পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) গঠন হয় ১৯৭৭ সালে। আরআরএফ গঠনের প্রায় ৪৮ বছরেও তাদের জন্য অপরিহার্য বিষয় গুলোর কোনো সুব্যবস্থা হয়নি। এমনকি তাদের থাকার জায়গাও অপর্যাপ্ত। প্যারেড করার মত মাঠ নেই। এই ভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজধানীসহ আশপাশের জেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের এই ইউনিট।
সম্প্রতি আরআরএফের নতুন দায়িত্ব পাওয়া একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি কিছু করার উদ্যোগ নেন। তাদের খাওয়ার জন্য ড্রাইনিং, টিভি ও রিডিং রুম চালু হচ্ছে আজ। সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় সব কাজ সম্পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে সদস্যরা অভিযোগ করেন।
গেন্ডারিয়া মিলব্যারাকস্থ আরআরএফের অফিসে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স (গেন্ডারিয়া থানার পিছনে) রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আর আর এফ) ৬ তলা একটি ভবন। ১৯৭৭ সালে পুলিশের এই প্রথম ইউনিট চালু করা হয়।
এই ভবনেই প্রায় আটশ’ ফোর্সের অফিস, অস্ত্রাগার, যানবাহন রাখার স্থান, রেশন অফিস, গোডাউনসহ অন্য অফিসের সব কার্যাক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরআরএফে কর্মরত ৮শ’ ফোর্সকে যখন যে জেলায় দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তারা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। এখনো তারা ঢাকা বিভাগের শিবচর, মাদারীপুর, আশুলিয়া, গোপালঞ্জ ও যমুনাসহ বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। স্থান সংকটের কারনে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে থাকার ও খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে রিজার্ভ ফোর্সের বিষয়টি উপেক্ষিত। তারা শুধু নির্দেশ মতো স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ডিউটি রত অবস্থায় তারা কোনো মতে খেয়ে দিন কাটান। ডিউটি শেষে আবার গাড়ি যোগে ব্যারাকে ফিরলে সেখানে তাদের কষ্টের শেষ নেই। পর্যাপ্ত বসা ও খাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। ড্রাইনিং রুমে বসে খাবে। আর বিনোদনের জন্য টেলিভিশন দেখবে, সেই ব্যবস্থাও ছিল না।
দৈনন্দিক খোজ খবরের জন্য সেখানে কোনো পত্রিকার ব্যবস্থা ছিল না। ফোর্সরা সেখানে নানা কষ্টে দিন কাটতো। এখন ঘুমাইলে আরেকজন ঘুমানোর ব্যবস্থা নেই। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসিয়ে দিন কাটত। এখনো তাদের থাকার ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত।
আরআরএফের আটশ’ সদস্যের তদারকি ও নির্দেশার দায়িত্বে একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ২ জন অ্যাডিশনাল এসপি, ২ জন এএসপি ও ৮ জন আমর্ড ইন্সপেক্টর কর্মরত আছেন। তাদের নির্দেশ ও গাইডলাইনে আরআরএফের সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জায়গার অভাবে আরআরএফের দৈনন্দিক প্যারেড হচ্ছে না। মাঠ নেই। নেই পর্যাপ্ত ব্যরাক। শুধু ডিউটি করা। ডিউটি শেষে একই ভবনে থাকা ও একই ভবনে সব কিছুই তাদের করতে হচ্ছে।
আরআরএফ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, গেন্ডারিয়ার এই ভবনটি আরআরএফের প্রধান কার্যালয়। গত ৪৮ বছর ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
গত অক্টোবর মাসে অতিরিক্ত ডিআইজি আলি আকবর খান কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপরই ফোর্সের অনুরোধে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে বিষয়টি তুলে ধরলে ফোর্সের জন্য ৬ তলা ভবনের নিচ তলায় এক সঙ্গে দেড় ফোর্স বসে যাতে খেতে পারে তার জন্য একটি ড্রাইনিং, ডিউটি শেষে বিনোদনের জন্য টিভি রুম ও পত্রিকা পড়ার জন্য একটি রুম তৈরি করেছেন। বাথ রুমসহ অন্য ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
আজ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক ভাবে বিনোদন কর্ণার, ডাইনিং রুম, টিভি রুম ও রিডিং রুমের উদ্বোধন করা হবে। এতে ফোর্সের মধ্যে কিছুটা হলে ও স্বত্বি ফিরে আসবে বলে কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন। উদ্বোধনের জন্য আর আর এফের নাম ফলক, সেখানে আশপাশের সব কিছু পরিষ্কার ও পরিচ্ছ করা হয়েছে। পুরনো নড়বড়ে যানবাহন গুলো সংস্কার করে সামনের প্রবেশ গেট ও পথ আগের চেয়ে ভালো করা হয়েছে।
