জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৬ষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দিয়েছেন।
শেষের চারজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডর পাশাপাশি এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সাজা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলী।
দণ্ডিতদের মধ্যে প্রথম ৭ জনকে (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদ- না দিলে তাদের আরও ৬ মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
শেষের চারজনকে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হবে।
প্রতারণার দায়ে তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ডের পাশপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই টাকা না দিলে তাদের আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দুই ধরনের সাজা একটির পর একটি চলবে। সেই ক্ষেত্রে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালত থেকে জানিয়েছেন, রায়ের সময় আদালতে ৪ আসামিকে হাজির করা হয়েছে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদেরকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় ৭ আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের তাজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল শেখ, রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলীকে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট বাবদ ১০টি এলসির বিপরীতে ১৪টি পিসির মাধ্যমে এক কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা সমন্বয় করা হলেও অবশিষ্ট এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা সমন্বয় করা হয়নি। খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবৈধ সহযোগিতায় ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই ঘটনায় দুদকের তৎকালিন উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য শুনে মামলার রায় দিলেন বিচারক।
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
জালিয়াতি করে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার ৬ষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় দিয়েছেন।
শেষের চারজনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডর পাশাপাশি এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সাজা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ন কবির, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলী।
দণ্ডিতদের মধ্যে প্রথম ৭ জনকে (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদ- না দিলে তাদের আরও ৬ মাসে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
শেষের চারজনকে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ওই অর্থ রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত হবে।
প্রতারণার দায়ে তাদের সাত বছর করে কারাদণ্ডের পাশপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই টাকা না দিলে তাদের আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দুই ধরনের সাজা একটির পর একটি চলবে। সেই ক্ষেত্রে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালত থেকে জানিয়েছেন, রায়ের সময় আদালতে ৪ আসামিকে হাজির করা হয়েছে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদেরকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় ৭ আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের তাজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল শেখ, রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলীকে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট বাবদ ১০টি এলসির বিপরীতে ১৪টি পিসির মাধ্যমে এক কোটি ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৩ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ২৪ লাখ ১৩ হাজার ৪১৫ টাকা সমন্বয় করা হলেও অবশিষ্ট এক কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা সমন্বয় করা হয়নি। খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবৈধ সহযোগিতায় ওই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই ঘটনায় দুদকের তৎকালিন উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য শুনে মামলার রায় দিলেন বিচারক।