alt

জাতীয়

১০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প অনুমোদন অভিযোজন তহবিল বোর্ডের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

অভিযোজন তহবিল বোর্ড সবুজ, সহনশীল এবং অভিযোজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থনীতি (জিআরএসিই বা গ্রেস) প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এটি বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলাজুড়ে বিস্তৃত এবং সম্প্রদায়চালিত জলবায়ু অভিযোজন কৌশল দেবে

জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো স্থাপন, পানি সংকটপ্রবণ উপজেলাগুলোতে ঝর্ণা এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির রিচার্জ সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে

প্রথম পর্যায়ে ২৫টি উপজেলায় সরাসরি সহায়তা দেবে, পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবশিষ্ট ১০টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে

এই প্রকল্পটি ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইচটি) সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি আরও সহনশীল হতে সাহায্য করার জন্য কাজ করবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জিআরএসিই বা গ্রেস প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিবেশগত ভাবে সমৃদ্ধ কিন্তু তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ রূপান্তরমূলক উদ্যোগটি এই অঞ্চলে বসবাসকারী জাতিগত সংখ্যালঘুদের মর্যাদা, অধিকার এবং কল্যাণ বজায় রেখেই জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতায় অর্থপূর্ণ বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দেবে।’

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘অ্যাডাপ্টেশন ফান্ডের ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদনের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এটি জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃত্বের প্রমাণ।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেস প্রকল্প স্থানীয় সরকারকে সক্ষমতা দিবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের ওপর ভিত্তি করে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে ক্ষমতায়িত করবে।’

কাঠমান্ডু-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) বাংলাদেশ কান্ট্রি ফোকাল পয়েন্ট কবির উদ্দিন বাসসকে বলেন, গ্রেস প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলা জুড়ে বিস্তৃত প্রকৃতি-ভিত্তিক এবং সম্প্রদায়-চালিত জলবায়ু অভিযোজন কৌশল প্রদান করবে।

প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো স্থাপন, পুকুরের ধারণক্ষমতা উন্নতকরণ, পানি সংকট প্রবণ উপজেলাগুলোতে ঝর্ণা এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির রিচার্জ সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে, তিনি বলেন।

গ্রেস প্রকল্পেরও প্রধান কবির উদ্দিন বলেন, এই উদ্যোগটি অঞ্চলের স্বতন্ত্র ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে উপযুক্ত জলবায়ু-প্রতিরোধী কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগ করে টেকসই ভূমি ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন এবং অভিযোজন পরিকল্পনায় স্থানীয় সরকার, নারী এবং যুবসমাজের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের ক্ষমতাকে উন্নত করবে।’

স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নের কার্যকর এবং ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করতে, ‘লোকাল ক্লাইমেট এডাপ্টিভ লিভিং ফ্যাসিলিটি’ (এলওসিএএল) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মধ্যবর্তিতার প্রক্রিয়াসমূহ বাস্তবায়িত করা হবে, যা পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অনুদান প্রদান করবে।’

প্রকল্পটি প্রথম পর্যায়ে ২৫টি উপজেলায় সরাসরি সহায়তা দেবে, পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবশিষ্ট ১০টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে বলে আইসিএমওডি-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এই প্রকল্পটি এলওসিএএল’র ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত সরকারি কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত পারফরম্যান্সের ভিত্তিক জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ভর্তুকি ব্যবহার করবে। যা সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

গ্রেস প্রকল্পটি অভিযোজন তহবিলের জন্য সরকার মনোনীত কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে।

আইসিএমওডি হল আঞ্চলিক বাস্তবায়নকারী সংস্থা। আইসিএমওডি-এর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে গ্রেস প্রকল্পটি পার্বত্য চট্টগ্রাম এর জন্য বাংলাদেশের অগ্রাধিকার এবং কৌশলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এটি প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্প্রদায়-চালিত অভিযোজন উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নকে সহজতর করবে।

আইসিএমওডি-এর মহাপরিচালক ড. পেমা গ্যামতশো বলেন, ‘পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোকে বিজ্ঞান-ভিত্তিক, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধান প্রদান করাই আইসিএমওডি-এর লক্ষ্য। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে

