কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, এক মাসে দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ
হঠাৎ ঝাঁজ উঠলো পেঁয়াজের। খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারেই বেড়েছে দাম। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। ঠিক এক মাসের (১৭ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল) ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সরকারের আরেক সংস্থা টিসিবির বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর খুচরা বাজার দরের হিসাবে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে জাতভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা আর খুচরায় বাজার ও মানভেদে ১৫-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজের আড়ত রাসেলের দোকানে সদাই করতে আসেন শাহারুল ইসলাম। ক্রেতা শাহারুল দেশি পেঁয়াজে দর জানতে চাইলে বিক্রেতা রাসেল বলেন, ‘পাবনার বড় সাইজের দাম কেজি ৬০ টাকা আর এক পাল্লা ৩০০ টাকা আর ছোট সাইজেরটা ৫৬ টাকা আর এক পাল্লা ২৮০ টাকা।
এ সময় ক্রেতা শাহারুল বড় সাইজের ১ পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজের দাম ২৯০ টাকা দিতে চাইলেন। কিন্তু বিক্রেতা রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে কিনলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতা রাসেল সংবাদকে বলেন, ‘ধানের মৌসুমে আমরা যেমন কয়েকমাস খাওয়ার জন্য ধান সিদ্ধ করে শুকিয়ে বেড়ে (গোলায়) উঠাই ঠিক তেমনি যারা পেঁয়াজের আবাদ (চাষ) করছে সেই গেরেস্তরা পেঁয়াজ শুকিয়ে মাচায় মজুদ করছে। তাই দাম বাড়ছে।’
তবে, এই পাইকারি আড়তে ফরিদপুর জেলায় উৎপাদিত একপাল্লা পেঁয়াজ ২৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজধানী শান্তিনগর কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা জিয়া সংবাদকে বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে দাম বাড়ছে। পাবনার পেঁয়াজ ৭০ টাকা আর ফরিদপুরেরটা ৬০ টাকা।
এর আগে রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের দেশি পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন গত শুক্রবার সংবাদকে বলেছিলেন, ‘দাম বাড়বো, আরও বাড়বো (দেশি পেঁয়াজ)।’ এক সপ্তাহ না পেরুতেই আরেক দফা দাম বেড়ে কামালের মন্তব্য সঠিক প্রমাণিত হলো।
সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘পাইকারি বাজারে পাবনার পেঁয়াজ
কেজি ৪৫ টাকা। আর পাইকারিতে ৪৫ টাকা কিনে আনলে বিক্রি করতে হবে কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তাই কিনেও আনিনি, দোকানেও ওঠাইনি। আগের কেনা পেঁয়াজেই বিক্রি করছি কেজি ৫০ টাকায়।’
গত শুক্রবারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। একই পেঁয়াজ ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, এক মাসে দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
হঠাৎ ঝাঁজ উঠলো পেঁয়াজের। খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারেই বেড়েছে দাম। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার,(১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। ঠিক এক মাসের (১৭ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল) ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সরকারের আরেক সংস্থা টিসিবির বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর খুচরা বাজার দরের হিসাবে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে জাতভেদে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকা আর খুচরায় বাজার ও মানভেদে ১৫-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজের আড়ত রাসেলের দোকানে সদাই করতে আসেন শাহারুল ইসলাম। ক্রেতা শাহারুল দেশি পেঁয়াজে দর জানতে চাইলে বিক্রেতা রাসেল বলেন, ‘পাবনার বড় সাইজের দাম কেজি ৬০ টাকা আর এক পাল্লা ৩০০ টাকা আর ছোট সাইজেরটা ৫৬ টাকা আর এক পাল্লা ২৮০ টাকা।
এ সময় ক্রেতা শাহারুল বড় সাইজের ১ পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজের দাম ২৯০ টাকা দিতে চাইলেন। কিন্তু বিক্রেতা রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকা দিয়ে কিনলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতা রাসেল সংবাদকে বলেন, ‘ধানের মৌসুমে আমরা যেমন কয়েকমাস খাওয়ার জন্য ধান সিদ্ধ করে শুকিয়ে বেড়ে (গোলায়) উঠাই ঠিক তেমনি যারা পেঁয়াজের আবাদ (চাষ) করছে সেই গেরেস্তরা পেঁয়াজ শুকিয়ে মাচায় মজুদ করছে। তাই দাম বাড়ছে।’
তবে, এই পাইকারি আড়তে ফরিদপুর জেলায় উৎপাদিত একপাল্লা পেঁয়াজ ২৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজধানী শান্তিনগর কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা জিয়া সংবাদকে বলেন, ‘দুই-তিন দিন ধরে দাম বাড়ছে। পাবনার পেঁয়াজ ৭০ টাকা আর ফরিদপুরেরটা ৬০ টাকা।
এর আগে রাজধানী শ্যামলী কাঁচাবাজারের দেশি পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা মো. কামাল উদ্দিন গত শুক্রবার সংবাদকে বলেছিলেন, ‘দাম বাড়বো, আরও বাড়বো (দেশি পেঁয়াজ)।’ এক সপ্তাহ না পেরুতেই আরেক দফা দাম বেড়ে কামালের মন্তব্য সঠিক প্রমাণিত হলো।
সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ‘পাইকারি বাজারে পাবনার পেঁয়াজ
কেজি ৪৫ টাকা। আর পাইকারিতে ৪৫ টাকা কিনে আনলে বিক্রি করতে হবে কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। তাই কিনেও আনিনি, দোকানেও ওঠাইনি। আগের কেনা পেঁয়াজেই বিক্রি করছি কেজি ৫০ টাকায়।’
গত শুক্রবারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। একই পেঁয়াজ ঈদের আগে বিক্রি হয়েছিল কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।