alt

জাতীয়

‘ইলিশে হাতই দেয়া যাচ্ছে না’

আমিরুল মোমিনিন সাগর : সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

ইলিশ মাছের দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। কেউ কেউ ইলিশ মাছ কিনতে পারলেও, অনেকেই শুধু নাড়াচাড়া করে চলে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত পণ্যসমূহ সরাসরি কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে আসায়, রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে প্রায় সব পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবুও, সেখানেই ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ১,৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছের বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে—জানতে চাইলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা জুয়েল সংবাদকে বলেন, ‘বেচাবিক্রি একেবারেই ড্যাম। আগে মানুষজন একসাথে ৫টা-১০টা কিনত, এখন তো কেউ তেমন নেয় না—একটা একটা করে নিচ্ছে।’

এ সময় পাশে থাকা আরেক মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান কথায় যোগ দেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আগে আপনি ১০টা কিনতেন - বইনরে দিতেন, ভাইরে দিতেন, আত্মীয়-স্বজনরে দিতেন, আনন্দ হতো। এখন এই জিনিসটা নাই। আপনার একটা লাগবে, একটা-ই কিনবেন। মালের দামও বেশি, বেচাবিক্রিও কম।’

আগের আমেজটা নাই, ... কিসের পহেলা বৈশাখ...? আগে পহেলা বৈশাখ আইলে নতুন জামা..এখন আর দ্যাখেন?,’ প্রশ্ন তোলেন মান্নান।

এসময় এক ব্যক্তি উত্তর পাশের এক দোকানে ইলিশ মাছা নাড়াচাড়া করে চলে যাচ্ছেন। তার কাছে মাছের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন,‘যে দাম! ইলিশ মাছে হাতেই দেয়া যাচ্ছে না। অনেক দাম, অনেক দাম।’

ইলিশ মাছের ‘অনেক দাম’ হওয়ায় তিনি অন্য মাছ কিনবেন বলে পাশের গলিতে চলে গেলেন।

এ বাজারে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখা গেল, পাশের মাছের গলি থেকে এক ব্যক্তি ইলিশ মাছ কিনে ফিরছেন। তাঁর নাম শফিক। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হলো—‘কত দামে কিনলেন? ইলিশ মাছের দামটা কেমন মনে হচ্ছে?’

জবাবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশিই, অনেক বেশি। ১,৪০০ টাকা কেজি দরে দুইটা ইলিশ কিনলাম, এক কেজিও হলো না-দাম পড়ল ১,৩২০ টাকা। ৫০০ গ্রাম মাছ যদি ৭০০ টাকা হয়, তাহলে বেশি না? দুইটা মাছ মিলেও এক কেজি হলো না, তার মানে বুঝেনই তো...।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু করার নাই, আমরা জিম্মি। ৫০০ টাকার তেল যদি ২,০০০ টাকা হয় তাও কিনতে হবে। হয়তো কম খাব, আগে তরকারি দুইটা খাইতাম, এখন একটা খাব। তেল আগে বেশি দিতাম, এখন কম দেব। কিন্তু খেতে তো হবেই। এখন বেতনও তো বাড়ে না।’

শফিক যিনি ইলিশ মাছ কিনেছেন, এবার কথা হলো তাঁর কাছ থেকে মাছ বিক্রি করা ব্যবসায়ী সুধীরের সঙ্গে। বৈশাখ উপলক্ষে বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বেচাকেনা নাই, একেবারেই কম। আগের চার ভাগের এক ভাগও বেচাকেনা নাই।’

বেচাবিক্রি কমে যাওয়ার কারণ কী মনে করছেন? - এই প্রশ্নে সুধীর বলেন, ‘ক্যামনে কইতাম! এইসব বিষয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নাই।’

এ সময় আলাপের মাঝে যোগ দেন পাশের মাছ বিক্রেতা মো. মিজান। উপযাচক হয়ে তিনি সংবাদকে বলেন,‘আগে পহেলা বৈশাখ হতো, মানুষ উদ্?যাপন করতো। এখন আর করে না। আগের মতো পহেলা বৈশাখ করেও না, বেচাকেনাও নাই। পহেলা বৈশাখে আগে ইলিশ মাছের বেচাবিক্রি অনেক বেশি হতো। এ কারণেই এবার কম।’

এরপর সুধীর আবার বলেন, ‘এক সময় ইলিশ মাছের “য়াইস্টা” সুদ্দায় নিয়া গেছিল গা, আর এখন বইয়া আছি গা, বেচাকেনা নাই।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি খাবার হোটেল মেসার্স নবান্ন রেস্টুরেন্ট। ইলিশ মাছ বিক্রি নিয়ে কথা হয় ওই রেস্টুরেন্টের হিসাব সহকারী মো. মজিবরের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণে ইলিশ মাছ কিনি না, বিক্রিও করি না। তবে কেউ যদি অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার দেয়, তখন লাইনের (চাঁদপুর জেলার) ইলিশ কিনে এনে রান্না করে দিয়ে এক পিস ৫০০ টাকা নেই।’

