বাংলাদেশে একটি ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন কিনা, গত শনিবার রাতে স্থানীয় সময় যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন।
রবিবার যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (ডিএমসি) টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ওই ফ্ল্যাটটির সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
তবে, ৪২ বছর বয়সী সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক কোনো প্রকার আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘এটি ২০০২ সালে আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম, এবং ২০১৫ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটি ‘আইনানুগভাবে এবং বৈধ প্রক্রিয়ায়’ আমার ৩৪ বছর বয়সী বোন আজমিনার কাছে হস্তান্তর করি।’
যুক্তরাজ্যের সংসদে জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির তালিকায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে তার পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটটির যৌথ মালিকানা ছিল, তবে পরবর্তী মাসে সেটি তার বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে ডেইলি মেইল পত্রিকা দাবি করেছে, ঢাকার সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এখনও ফ্ল্যাটটির মালিক হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনও এই অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত এখন এই ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (ডিএমসি) বলছে, টিউলিপ ২০১৫ সালে ইসলামী হেবা পদ্ধতির আওতায় উপহার হিসেবে ওই
ফ্ল্যাটের মালিকানা আজমিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে বাংলাদেশের ভূমি বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সম্পত্তির হস্তান্তর বৈধ নয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দাবি, ওই হেবা ভুয়া। কারণ, এতে যে ব্যারিস্টারের স্বাক্ষর রয়েছে, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি সেই স্বাক্ষর করেননি এবং তার সই জালিয়াতি করা হয়েছে।
তবে টিউলিপের আইনজীবী দাবি করেছেন, যথাযথ পদ্ধতিতে হেবা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিউলিপ নিজে বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি এই সম্পত্তির যৌথ মালিক, কারণ এ থেকে ভাড়া হিসেবে পাওয়া সব আয় তার ওই বোনই পেয়েছেন।
টিউলিপের আইনজীবী বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা এবং বিরক্তিকর’ অভিহিত করেছেন।
গত রাতে তার আইনজীবী পল থোয়েট *ডেইলি মেইল* কে বলেন, একজন বাংলাদেশি আইন বিশেষজ্ঞ তাকে জানিয়েছেন, স্থানান্তরের জন্য হেবার নথিই যথেষ্ট। তবে রেজিস্ট্রি রেকর্ডগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, টিউলিপ সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ‘অসত্য এবং অর্থহীন’।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর জানুয়ারিতে নগরমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। এরপর স্যার লরি ম্যাগনাসের তদন্ত সিদ্ধান্তে আসে, টিউলিপ অসাবধানতাবশত জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছেন।
গত সপ্তাহে, টিউলিপ তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে, আমাদের যথাযথ প্রক্রিয়া, আইনের শাসন এবং ন্যায্য প্রক্রিয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আমি আনন্দের সঙ্গে যেকোনো বৈধ প্রশ্নের উত্তর দেব। তবে আমি নোংরা রাজনীতিতে ঢুকবো না।’
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে একটি ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন কিনা, গত শনিবার রাতে স্থানীয় সময় যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন।
রবিবার যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (ডিএমসি) টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ওই ফ্ল্যাটটির সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
তবে, ৪২ বছর বয়সী সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক কোনো প্রকার আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘এটি ২০০২ সালে আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম, এবং ২০১৫ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেটি ‘আইনানুগভাবে এবং বৈধ প্রক্রিয়ায়’ আমার ৩৪ বছর বয়সী বোন আজমিনার কাছে হস্তান্তর করি।’
যুক্তরাজ্যের সংসদে জনপ্রতিনিধিদের সম্পত্তির তালিকায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে তার পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটটির যৌথ মালিকানা ছিল, তবে পরবর্তী মাসে সেটি তার বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে ডেইলি মেইল পত্রিকা দাবি করেছে, ঢাকার সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এখনও ফ্ল্যাটটির মালিক হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনও এই অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে। বাংলাদেশের আদালত এখন এই ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (ডিএমসি) বলছে, টিউলিপ ২০১৫ সালে ইসলামী হেবা পদ্ধতির আওতায় উপহার হিসেবে ওই
ফ্ল্যাটের মালিকানা আজমিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন। তবে বাংলাদেশের ভূমি বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো সম্পত্তির হস্তান্তর বৈধ নয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দাবি, ওই হেবা ভুয়া। কারণ, এতে যে ব্যারিস্টারের স্বাক্ষর রয়েছে, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি সেই স্বাক্ষর করেননি এবং তার সই জালিয়াতি করা হয়েছে।
তবে টিউলিপের আইনজীবী দাবি করেছেন, যথাযথ পদ্ধতিতে হেবা সম্পন্ন করা হয়েছে। টিউলিপ নিজে বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি এই সম্পত্তির যৌথ মালিক, কারণ এ থেকে ভাড়া হিসেবে পাওয়া সব আয় তার ওই বোনই পেয়েছেন।
টিউলিপের আইনজীবী বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা এবং বিরক্তিকর’ অভিহিত করেছেন।
গত রাতে তার আইনজীবী পল থোয়েট *ডেইলি মেইল* কে বলেন, একজন বাংলাদেশি আইন বিশেষজ্ঞ তাকে জানিয়েছেন, স্থানান্তরের জন্য হেবার নথিই যথেষ্ট। তবে রেজিস্ট্রি রেকর্ডগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, টিউলিপ সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ‘অসত্য এবং অর্থহীন’।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর জানুয়ারিতে নগরমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। এরপর স্যার লরি ম্যাগনাসের তদন্ত সিদ্ধান্তে আসে, টিউলিপ অসাবধানতাবশত জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করেছেন।
গত সপ্তাহে, টিউলিপ তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে, আমাদের যথাযথ প্রক্রিয়া, আইনের শাসন এবং ন্যায্য প্রক্রিয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আমি আনন্দের সঙ্গে যেকোনো বৈধ প্রশ্নের উত্তর দেব। তবে আমি নোংরা রাজনীতিতে ঢুকবো না।’