পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তিস্তা প্রকল্প ইস্যুতে খোলামেলা অবস্থানে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব। কোনোটাতে কোনো বাধা নেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং সফর করেছেন। সেই সফরে তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলোকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানেও আলোচনার টেবিলে ছিল তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু। এক্ষেত্রে কোনটার অগ্রগতি বেশি, সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয় উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাক্ষেপ বিষয়। আমরা ঝট করে কোনোকিছু প্রত্যাশা করছি না, যেমন কালকে কেউ এসে তিস্তার সমস্যার সমাধান করে দেবে। আমাদের একটা আমব্রেলা এমওইউ আছে নদীর পানি নিয়ে। এ ব্যাপারে আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব। কোনোটাতে কোনো বাধা নেই।’
আমরা দেখব যে, কোনদিকে কোন প্রকল্পে সহায়তা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। সুবিধা অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের কার্যকলাপ করবে বলে উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারতের সহযোগিতা নিয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নীতিগতভাবে সম্মত ছিল। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের সময়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায় সরকার। তবে সরকার এ বিষয়ে উদারনীতি গ্রহণ করেছে এবং এ প্রকল্প নিয়ে ভারত বা চীন– উভয়ের সঙ্গেই আলোচনা করার সুযোগ থাকবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির স্বাগত জানানোর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা ঝট করে কোনও কিছু প্রত্যাশা করছি না যে, কালকেই কেউ তিস্তা সমস্যার সমাধান করে দেবে। চীনের সঙ্গে আমাদের একটি আমব্রেলা চুক্তি আছে নদীর পানি নিয়ে। নদীর পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার জন্য এবং আমাদের জন্য বিশেষ করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সম্ভব। কোনোটাতেই বাধা নেই। আমা দেখবো যে, কোন প্রজেক্টে কোথা থেকে সহায়তা নিলে আমাদের সুবিধা হবে। সে অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় কাজ করবে।’
চীন সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চীনে কিছু কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে অন্যান্য পর্যায়ে সম্পর্ক আগানো সহজ হয়। দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হযেছে। কিছু কাগজপত্র সই হয়েছে। আমার মনে হয়, সফরটি মোটামুটিভাবে একটি প্রভাব রাখতে পেরেছে।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, ফাইল ছবি
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, তিস্তা প্রকল্প ইস্যুতে খোলামেলা অবস্থানে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব। কোনোটাতে কোনো বাধা নেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেইজিং সফর করেছেন। সেই সফরে তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলোকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানেও আলোচনার টেবিলে ছিল তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যু। এক্ষেত্রে কোনটার অগ্রগতি বেশি, সে বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয় উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাক্ষেপ বিষয়। আমরা ঝট করে কোনোকিছু প্রত্যাশা করছি না, যেমন কালকে কেউ এসে তিস্তার সমস্যার সমাধান করে দেবে। আমাদের একটা আমব্রেলা এমওইউ আছে নদীর পানি নিয়ে। এ ব্যাপারে আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব। কোনোটাতে কোনো বাধা নেই।’
আমরা দেখব যে, কোনদিকে কোন প্রকল্পে সহায়তা নিলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। সুবিধা অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের কার্যকলাপ করবে বলে উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ভারতের সহযোগিতা নিয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নীতিগতভাবে সম্মত ছিল। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের সময়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায় সরকার। তবে সরকার এ বিষয়ে উদারনীতি গ্রহণ করেছে এবং এ প্রকল্প নিয়ে ভারত বা চীন– উভয়ের সঙ্গেই আলোচনা করার সুযোগ থাকবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিস্তা প্রকল্পে চীনা কোম্পানির স্বাগত জানানোর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অগ্রগতি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা ঝট করে কোনও কিছু প্রত্যাশা করছি না যে, কালকেই কেউ তিস্তা সমস্যার সমাধান করে দেবে। চীনের সঙ্গে আমাদের একটি আমব্রেলা চুক্তি আছে নদীর পানি নিয়ে। নদীর পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার জন্য এবং আমাদের জন্য বিশেষ করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওপেন আছি। ভারতের সঙ্গেও সহযোগিতা সম্ভব, চীনের সঙ্গেও সম্ভব। কোনোটাতেই বাধা নেই। আমা দেখবো যে, কোন প্রজেক্টে কোথা থেকে সহায়তা নিলে আমাদের সুবিধা হবে। সে অনুযায়ী পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় কাজ করবে।’
চীন সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চীনে কিছু কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে অন্যান্য পর্যায়ে সম্পর্ক আগানো সহজ হয়। দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হযেছে। কিছু কাগজপত্র সই হয়েছে। আমার মনে হয়, সফরটি মোটামুটিভাবে একটি প্রভাব রাখতে পেরেছে।’