নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ‘ন্যূনতম রাখা’ এবং সব প্রার্থী যেন ‘সমানভাবে’ প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার না করার প্রস্তাবনা রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে, কমিশনে অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সীমানা নির্ধারণ ত্রুটি সংশোধন করা না গেলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনী শৃঙ্খলা, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয়। ভোটের সময় শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রয়োগে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে কাজ চলছে বলে জানান ইসি আনোয়ারুল। বিধিবিধানের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কঠোর হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দুইশ’ টাকা, পাঁচশ’ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণ আইনে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল, সেটি সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে এ নিয়ে কেবিনেটে মিটিং হয়েছে। এখনও আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে সীমানা পুনঃনির্ধারণের কাজটা করতে পারব। আর যদি অনুমোদস না হয়, তাহলে বিদ্যমান যে আসন বিন্যাস রয়েছে, সেই আসনের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো পরিকল্পনা আছে, কখন, কী করব। আজকের যে মিটিং করলাম এটিও পরিকল্পনার অংশ।’ আচরণ বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত করে কমিশনে প্লেস করব। এরপর কমিশন চূড়ান্ত করবে।’
নির্বাচনী আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রায়গুলোই আচরণবিধির খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ কতটি প্রস্তাব এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা বলতে গেলে আমাকে আচরণবিধির খসড়াটি একটি শেপে এনে দেখতে হবে।’
বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই আমাদের বলবে কী করতে হবে।’
‘নির্বাচনী প্রচারণায় এবার পোস্টার না রাখার প্রস্তাব এসেছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এই রকমই। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটাকে ভালোই মনে করছি।’ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আমি এই মুহূর্তে স্পেসিফিক বলতে পারছি না। তবে বিষয়টি প্রস্তাবিত খসড়ায় রাখা হয়েছে। অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়। এগুলো সবই যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেভাবে আমরা প্রস্তাব করছি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,
আইন সংশোধন না হলে বিদ্যমান আসনেই ভোট
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব
ভোটের সময় বিধিবিধানের ব্যাপারে ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘সর্বোচ্চ কঠোর’ হবে নির্বাচন কমিশন
‘নির্বাচনী ব্যয় ন্যূনতম রাখা যাতে শৃঙ্খলা বিঘিœত না হয়। গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার-প্রচারণা করতে পারে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে করতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করার প্রয়োজন হবে সেখানে সংশোধন করা হবে।’
নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অনেকগুলো আবেদন পেয়ে যাই তাহলে এক রকম চিন্তা হবে। দলগুলোর প্রত্যাশা কী, আমরা এই মুহূর্তে তো সেটি বুঝতে পারছি না। ২০ তারিখেই আমরা বুঝব, আদৌ সময় বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা। আমার জানামতে একটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। অনেকেই আবেদন করার জন্য তৎপর আছে, তারা আবেদন করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের পর আবেদন করলে সেটি আমলে নেয়া হবে কিনা সেটি নিয়ে এখন কমিশনে আলোচনা হয়নি।’
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব ‘ন্যূনতম রাখা’ এবং সব প্রার্থী যেন ‘সমানভাবে’ প্রচার চালাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার না করার প্রস্তাবনা রেখে নির্বাচনী আচরণবিধির একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন তা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে, কমিশনে অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সীমানা নির্ধারণ ত্রুটি সংশোধন করা না গেলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। বৈঠকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনী শৃঙ্খলা, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে আলোচনা হয়। ভোটের সময় শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রয়োগে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে কাজ চলছে বলে জানান ইসি আনোয়ারুল। বিধিবিধানের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কঠোর হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দুইশ’ টাকা, পাঁচশ’ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণ আইনে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল, সেটি সংশোধনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে এ নিয়ে কেবিনেটে মিটিং হয়েছে। এখনও আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে সীমানা পুনঃনির্ধারণের কাজটা করতে পারব। আর যদি অনুমোদস না হয়, তাহলে বিদ্যমান যে আসন বিন্যাস রয়েছে, সেই আসনের ভিত্তিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো পরিকল্পনা আছে, কখন, কী করব। আজকের যে মিটিং করলাম এটিও পরিকল্পনার অংশ।’ আচরণ বিধিমালা সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত করে কমিশনে প্লেস করব। এরপর কমিশন চূড়ান্ত করবে।’
নির্বাচনী আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রায়গুলোই আচরণবিধির খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’ কতটি প্রস্তাব এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যা বলতে গেলে আমাকে আচরণবিধির খসড়াটি একটি শেপে এনে দেখতে হবে।’
বর্তমানে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা আছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন এটি সংশোধন করে নতুন আচরণবিধিমালা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই বিধিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই আমাদের বলবে কী করতে হবে।’
‘নির্বাচনী প্রচারণায় এবার পোস্টার না রাখার প্রস্তাব এসেছে’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এই রকমই। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটাকে ভালোই মনে করছি।’ এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আমি এই মুহূর্তে স্পেসিফিক বলতে পারছি না। তবে বিষয়টি প্রস্তাবিত খসড়ায় রাখা হয়েছে। অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়। এগুলো সবই যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেভাবে আমরা প্রস্তাব করছি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,
আইন সংশোধন না হলে বিদ্যমান আসনেই ভোট
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তাব
ভোটের সময় বিধিবিধানের ব্যাপারে ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘সর্বোচ্চ কঠোর’ হবে নির্বাচন কমিশন
‘নির্বাচনী ব্যয় ন্যূনতম রাখা যাতে শৃঙ্খলা বিঘিœত না হয়। গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার-প্রচারণা করতে পারে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে করতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করার প্রয়োজন হবে সেখানে সংশোধন করা হবে।’
নতুন দলের নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অনেকগুলো আবেদন পেয়ে যাই তাহলে এক রকম চিন্তা হবে। দলগুলোর প্রত্যাশা কী, আমরা এই মুহূর্তে তো সেটি বুঝতে পারছি না। ২০ তারিখেই আমরা বুঝব, আদৌ সময় বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা। আমার জানামতে একটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। অনেকেই আবেদন করার জন্য তৎপর আছে, তারা আবেদন করবেন। আর নির্ধারিত সময়ের পর আবেদন করলে সেটি আমলে নেয়া হবে কিনা সেটি নিয়ে এখন কমিশনে আলোচনা হয়নি।’