তিনি জানান, ‘দুই মাস আগে এক পিস ইলিশ মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন এক পিস ইলিশ মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বিবেকে বাধে। আর অন্য জেলার ইলিশ মাছে মজা নাই, তাই ঐডা বেঁচি না; বেঁচলে বদনাম হয়। ১ কেজি ওজনের লাইনের ইলিশ মাছ আমাদেরই কিনতে পড়ে কেজি ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা।’

রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বরিশাল ও চট্রগ্রামে ধরা ইলিশের চেয়ে চাঁদপুর থেকে আসা ইলিশ কম। বাজারভেদে ও মানভেদে ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।

ছবি

পাঁচ বছর ক্ষমতায় : ‘আমিতো কিছুই বলি নাই’, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

মেঘনা আলমের বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ছবি

সারাদেশে একযোগে দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

ছবি

হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ

ছবি

বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর সংস্কৃতির উৎসব

ছবি

বাঙালির মুক্তিসন্ধিক্ষণে ‘রাষ্ট্র-সমাজের দায়’ স্মরণ করাল ছায়ানট

ছবি

গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত: ১৩ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

ছবি

মায়ানমার থেকে পাচার হওয়া ২০ কিশোরকে নিয়ে ফিরছে ‘সমুদ্র অভিযান’

ছবি

চারুকলা থেকে বের হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’

ছবি

দুদকের অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’: পরোয়ানা জারির খবরে টিউলিপের আইনজীবী

ছবি

রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শুরু

ছবি

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক নববর্ষের অঙ্গীকার: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স : ৪৮ বছর পর চালু হচ্ছে কিছু সুবিধা

ছবি

সম্প্রীতির বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান: ‘আমরা হানাহানি চাই না, শান্তির দেশ চাই’

ছবি

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম বদলের কারণ জানতে চায় চারুকলার শিক্ষার্থীরা

ছবি

পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহালের নির্দেশ

ছবি

মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল

ছবি

শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ল

ছবি

রিজার্ভ চুরি: বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ পর্যালোচনা কমিটির

ছবি

প্লট কেলেঙ্কারি: হাসিনা, রেহানা, ববি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

মডেল মেঘনাকে আটকের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়—জানতে চায় হাই কোর্ট

ছবি

ডিবি প্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ছবি

সবাইকে যার যার মতো করে বৈশাখ উদ্‌যাপনের আহ্বান জানালেন মুহাম্মদ ইউনূস

চারুকলায় আগুনের ঘটনায় নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল কিনা তদন্ত হচ্ছে: র‍্যাব প্রধান

ছবি

টাস্কফোর্সের সভা আজ: শেখ পরিবারসহ ১১ শিল্পগোষ্ঠীর ‘বিপুল সম্পদের’ খোঁজ

সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে হবে এইচএসসি পাস

ছবি

অনির্বাচিত বললো কে?—প্রশ্ন ফরিদা আখতারের

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযান, চুরি হওয়া ওষুধসহ আটক ২

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ‘ফ্যাসিবাদী আচরণের প্রকাশ’

আসামি গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি লাগবে

ছবি

রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে

ছবি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিললো ২৮ বস্তা টাকা

বড়াইগ্রামে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১

আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, লোডশেডিং বাড়তে পারে

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে: প্রধান বিচারপতি

বেনাপোল কাস্টমস: ৯ মাসে রাজস্ব আদায় ৩৬৬ কোটি টাকা

tab

জাতীয়

‘ইলিশে হাতই দেয়া যাচ্ছে না’

আমিরুল মোমিনিন সাগর

সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

ইলিশ মাছের দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। কেউ কেউ ইলিশ মাছ কিনতে পারলেও, অনেকেই শুধু নাড়াচাড়া করে চলে যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদিত পণ্যসমূহ সরাসরি কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে আসায়, রাজধানীর অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে প্রায় সব পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবুও, সেখানেই ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ১,৪০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছের বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে—জানতে চাইলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা জুয়েল সংবাদকে বলেন, ‘বেচাবিক্রি একেবারেই ড্যাম। আগে মানুষজন একসাথে ৫টা-১০টা কিনত, এখন তো কেউ তেমন নেয় না—একটা একটা করে নিচ্ছে।’

