মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করার প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তবে তার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেন, “মডেল মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিটেনশন দিয়েছিল। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আপনাদের শুধু একটি জিনিস বলতে চাই, আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ নিয়ে মিটিং করেছি। আমরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং অন্য অনেকের বক্তব্যে সচেতন আছি। আমরা শুধু এটুকু আপনাদের বলতে পারি, মডেল মেঘনা আলমের ব্যাপারে পুলিশ কিছু তদন্ত করছে এবং ওনার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। কিন্তু ওনাকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সেটা সঠিক হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “মডেল মেঘনা আলমের যদি কোনো অপরাধ থাকে, সে অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়নি, এটি তারা (সরকার) স্বীকার করছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়নি মানে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো আলামত বা অভিযোগ নেই, এটা না, সে রকম কিছু আছে। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় আছে, সেটির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব শিগগির উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাঁকে আটক করার ঘটনাটি নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় প্রতিরোধমূলকভাবে আটক করা হলো। একইসঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি উঠেছে।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করার প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তবে তার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ নজরুল বলেন, “মডেল মেঘনা আলমকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিটেনশন দিয়েছিল। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আপনাদের শুধু একটি জিনিস বলতে চাই, আমরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে এ নিয়ে মিটিং করেছি। আমরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং অন্য অনেকের বক্তব্যে সচেতন আছি। আমরা শুধু এটুকু আপনাদের বলতে পারি, মডেল মেঘনা আলমের ব্যাপারে পুলিশ কিছু তদন্ত করছে এবং ওনার বিরুদ্ধে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। কিন্তু ওনাকে যে প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সেটা সঠিক হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “মডেল মেঘনা আলমের যদি কোনো অপরাধ থাকে, সে অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়নি, এটি তারা (সরকার) স্বীকার করছে। কিন্তু গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়াটি ঠিক হয়নি মানে তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো আলামত বা অভিযোগ নেই, এটা না, সে রকম কিছু আছে। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় আছে, সেটির ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খুব শিগগির উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
গত বুধবার রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাঁকে আটক করার ঘটনাটি নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় প্রতিরোধমূলকভাবে আটক করা হলো। একইসঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের দাবি উঠেছে।