বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল ও সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলমকে আটক করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বাসা থেকে যেভাবে তাকে আটক করা হয়েছে, সেটি কেন অসাংবিধানিক এবং মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি নয়, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানিতে মেঘনার বাবা বদরুল আলমের করা রিট আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আদালত স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আইজিপিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
মেঘনার পক্ষে থাকা আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, “তার বিরুদ্ধে যদি কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু অস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয়েছে, যা আইনসিদ্ধ নয়।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে’ কয়েকজন তার বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে। প্রায় ১২ মিনিটের ওই লাইভ আটক হওয়ার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা তার অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট হয়ে যায়, তবে ইতিমধ্যে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ডিবি। আদালতের আদেশে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর শনিবার ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে পদ থেকে সরিয়ে দেয় ডিএমপি।
মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি ‘মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল ও সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলমকে আটক করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে বাসা থেকে যেভাবে তাকে আটক করা হয়েছে, সেটি কেন অসাংবিধানিক এবং মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি নয়, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানিতে মেঘনার বাবা বদরুল আলমের করা রিট আবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আদালত স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও আইজিপিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
মেঘনার পক্ষে থাকা আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, “তার বিরুদ্ধে যদি কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু অস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয়েছে, যা আইনসিদ্ধ নয়।”
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে’ কয়েকজন তার বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে। প্রায় ১২ মিনিটের ওই লাইভ আটক হওয়ার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা তার অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট হয়ে যায়, তবে ইতিমধ্যে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ডিবি। আদালতের আদেশে মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর শনিবার ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে পদ থেকে সরিয়ে দেয় ডিএমপি।
মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি ‘মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।