বিসিএসে চলমান জট নিরসনে ৪৪ থেকে ৪৭তম বিসিএস পর্যন্ত চারটি পরীক্ষার জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছেন প্রার্থীরা। দ্রুত এ রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা।
তাদের দাবি, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা মে মাসের মধ্যে শেষ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শুরু করতে হবে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা।
রোববার সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি জানান প্রার্থীরা। তারা পিএসসিকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের প্রার্থী ও মুখপাত্র মোস্তাকিন আশিক বলেন, “বিসিএসে জট সৃষ্টি হয়েছে। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা চলছে। আর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা মে মাসে শুরু হচ্ছে। বহু প্রার্থী এ দুই বিসিএসেই অংশ নিচ্ছেন। ফলে তাদের একদিকে ভাইভা, অন্য দিকে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেড় বছর আগে নেওয়া হলেও তার ফল প্রকাশ হয়নি। আমরা চাই ৪৪ থেকে ৪৭তম বিসিএসের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ।”
কমিশনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে মোস্তাকিন আশিক বলেন, “কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি শিগগিরই আমাদের একটা সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দেবেন বলে জানিয়েছেন। দ্রুত রোডম্যাপ না দিলে আমরা ফের আন্দোলন করবো।”
আরেক প্রার্থী সাফায়েত বলেন, “আমরা ৪৪তম বিসিএস ব্যাচ, সেই ২০২১ সাল থেকে আটকে আছি। বর্তমান ও আগের কমিশনসহ প্রায় এক বছর ধরে আমাদের ভাইভা চলছে। এছাড়া ৪৫তম লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার আগেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা প্রার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।”
কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে প্রার্থীদের পাঁচ দফা দাবি:
> > ৪৪তম বিসিএসের বাকি থাকা মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করে মে মাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে এবং জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে।
> > ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরি দিতে হবে। বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিমালা।
> > ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে হবে, যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
> > ৪৪তম চূড়ান্ত ফল ও ৪৫তম লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে, যাতে একই প্রার্থী একাধিক বিসিএসে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন কমে।
> > ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার অন্তত দুই মাস পরে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।
বর্তমানে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। ২০২১ সালে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এই বিসিএসের ভাইভা এক দফায় শুরু হলেও ১৮ নভেম্বর তা বাতিল করে পিএসসি। পরে ২২ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সরকার পতনের পর দুইবার এ পরীক্ষা স্থগিত হয়।
মোট ১১ হাজার ৭৩২ জনের ভাইভায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রথম দফায় ৩ হাজার ৯৩০ জন অংশ নেন। আবেদন অনুযায়ী ‘ন্যায্যতা বজায় রাখতে’ পরীক্ষা বাতিল করা হয় বলে জানায় কমিশন।
৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০২৩ সালের ১৯ মে, এতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। ফল প্রকাশ হয় ৬ জুন, যেখানে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা হয় ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, যার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৮ মে। এতে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ২১ হাজার ৩৯৭ জন অংশ নেবেন। ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২৬ এপ্রিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, ফল প্রকাশ হয় ৯ মে। ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি থাকলেও তা স্থগিত হয়।
পরবর্তীতে ‘বৈষম্য দূরীকরণে’ প্রথম দফায় উত্তীর্ণদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফল পুনরায় প্রকাশ করে পিএসসি।
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জুন। ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত ২৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি, যেখানে আবেদন ফি ও ভাইভার নম্বর কমিয়ে আনা হয় এবং বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
বিসিএসে চলমান জট নিরসনে ৪৪ থেকে ৪৭তম বিসিএস পর্যন্ত চারটি পরীক্ষার জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছেন প্রার্থীরা। দ্রুত এ রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তারা।
তাদের দাবি, ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা মে মাসের মধ্যে শেষ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শুরু করতে হবে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা।
রোববার সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মূল ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে পাঁচ দফা দাবি জানান প্রার্থীরা। তারা পিএসসিকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের প্রার্থী ও মুখপাত্র মোস্তাকিন আশিক বলেন, “বিসিএসে জট সৃষ্টি হয়েছে। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা চলছে। আর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা মে মাসে শুরু হচ্ছে। বহু প্রার্থী এ দুই বিসিএসেই অংশ নিচ্ছেন। ফলে তাদের একদিকে ভাইভা, অন্য দিকে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করতে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেড় বছর আগে নেওয়া হলেও তার ফল প্রকাশ হয়নি। আমরা চাই ৪৪ থেকে ৪৭তম বিসিএসের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ।”
কমিশনের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে মোস্তাকিন আশিক বলেন, “কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি শিগগিরই আমাদের একটা সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দেবেন বলে জানিয়েছেন। দ্রুত রোডম্যাপ না দিলে আমরা ফের আন্দোলন করবো।”
আরেক প্রার্থী সাফায়েত বলেন, “আমরা ৪৪তম বিসিএস ব্যাচ, সেই ২০২১ সাল থেকে আটকে আছি। বর্তমান ও আগের কমিশনসহ প্রায় এক বছর ধরে আমাদের ভাইভা চলছে। এছাড়া ৪৫তম লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার আগেই ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা প্রার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।”
কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে প্রার্থীদের পাঁচ দফা দাবি:
> > ৪৪তম বিসিএসের বাকি থাকা মৌখিক পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করে মে মাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে এবং জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হবে।
> > ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরি দিতে হবে। বাতিল করতে হবে ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিমালা।
> > ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে হবে, যা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
> > ৪৪তম চূড়ান্ত ফল ও ৪৫তম লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিতে হবে, যাতে একই প্রার্থী একাধিক বিসিএসে অংশ নেওয়ার প্রয়োজন কমে।
> > ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার অন্তত দুই মাস পরে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।
বর্তমানে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। ২০২১ সালে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা এই বিসিএসের ভাইভা এক দফায় শুরু হলেও ১৮ নভেম্বর তা বাতিল করে পিএসসি। পরে ২২ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সরকার পতনের পর দুইবার এ পরীক্ষা স্থগিত হয়।
মোট ১১ হাজার ৭৩২ জনের ভাইভায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রথম দফায় ৩ হাজার ৯৩০ জন অংশ নেন। আবেদন অনুযায়ী ‘ন্যায্যতা বজায় রাখতে’ পরীক্ষা বাতিল করা হয় বলে জানায় কমিশন।
৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০২৩ সালের ১৯ মে, এতে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। ফল প্রকাশ হয় ৬ জুন, যেখানে উত্তীর্ণ হন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। লিখিত পরীক্ষা হয় ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত, যার ফল এখনও প্রকাশ হয়নি। সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৮ মে। এতে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ২১ হাজার ৩৯৭ জন অংশ নেবেন। ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২৬ এপ্রিল প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, ফল প্রকাশ হয় ৯ মে। ২৮ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি থাকলেও তা স্থগিত হয়।
পরবর্তীতে ‘বৈষম্য দূরীকরণে’ প্রথম দফায় উত্তীর্ণদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করে ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি ফল পুনরায় প্রকাশ করে পিএসসি।
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জুন। ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত ২৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি, যেখানে আবেদন ফি ও ভাইভার নম্বর কমিয়ে আনা হয় এবং বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়। ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।