এ সময় পাশে থাকা আরেক মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান কথায় যোগ দেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আগে আপনি ১০টা কিনতেন - বইনরে দিতেন, ভাইরে দিতেন, আত্মীয়-স্বজনরে দিতেন, আনন্দ হতো। এখন এই জিনিসটা নাই। আপনার একটা লাগবে, একটা-ই কিনবেন। মালের দামও বেশি, বেচাবিক্রিও কম।’

আগের আমেজটা নাই, ... কিসের পহেলা বৈশাখ...? আগে পহেলা বৈশাখ আইলে নতুন জামা..এখন আর দ্যাখেন?,’ প্রশ্ন তোলেন মান্নান।

এসময় এক ব্যক্তি উত্তর পাশের এক দোকানে ইলিশ মাছা নাড়াচাড়া করে চলে যাচ্ছেন। তার কাছে মাছের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন,‘যে দাম! ইলিশ মাছে হাতেই দেয়া যাচ্ছে না। অনেক দাম, অনেক দাম।’

ইলিশ মাছের ‘অনেক দাম’ হওয়ায় তিনি অন্য মাছ কিনবেন বলে পাশের গলিতে চলে গেলেন।

এ বাজারে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখা গেল, পাশের মাছের গলি থেকে এক ব্যক্তি ইলিশ মাছ কিনে ফিরছেন। তাঁর নাম শফিক। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হলো—‘কত দামে কিনলেন? ইলিশ মাছের দামটা কেমন মনে হচ্ছে?’

জবাবে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশিই, অনেক বেশি। ১,৪০০ টাকা কেজি দরে দুইটা ইলিশ কিনলাম, এক কেজিও হলো না-দাম পড়ল ১,৩২০ টাকা। ৫০০ গ্রাম মাছ যদি ৭০০ টাকা হয়, তাহলে বেশি না? দুইটা মাছ মিলেও এক কেজি হলো না, তার মানে বুঝেনই তো...।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু করার নাই, আমরা জিম্মি। ৫০০ টাকার তেল যদি ২,০০০ টাকা হয় তাও কিনতে হবে। হয়তো কম খাব, আগে তরকারি দুইটা খাইতাম, এখন একটা খাব। তেল আগে বেশি দিতাম, এখন কম দেব। কিন্তু খেতে তো হবেই। এখন বেতনও তো বাড়ে না।’

শফিক যিনি ইলিশ মাছ কিনেছেন, এবার কথা হলো তাঁর কাছ থেকে মাছ বিক্রি করা ব্যবসায়ী সুধীরের সঙ্গে। বৈশাখ উপলক্ষে বেচাবিক্রি কেমন হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বেচাকেনা নাই, একেবারেই কম। আগের চার ভাগের এক ভাগও বেচাকেনা নাই।’

বেচাবিক্রি কমে যাওয়ার কারণ কী মনে করছেন? - এই প্রশ্নে সুধীর বলেন, ‘ক্যামনে কইতাম! এইসব বিষয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নাই।’

এ সময় আলাপের মাঝে যোগ দেন পাশের মাছ বিক্রেতা মো. মিজান। উপযাচক হয়ে তিনি সংবাদকে বলেন,‘আগে পহেলা বৈশাখ হতো, মানুষ উদ্?যাপন করতো। এখন আর করে না। আগের মতো পহেলা বৈশাখ করেও না, বেচাকেনাও নাই। পহেলা বৈশাখে আগে ইলিশ মাছের বেচাবিক্রি অনেক বেশি হতো। এ কারণেই এবার কম।’

এরপর সুধীর আবার বলেন, ‘এক সময় ইলিশ মাছের “য়াইস্টা” সুদ্দায় নিয়া গেছিল গা, আর এখন বইয়া আছি গা, বেচাকেনা নাই।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি খাবার হোটেল মেসার্স নবান্ন রেস্টুরেন্ট। ইলিশ মাছ বিক্রি নিয়ে কথা হয় ওই রেস্টুরেন্টের হিসাব সহকারী মো. মজিবরের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণে ইলিশ মাছ কিনি না, বিক্রিও করি না। তবে কেউ যদি অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার দেয়, তখন লাইনের (চাঁদপুর জেলার) ইলিশ কিনে এনে রান্না করে দিয়ে এক পিস ৫০০ টাকা নেই।’

তিনি জানান, ‘দুই মাস আগে এক পিস ইলিশ মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন এক পিস ইলিশ মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বিবেকে বাধে। আর অন্য জেলার ইলিশ মাছে মজা নাই, তাই ঐডা বেঁচি না; বেঁচলে বদনাম হয়। ১ কেজি ওজনের লাইনের ইলিশ মাছ আমাদেরই কিনতে পড়ে কেজি ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা।’

রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বরিশাল ও চট্রগ্রামে ধরা ইলিশের চেয়ে চাঁদপুর থেকে আসা ইলিশ কম। বাজারভেদে ও মানভেদে ১ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।

back to top