আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি অভিযোগ করে দাবি আদায়ে আরও ‘কঠোর’ কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তারা এ কথা জানান।
এর আগে ছয় দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি শিথিল করার কথা জানান ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’র নামে কর্মসূচি পালন করে আসা শিক্ষার্থীরা। বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জন্য পরবর্তী কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তবে বৈঠকের পর আবার নতুন কর্মসূচির কথা জানালো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে তারা কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিল করছেন। সচিবালয়ে তারা উপদেষ্টা ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন। বৈঠকের বিষয়ে কারিগরি ছাত্র
আন্দোলনের অন্যতম নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ বা কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। তাদের সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে বলেও তার দাবি।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, তারা অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ‘দৃশ্যমান’ কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাননি। এই বৈঠকে তারা ‘সন্তুষ্ট’ নন।
দাবি আদায়ের জন্য তাদের আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব আলোচনা করলেও তার পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে বহু সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব হয়নি জানিয়ে মাশফিক ইসলাম বলেন, কুমিল্লায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর কোনো কিছু নিয়েই তারা ‘সুস্পষ্ট’ সিদ্ধান্ত পাননি। এজন্য সভা ফলপ্রসূ হয়নি।
ছয় দফা দাবিতে বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক আটকে রাখায় যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
ওইদিন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধ করবেন আন্দোলনকারীরা। এরপর রাতেই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলোÑ জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
তৃতীয়ত, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে।
ষষ্ঠ দাবি হলো পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।.
আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি অভিযোগ করে দাবি আদায়ে আরও ‘কঠোর’ কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রেহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যায়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তারা এ কথা জানান।
এর আগে ছয় দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি শিথিল করার কথা জানান ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’র নামে কর্মসূচি পালন করে আসা শিক্ষার্থীরা। বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জন্য পরবর্তী কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। তবে বৈঠকের পর আবার নতুন কর্মসূচির কথা জানালো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে তারা কর্মসূচি সাময়িকভাবে শিথিল করছেন। সচিবালয়ে তারা উপদেষ্টা ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন। বৈঠকের বিষয়ে কারিগরি ছাত্র
আন্দোলনের অন্যতম নেতা জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ বা কথাবার্তা কিছুই হয়নি। সচিবরাও ছিলেন না। তাদের সঙ্গে সরকারের তরফ থেকে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে বলেও তার দাবি।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, তারা অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ‘দৃশ্যমান’ কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাননি। এই বৈঠকে তারা ‘সন্তুষ্ট’ নন।
দাবি আদায়ের জন্য তাদের আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব আলোচনা করলেও তার পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে বহু সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব হয়নি জানিয়ে মাশফিক ইসলাম বলেন, কুমিল্লায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর কোনো কিছু নিয়েই তারা ‘সুস্পষ্ট’ সিদ্ধান্ত পাননি। এজন্য সভা ফলপ্রসূ হয়নি।
ছয় দফা দাবিতে বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সড়ক আটকে রাখায় যানজটে পড়ে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
ওইদিন ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধ করবেন আন্দোলনকারীরা। এরপর রাতেই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দেয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলোÑ জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু করতে হবে এবং একাডেমিক কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে করতে হবে।
তৃতীয়ত, উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (দশম গ্রেড) থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রীয়, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্ন পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ দাবি, কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এই পদগুলোয় অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ ও সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
পঞ্চম দাবি, স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা’ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা ও ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করতে হবে।
ষষ্ঠ দাবি হলো পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নত মানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস এবং ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।.