আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথরেখা টেনে বাঙালির চেতনায় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। রাজধানীর রমনার বটমূলে সোমবার ভোরে তাদের ৫৮তম এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, পয়লা বৈশাখের প্রথম প্রহরে ভৈরবী রাগে রাগাঙ্কুর সুপ্রিয়া দাশের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় ছায়ানটের এবারের আয়োজনে। পরে একে একে পরিবেশিত হয় সম্মেলক ও একক কণ্ঠে সংগীত, আবৃত্তি ও পাঠ।
এবারই প্রথমবারের মতো প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। শ্রদ্ধা জানিয়ে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নববর্ষ কথন পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, “সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয়। ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ এবং আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে, মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সকল মানুষের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভেঙে গড়ে উঠবে সম্প্রীতির সমাজ।”
দুই ঘণ্টার এই আয়োজনে পরিবেশিত হয় ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক গান ও ৩টি আবৃত্তি। অংশ নেন দেড় শতাধিক শিল্পী। পরিবেশিত গানগুলোর মধ্যে ছিল—‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’, ‘তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী’, ‘তিমির দুয়ার খোলো’, ‘সকল কলুষতামসহর’, ‘মোরা সত্যের পরে মন’, ‘এই বাংলা রবি ঠাকুরের’ ইত্যাদি।
একক পরিবেশনায় অংশ নেন খায়রুল আনাম শাকিল, ফারজানা আক্তার পপি, ফারহানা আক্তার শ্যার্লি, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, চন্দনা মজুমদার, মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য, সুমন মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা, জয়ন্ত রায় প্রমুখ।
আবৃত্তি করেন জহিরুল হক খান (‘ঝড়ের খেয়া’), সুমনা বিশ্বাস (‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য’) এবং জয়ন্ত রায় (‘সভ্যতা’)। অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলক পরিবেশনায় ‘ও আলোর পথযাত্রী’ ও ‘আইজ আইলো রে বছর ঘুরি’ গাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি বিটিভিসহ ছায়ানটের নিজস্ব ইউটিউব ও ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথরেখা টেনে বাঙালির চেতনায় ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। রাজধানীর রমনার বটমূলে সোমবার ভোরে তাদের ৫৮তম এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল—‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, পয়লা বৈশাখের প্রথম প্রহরে ভৈরবী রাগে রাগাঙ্কুর সুপ্রিয়া দাশের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় ছায়ানটের এবারের আয়োজনে। পরে একে একে পরিবেশিত হয় সম্মেলক ও একক কণ্ঠে সংগীত, আবৃত্তি ও পাঠ।
এবারই প্রথমবারের মতো প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন। শ্রদ্ধা জানিয়ে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নববর্ষ কথন পাঠ করেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, “সকল অতৃপ্তি প্রতিবিধানের দায় রাষ্ট্রের, তবে সমাজকেও সে দায় নিতে হয়। ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ, মুক্তচিন্তার নির্ভয় প্রকাশ এবং আবহমান সংস্কৃতির নির্বিঘ্ন যাত্রা হৃদয়ে ধারণ করলে, মুক্তির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুগম হবেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এক আলোকিত দেশ ও সমাজের স্বপ্ন দেখি, যেখানে সকল মানুষের শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, ধর্ম-জাতি-বিত্তের বিভাজন ভেঙে গড়ে উঠবে সম্প্রীতির সমাজ।”
দুই ঘণ্টার এই আয়োজনে পরিবেশিত হয় ৯টি সম্মেলক গান, ১২টি একক গান ও ৩টি আবৃত্তি। অংশ নেন দেড় শতাধিক শিল্পী। পরিবেশিত গানগুলোর মধ্যে ছিল—‘নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা’, ‘তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী’, ‘তিমির দুয়ার খোলো’, ‘সকল কলুষতামসহর’, ‘মোরা সত্যের পরে মন’, ‘এই বাংলা রবি ঠাকুরের’ ইত্যাদি।
একক পরিবেশনায় অংশ নেন খায়রুল আনাম শাকিল, ফারজানা আক্তার পপি, ফারহানা আক্তার শ্যার্লি, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, চন্দনা মজুমদার, মোস্তাফিজুর রহমান তূর্য, সুমন মজুমদার, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা, জয়ন্ত রায় প্রমুখ।
আবৃত্তি করেন জহিরুল হক খান (‘ঝড়ের খেয়া’), সুমনা বিশ্বাস (‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য’) এবং জয়ন্ত রায় (‘সভ্যতা’)। অনুষ্ঠান শেষে সম্মেলক পরিবেশনায় ‘ও আলোর পথযাত্রী’ ও ‘আইজ আইলো রে বছর ঘুরি’ গাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি বিটিভিসহ ছায়ানটের নিজস্ব ইউটিউব ও ফেইসবুক পেইজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।