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
পুলিশের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) গঠন হয় ১৯৭৭ সালে। আরআরএফ গঠনের প্রায় ৪৮ বছরেও তাদের জন্য অপরিহার্য বিষয় গুলোর কোনো সুব্যবস্থা হয়নি। এমনকি তাদের থাকার জায়গাও অপর্যাপ্ত। প্যারেড করার মত মাঠ নেই। এই ভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজধানীসহ আশপাশের জেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশের এই ইউনিট।
সম্প্রতি আরআরএফের নতুন দায়িত্ব পাওয়া একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি কিছু করার উদ্যোগ নেন। তাদের খাওয়ার জন্য ড্রাইনিং, টিভি ও রিডিং রুম চালু হচ্ছে আজ। সেখানে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় সব কাজ সম্পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে সদস্যরা অভিযোগ করেন।
গেন্ডারিয়া মিলব্যারাকস্থ আরআরএফের অফিসে সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স (গেন্ডারিয়া থানার পিছনে) রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আর আর এফ) ৬ তলা একটি ভবন। ১৯৭৭ সালে পুলিশের এই প্রথম ইউনিট চালু করা হয়।
এই ভবনেই প্রায় আটশ’ ফোর্সের অফিস, অস্ত্রাগার, যানবাহন রাখার স্থান, রেশন অফিস, গোডাউনসহ অন্য অফিসের সব কার্যাক্রম পরিচালনা করা হয়।
আরআরএফে কর্মরত ৮শ’ ফোর্সকে যখন যে জেলায় দায়িত্ব দেয়া হয়, তখন তারা স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। এখনো তারা ঢাকা বিভাগের শিবচর, মাদারীপুর, আশুলিয়া, গোপালঞ্জ ও যমুনাসহ বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। স্থান সংকটের কারনে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে থাকার ও খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে রিজার্ভ ফোর্সের বিষয়টি উপেক্ষিত। তারা শুধু নির্দেশ মতো স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ডিউটি রত অবস্থায় তারা কোনো মতে খেয়ে দিন কাটান। ডিউটি শেষে আবার গাড়ি যোগে ব্যারাকে ফিরলে সেখানে তাদের কষ্টের শেষ নেই। পর্যাপ্ত বসা ও খাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। ড্রাইনিং রুমে বসে খাবে। আর বিনোদনের জন্য টেলিভিশন দেখবে, সেই ব্যবস্থাও ছিল না।
দৈনন্দিক খোজ খবরের জন্য সেখানে কোনো পত্রিকার ব্যবস্থা ছিল না। ফোর্সরা সেখানে নানা কষ্টে দিন কাটতো। এখন ঘুমাইলে আরেকজন ঘুমানোর ব্যবস্থা নেই। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বসিয়ে দিন কাটত। এখনো তাদের থাকার ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত।
আরআরএফের আটশ’ সদস্যের তদারকি ও নির্দেশার দায়িত্বে একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ২ জন অ্যাডিশনাল এসপি, ২ জন এএসপি ও ৮ জন আমর্ড ইন্সপেক্টর কর্মরত আছেন। তাদের নির্দেশ ও গাইডলাইনে আরআরএফের সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জায়গার অভাবে আরআরএফের দৈনন্দিক প্যারেড হচ্ছে না। মাঠ নেই। নেই পর্যাপ্ত ব্যরাক। শুধু ডিউটি করা। ডিউটি শেষে একই ভবনে থাকা ও একই ভবনে সব কিছুই তাদের করতে হচ্ছে।
আরআরএফ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, গেন্ডারিয়ার এই ভবনটি আরআরএফের প্রধান কার্যালয়। গত ৪৮ বছর ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
গত অক্টোবর মাসে অতিরিক্ত ডিআইজি আলি আকবর খান কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপরই ফোর্সের অনুরোধে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে বিষয়টি তুলে ধরলে ফোর্সের জন্য ৬ তলা ভবনের নিচ তলায় এক সঙ্গে দেড় ফোর্স বসে যাতে খেতে পারে তার জন্য একটি ড্রাইনিং, ডিউটি শেষে বিনোদনের জন্য টিভি রুম ও পত্রিকা পড়ার জন্য একটি রুম তৈরি করেছেন। বাথ রুমসহ অন্য ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
আজ পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক ভাবে বিনোদন কর্ণার, ডাইনিং রুম, টিভি রুম ও রিডিং রুমের উদ্বোধন করা হবে। এতে ফোর্সের মধ্যে কিছুটা হলে ও স্বত্বি ফিরে আসবে বলে কর্মকর্তারা মন্তব্য করেন। উদ্বোধনের জন্য আর আর এফের নাম ফলক, সেখানে আশপাশের সব কিছু পরিষ্কার ও পরিচ্ছ করা হয়েছে। পুরনো নড়বড়ে যানবাহন গুলো সংস্কার করে সামনের প্রবেশ গেট ও পথ আগের চেয়ে ভালো করা হয়েছে।