সহযোগিতায়, আমরা জলবায়ু সহনশীলতা বিকাশে কাজ করছি, যা সেখানকার সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষমতায়িত করবে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করবে।’

গ্রেস প্রকল্পটি আইসিএমওডি দ্বারা বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সঙ্গে জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিলের (ইউএনসিডিএফ) সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সুন্দর ভূদৃশ্য জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তুতন্ত্র পরিষেবা প্রদান করছে। সেইসঙ্গে এটি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আবাসস্থলও। তবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) এই অঞ্চলটিকে দেশের ‘জলবায়ু চাপ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ছবি

সাম্য হত্যাকাণ্ড: ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের, শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: আইনী পরামর্শ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি ২৭ জনের

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে: ডিএমপি

প্রতারণার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

দেশের গণমাধ্যম অবারিত স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

ছবি

পলিসি ব্রেকফাস্ট: নির্মল বায়ু আইন তৈরি ও জ্বালানি নীতিমালা হালনাগাদের দাবি

কলেজ থেকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ, তিন জনের যাবজ্জীবন

ছবি

সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী

ছবি

খুমেক : অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক রোগের ঝুঁকি

মোকতাদির ও আরিফসহ ৬ জনের দেশত্যাগ নিষেধ

জাপানের কাছে আরও বেশি ঋণ ও বাজেট সহায়তা চায় বাংলাদেশ

উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল ছুড়লো কে? ‘খুঁজছে’ পুলিশ

কিছু প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো খুব কঠিন : বাসদ

দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস, পিও ও এনসিপি নেতাকে ডেকেছে দুদক

নগদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অস্থিরতা শুরু

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন, ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক

ছবি

দাবি আদায়ে জগন্নাথে ‘শাটডাউন’: তিন দফার সঙ্গে ‘পুলিশি হামলার’ বিচারের দাবি আন্দোলনকারীদের

ছবি

ছাত্রদল নেতাদের ‘তুই’ সম্বোধনে ক্ষোভ, উপাচার্যের সমালোচনায় রিজভী

ছবি

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে ভারত

ছবি

জবির যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন? প্রশ্ন সারজিসের

সাবেক সেনাসদস্যদের প্রতি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ: আইএসপিআর

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে সাত দফা সিদ্ধান্ত

ছবি

আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, উপদেষ্টার ওপর বোতল নিক্ষেপে উত্তপ্ত কাকরাইল

ছবি

‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দেব না : মাহফুজ আলম

তারিক সিদ্দিকীর সাড়ে ৬ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাজশাহী নার্সিং কলেজ

‘লও ঠেলা’ গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

লরি ঠেলে সন্তানকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা, সারারাত দাঁড়িয়ে ছিল মা হাতি

ছবি

নগদের বিরুদ্ধে ২৩শ’ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’ ও ‘অর্থ পাচার প্রমাণের’ কথা জানালো দুদক

ছবি

নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট

ছবি

তীব্র গরমে চরম স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন গর্ভবতীরা

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা সেরাদের হাতে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা : উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন টিউলিপ : দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

সীমান্ত দিয়ে আরও ৬০ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

tab

জাতীয়

১০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প অনুমোদন অভিযোজন তহবিল বোর্ডের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

অভিযোজন তহবিল বোর্ড সবুজ, সহনশীল এবং অভিযোজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অর্থনীতি (জিআরএসিই বা গ্রেস) প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এটি বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলাজুড়ে বিস্তৃত এবং সম্প্রদায়চালিত জলবায়ু অভিযোজন কৌশল দেবে

জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো স্থাপন, পানি সংকটপ্রবণ উপজেলাগুলোতে ঝর্ণা এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির রিচার্জ সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে

প্রথম পর্যায়ে ২৫টি উপজেলায় সরাসরি সহায়তা দেবে, পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবশিষ্ট ১০টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে

