযোগ নাই।”
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির বাজার রক্ষায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করাই এ মুহূর্তে কার্যত সমাধান হতে পারে বলে মত দেন এই কর্মকর্তা।
মার্কিন পণ্য থেকে কত শুল্ক পায় বাংলাদেশ?
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ ৭৮ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে, যার মূল্য ২৫ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। এ থেকে শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গড়ে এসব পণ্যে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ শুল্ক আদায় করেছে।
ওই অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে স্ক্র্যাপ আয়রন, যার মূল্য ৬ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে শুল্ক আদায় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি এবং তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ১১১টি গাড়ি আমদানিতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১৫৪ কোটি টাকা।
ডিজেল বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৫২৪ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।
২০০১ থেকে ২৫০০ সিসি ইঞ্জিনের ৭০টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৪১ দশমিক ৬৮ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ২৬টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮১ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৫ লাখ ২ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে। এর মূল্য ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গড়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ওই অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি শুল্ক এসেছে স্ক্র্যাপ আয়রন থেকে, যার আমদানিমূল্য ৭ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ২৩৬ কোটি টাকা।
এছাড়া ৭০২ কোটি টাকার এলএনজি আমদানিতে শুল্ক এসেছে ১০৫ কোটি টাকা।
আড়াই হাজার সিসির বেশি এবং তিন হাজার সিসির কম ইঞ্জিনের ৫২টি গাড়ির আমদানিতে খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৮৩ দশমিক ১৮ কোটি টাকা।
জ্বালানি তেলের আমদানি হয়েছে ২৯৯ কোটি টাকার; শুল্ক আদায় হয়েছে ৬২ কোটি টাকা।
ডিজেল বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ২২৭ কোটি টাকা; শুল্ক আদায় হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৭ লাখ ৭১ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে, যার মূল্য ২২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। এ থেকে শুল্ক আদায় হয়েছে ১ হাজার ১০ কোটি টাকা; গড়ে শুল্ক আদায় হয়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।