দিনভর অস্বস্তিকর গরমের পর শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় ধুলোর ঝড়, দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে নামে বৃষ্টি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফেরে নগরবাসীর মাঝে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় ঢাকার উপর দিয়ে অতিক্রম করে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ সময় ঢাকায় দমকা হাওয়া, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে আসে।
বৃষ্টির সময় খানিক স্বস্তি মিললেও অনেকেই জানান, বৃষ্টি থামার পর আবারও গরম অনুভব করেছেন। মিরপুরের বাসিন্দা সামিরা আক্তার বলেন, “সারা দিন অনেক গরম গেছে। খু্ব কষ্ট হইছে। বৃষ্টির সময় অনেক আরাম হইছিল। কিন্তু এখন আবার আগের মতই গরম।”
পল্লবীর রফিক ইসলাম বলেন, “চারপাশ ঠান্ডা হইছে, গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা ছিল। এখন একটু স্বস্তি লাগছে।”
আবহাওয়াবিদ জানান, এপ্রিল মাসজুড়েই গরমের সঙ্গে এমন বজ্রঝড়ের অভিজ্ঞতা থাকবে। বৃষ্টির সময় কিছুটা স্বস্তি এলেও পরে আবার গরম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত বজ্রবৃষ্টি আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
সাত বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের বাকি এলাকাগুলোর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহে ভোগান্তি ৩৪ জেলায়
শনিবার দেশের ৩৪টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগ ছাড়াও দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ফেনী, মৌলভীবাজার, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে এই দাবদাহ দেখা গেছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে—৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি হলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
দিনভর অস্বস্তিকর গরমের পর শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় ধুলোর ঝড়, দমকা হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে নামে বৃষ্টি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফেরে নগরবাসীর মাঝে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় ঢাকার উপর দিয়ে অতিক্রম করে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, এ সময় ঢাকায় দমকা হাওয়া, বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়, যার ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে আসে।
বৃষ্টির সময় খানিক স্বস্তি মিললেও অনেকেই জানান, বৃষ্টি থামার পর আবারও গরম অনুভব করেছেন। মিরপুরের বাসিন্দা সামিরা আক্তার বলেন, “সারা দিন অনেক গরম গেছে। খু্ব কষ্ট হইছে। বৃষ্টির সময় অনেক আরাম হইছিল। কিন্তু এখন আবার আগের মতই গরম।”
পল্লবীর রফিক ইসলাম বলেন, “চারপাশ ঠান্ডা হইছে, গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা ছিল। এখন একটু স্বস্তি লাগছে।”
আবহাওয়াবিদ জানান, এপ্রিল মাসজুড়েই গরমের সঙ্গে এমন বজ্রঝড়ের অভিজ্ঞতা থাকবে। বৃষ্টির সময় কিছুটা স্বস্তি এলেও পরে আবার গরম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত বজ্রবৃষ্টি আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী হয়।
সাত বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে দেশের বাকি এলাকাগুলোর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপপ্রবাহে ভোগান্তি ৩৪ জেলায়
শনিবার দেশের ৩৪টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগ ছাড়াও দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ফেনী, মৌলভীবাজার, বরিশাল ও পটুয়াখালীতে এই দাবদাহ দেখা গেছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে—৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি হলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।