এই প্রকল্পটি ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের (সিএইচটি) সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি আরও সহনশীল হতে সাহায্য করার জন্য কাজ করবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জিআরএসিই বা গ্রেস প্রকল্পটি বাংলাদেশের পরিবেশগত ভাবে সমৃদ্ধ কিন্তু তীব্র ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ রূপান্তরমূলক উদ্যোগটি এই অঞ্চলে বসবাসকারী জাতিগত সংখ্যালঘুদের মর্যাদা, অধিকার এবং কল্যাণ বজায় রেখেই জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতায় অর্থপূর্ণ বিনিয়োগের দুয়ার খুলে দেবে।’

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘অ্যাডাপ্টেশন ফান্ডের ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অনুমোদনের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এটি জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃত্বের প্রমাণ।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেস প্রকল্প স্থানীয় সরকারকে সক্ষমতা দিবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের ওপর ভিত্তি করে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে ক্ষমতায়িত করবে।’

কাঠমান্ডু-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্টের (আইসিআইএমওডি) বাংলাদেশ কান্ট্রি ফোকাল পয়েন্ট কবির উদ্দিন বাসসকে বলেন, গ্রেস প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলা জুড়ে বিস্তৃত প্রকৃতি-ভিত্তিক এবং সম্প্রদায়-চালিত জলবায়ু অভিযোজন কৌশল প্রদান করবে।

প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল অবকাঠামো স্থাপন, পুকুরের ধারণক্ষমতা উন্নতকরণ, পানি সংকট প্রবণ উপজেলাগুলোতে ঝর্ণা এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির রিচার্জ সিস্টেম পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে, তিনি বলেন।

গ্রেস প্রকল্পেরও প্রধান কবির উদ্দিন বলেন, এই উদ্যোগটি অঞ্চলের স্বতন্ত্র ভূ-প্রকৃতির সঙ্গে উপযুক্ত জলবায়ু-প্রতিরোধী কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগ করে টেকসই ভূমি ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।

তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন এবং অভিযোজন পরিকল্পনায় স্থানীয় সরকার, নারী এবং যুবসমাজের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের ক্ষমতাকে উন্নত করবে।’

স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু অর্থায়নের কার্যকর এবং ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করতে, ‘লোকাল ক্লাইমেট এডাপ্টিভ লিভিং ফ্যাসিলিটি’ (এলওসিএএল) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মধ্যবর্তিতার প্রক্রিয়াসমূহ বাস্তবায়িত করা হবে, যা পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা অনুদান প্রদান করবে।’

প্রকল্পটি প্রথম পর্যায়ে ২৫টি উপজেলায় সরাসরি সহায়তা দেবে, পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবশিষ্ট ১০টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হবে বলে আইসিএমওডি-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এই প্রকল্পটি এলওসিএএল’র ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত সরকারি কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত পারফরম্যান্সের ভিত্তিক জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ভর্তুকি ব্যবহার করবে। যা সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

গ্রেস প্রকল্পটি অভিযোজন তহবিলের জন্য সরকার মনোনীত কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে।

আইসিএমওডি হল আঞ্চলিক বাস্তবায়নকারী সংস্থা। আইসিএমওডি-এর সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে গ্রেস প্রকল্পটি পার্বত্য চট্টগ্রাম এর জন্য বাংলাদেশের অগ্রাধিকার এবং কৌশলসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

এটি প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সম্প্রদায়-চালিত অভিযোজন উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নকে সহজতর করবে।

আইসিএমওডি-এর মহাপরিচালক ড. পেমা গ্যামতশো বলেন, ‘পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোকে বিজ্ঞান-ভিত্তিক, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধান প্রদান করাই আইসিএমওডি-এর লক্ষ্য। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে

সহযোগিতায়, আমরা জলবায়ু সহনশীলতা বিকাশে কাজ করছি, যা সেখানকার সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষমতায়িত করবে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করবে।’

গ্রেস প্রকল্পটি আইসিএমওডি দ্বারা বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সঙ্গে জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিলের (ইউএনসিডিএফ) সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের সুন্দর ভূদৃশ্য জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তুতন্ত্র পরিষেবা প্রদান করছে। সেইসঙ্গে এটি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আবাসস্থলও। তবে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (এনএপি) এই অঞ্চলটিকে দেশের ‘জলবায়ু চাপ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

back to top