সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদক
জমি রেজিস্ট্রির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর সদর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার, ১৬ এপ্রিল দুপুরে শহরের গরীব শাহ সড়ক সংলগ্ন কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর শাখার সহকারী পরিচালক আল আমিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুই দফা অভিযান চালায় দুদক। প্রথম দফায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়। দুদকের নিজস্ব পোষাক পরে সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন, উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ২টার দিকে টিমটি রেজিস্ট্রার অফিস ত্যাগ করেন। এর প্রায় ২০ মিনিট পর ফের ওই কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয়। এরপর রেজিস্ট্রার আবু তালেবের কক্ষে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে তদন্ত দল।
অভিযান সম্পর্কে দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন জানান, জমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পেশকার ভৈরব চক্রবর্তী ও কপিস্ট (নকলকারক) আসমা খাতুনের কিছু কর্মকা- আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো, পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, অভিযানকালে কাউকে আটক করা হয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়ম, বিভিন্ন কাজে ঘুষ দাবি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পরিচালিত অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে সাইয়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে জেলা রেজিস্ট্রার আগে যিনি ছিলেন মিশন চাকমা ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এবং জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ ছিল ওখানে অফিস সহকারী এবং প্রধান সহকারী তারা হোতা ছিল, এখানে টাকা-পয়সা তারা কালেকশন করে। এছাড়া চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। সন্দ্বীপে কিছু নকল-নবিশের নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ছিল। সব আমরা রেকর্ডপত্র চেয়েছি এবং পেয়েছি।
নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক আগে থেকেই নকল-নবিশ নিয়োগ বন্ধ ছিল। তারপরও আইজিআরের পারমিশন ছাড়া এখানে নকল-নবিশের নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আইজিআর একটি শোকজ করে এবং সাময়িকভাবে নিয়োগটি বাতিলও করে। আমরা জিনিসটা দেখবো এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা। আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে অবশ্যই। এখানকার কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাদের আমরা ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো ধরনের সম্পদ আছে কিনা, সেটাও দুদক খতিয়ে দেখবে। আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর জমা দেব। আর আরও কিছু রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করবো। সন্দ্বীপে ১৯ জন নকল-নবিশ নিয়োগ দেয়া হয়। সেটা নিয়মানুযায়ী হয়নি যতটুকু আমরা চিঠিতে দেখেছি। বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।
নামজারির জন্য ঘুষ দাবি করা হয় বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ
করলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আছে, আমরাও শুনেছি। আমরা যখন সরেজমিনে আসি তখন সবাই অ্যালার্ট হয়ে যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মানুষের ভেতরে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি। যেন ঘুষ চাইলেই না দেয়। আমরা ক্যাশ ড্রয়ার তল্লাশি করেছি। সেরকম টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।
জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে দালালদের আধিপত্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আজকে এসে এ পর্যন্ত দালালদের দেখিনি। আমরা নিজেরাই দেখলাম সবকিছু। তারপরও দালাল পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদক
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
জমি রেজিস্ট্রির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর সদর সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার, ১৬ এপ্রিল দুপুরে শহরের গরীব শাহ সড়ক সংলগ্ন কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোর শাখার সহকারী পরিচালক আল আমিন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুই দফা অভিযান চালায় দুদক। প্রথম দফায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়। দুদকের নিজস্ব পোষাক পরে সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন, উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযানে অংশ নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ২টার দিকে টিমটি রেজিস্ট্রার অফিস ত্যাগ করেন। এর প্রায় ২০ মিনিট পর ফের ওই কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয়। এরপর রেজিস্ট্রার আবু তালেবের কক্ষে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে তদন্ত দল।
অভিযান সম্পর্কে দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন জানান, জমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পেশকার ভৈরব চক্রবর্তী ও কপিস্ট (নকলকারক) আসমা খাতুনের কিছু কর্মকা- আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো, পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, অভিযানকালে কাউকে আটক করা হয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়ম, বিভিন্ন কাজে ঘুষ দাবি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পরিচালিত অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন। বুধবার দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাইয়েদ আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে সাইয়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখানে জেলা রেজিস্ট্রার আগে যিনি ছিলেন মিশন চাকমা ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল এবং জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ ছিল ওখানে অফিস সহকারী এবং প্রধান সহকারী তারা হোতা ছিল, এখানে টাকা-পয়সা তারা কালেকশন করে। এছাড়া চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ ছিল। সন্দ্বীপে কিছু নকল-নবিশের নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ছিল। সব আমরা রেকর্ডপত্র চেয়েছি এবং পেয়েছি।
নকল-নবিশ নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে অনেক আগে থেকেই নকল-নবিশ নিয়োগ বন্ধ ছিল। তারপরও আইজিআরের পারমিশন ছাড়া এখানে নকল-নবিশের নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে আইজিআর একটি শোকজ করে এবং সাময়িকভাবে নিয়োগটি বাতিলও করে। আমরা জিনিসটা দেখবো এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা। আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে অবশ্যই। এখানকার কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল। তাদের আমরা ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো ধরনের সম্পদ আছে কিনা, সেটাও দুদক খতিয়ে দেখবে। আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর জমা দেব। আর আরও কিছু রেকর্ডপত্র আমরা সংগ্রহ করবো। সন্দ্বীপে ১৯ জন নকল-নবিশ নিয়োগ দেয়া হয়। সেটা নিয়মানুযায়ী হয়নি যতটুকু আমরা চিঠিতে দেখেছি। বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দেব।
নামজারির জন্য ঘুষ দাবি করা হয় বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ
করলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আছে, আমরাও শুনেছি। আমরা যখন সরেজমিনে আসি তখন সবাই অ্যালার্ট হয়ে যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। মানুষের ভেতরে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি। যেন ঘুষ চাইলেই না দেয়। আমরা ক্যাশ ড্রয়ার তল্লাশি করেছি। সেরকম টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। কিছু ডকুমেন্টস পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করবো।
জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে দালালদের আধিপত্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আজকে এসে এ পর্যন্ত দালালদের দেখিনি। আমরা নিজেরাই দেখলাম সবকিছু। তারপরও দালাল পাওয়া গেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেব।