চাকরিতে পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সচিবালয়মুখী মিছিল করছিলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যরা। সোমবার দুপুরে শিক্ষা ভবন মোড়ে পুলিশের বাধা ও পরে টিয়ার শেল, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তাদের মিছিল।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা বাধা অমান্য করে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কাউকে আটক করা হয়নি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে মিছিলটি শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে, ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর মিছিলকারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে, পরে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে।
এই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও আহত হন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, “আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
আহতদের মধ্যে সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন—ইসমাইল হোসেন (৫৯), কামরুল ইসলাম (৫০), মাহফুজুর রহমান (৫০), রতন কুমার দেব (৬০), মোতালেব হোসেন (৬৪), কামরুজ্জামান (৪২) ও সারোয়ার (৪৮)।
আহত কামরুজ্জামান বলেন, “আমার পায়ে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে। আমরা কোনো হাঙ্গামা করিনি, শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ওপর গুলি ছাড়া সবকিছুই চালিয়েছে।”
এর আগে দিনভর পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুতরা। তাদের দাবি—সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অনেকের সাজা খালাস হওয়া সত্ত্বেও পুনর্বহাল করা হয়নি, বরং অবিচারের শিকার হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
চাকরিতে পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সচিবালয়মুখী মিছিল করছিলেন চাকরিচ্যুত বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যরা। সোমবার দুপুরে শিক্ষা ভবন মোড়ে পুলিশের বাধা ও পরে টিয়ার শেল, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তাদের মিছিল।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা বাধা অমান্য করে এগোতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কাউকে আটক করা হয়নি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে মিছিলটি শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। আন্দোলনকারীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে, ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানের পর মিছিলকারীরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে, পরে টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে।
এই ঘটনায় আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও আহত হন। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, “আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
আহতদের মধ্যে সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন—ইসমাইল হোসেন (৫৯), কামরুল ইসলাম (৫০), মাহফুজুর রহমান (৫০), রতন কুমার দেব (৬০), মোতালেব হোসেন (৬৪), কামরুজ্জামান (৪২) ও সারোয়ার (৪৮)।
আহত কামরুজ্জামান বলেন, “আমার পায়ে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে। আমরা কোনো হাঙ্গামা করিনি, শান্তিপূর্ণভাবে সচিবালয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ওপর গুলি ছাড়া সবকিছুই চালিয়েছে।”
এর আগে দিনভর পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিচ্যুতরা। তাদের দাবি—সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অনেকের সাজা খালাস হওয়া সত্ত্বেও পুনর্বহাল করা হয়নি, বরং অবিচারের শিকার হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।