আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাজেটের ঘাটতি ও আকার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা রিভিউ করে দুই কিস্তি একসঙ্গে দেবে। ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কীভাবে বাড়াব, ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে করব, এসব আমরা জানাব। আইএমএফের গুরুত্বের জায়গাটা হল রেভিনিউ জেনারেশন। এছাড়া বাজেটের আকার কেমন হবে, বাজেটে ঘাটতি কেমন হবে, এসব নিয়েও কথা হচ্ছে।”
সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২৩ সালের শুরুতে দেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটি। এই ঋণের বিপরীতে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের কয়েকটি শর্ত মানার কথা বলা হয়।
ওইসব শর্ত প্রতিপালনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে ধাপে ধাপে ঋণের কিস্তি দিচ্ছে আইএমএফ। এখন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও সেই সভা না হওয়ায় অনুমোদন বিলম্বিত হয়।
চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।
ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে সরকার কতটা আশাবাদী— এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী মে-জুনের দিকে ওদের মিটিং হবে। এবারের রিভিউয়ের ওপরেই তাদের সুপারিশ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোন রেজুলেশন বা একটি আইন হচ্ছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে। এক্সচেঞ্জ রেট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আলাপ হবে। এনবিআর ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কীভাবে বাড়াবে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।”
ভ্যাট ‘সিঙ্গেল’ রেটে নামিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চেষ্টা করব, তবে আমরা একবারে সিঙ্গেল রেটে পৌঁছাতে পারব না।”
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঢাকা সফররত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাজেটের ঘাটতি ও আকার নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
রোববার সচিবালয়ে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা রিভিউ করে দুই কিস্তি একসঙ্গে দেবে। ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কীভাবে বাড়াব, ট্যাক্স কালেকশন কীভাবে করব, এসব আমরা জানাব। আইএমএফের গুরুত্বের জায়গাটা হল রেভিনিউ জেনারেশন। এছাড়া বাজেটের আকার কেমন হবে, বাজেটে ঘাটতি কেমন হবে, এসব নিয়েও কথা হচ্ছে।”
সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্ত হয় বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২৩ সালের শুরুতে দেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে সংস্থাটি। এই ঋণের বিপরীতে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের কয়েকটি শর্ত মানার কথা বলা হয়।
ওইসব শর্ত প্রতিপালনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে ধাপে ধাপে ঋণের কিস্তি দিচ্ছে আইএমএফ। এখন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও সেই সভা না হওয়ায় অনুমোদন বিলম্বিত হয়।
চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় এসেছে আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করবে।
ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে সরকার কতটা আশাবাদী— এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী মে-জুনের দিকে ওদের মিটিং হবে। এবারের রিভিউয়ের ওপরেই তাদের সুপারিশ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “খেলাপি ঋণ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোন রেজুলেশন বা একটি আইন হচ্ছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে। এক্সচেঞ্জ রেট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আলাপ হবে। এনবিআর ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কীভাবে বাড়াবে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।”
ভ্যাট ‘সিঙ্গেল’ রেটে নামিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চেষ্টা করব, তবে আমরা একবারে সিঙ্গেল রেটে পৌঁছাতে পারব না।”