alt

জাতীয়

৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তথ্য গোপনে প্রশ্ন, হাইকোর্টের রুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

গত ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনসংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে ব্যর্থতার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রুলে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের (দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস) আইনগত ভিত্তি ও কারণসহ নথি প্রকাশে ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জে আর খান রবিন।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রিট আবেদনকারী ওমর ফারুক। তবে কোনো জবাব না পেয়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে রিটটি করেন।

রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষেত্রে একটি সুসংগঠিত তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচারক, ফৌজদারি আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শ বোর্ড গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত, হ্রাস বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে।

তবে রিটকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি যেভাবে কিছু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা দিয়েছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কার সুপারিশে এবং কোন মানদণ্ডে দণ্ডিতদের ক্ষমা দিয়েছেন, তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।”

রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবকে।

ছবি

গণঅভ্যুত্থানের ঐক্য সমুন্নত রাখার তাগিদ শোকসভায়

ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ভিত মজবুত করার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের

ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও সহায়তা সংকট নিয়ে গুরুত্বারোপ

ছবি

উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ প্রতিরোধে গবেষণা

১৫ জুলাই ২০২৪, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, রণক্ষেত্র ঢাবি

জাপার ‘বিভক্ত’ নেতারা এক মঞ্চে, ঐক্যের ডাক

উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানির দাম বাড়লো

ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেলে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার মোহাম্মদপুর-আদাবরের আলোচিত সন্ত্রাসী ‘আয়েশা গ্রুপ’-এর প্রধান গ্রেপ্তার: র‌্যাব

বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন

৭ মাসে ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটন

বাড্ডায় আনোয়ার হত্যা আসামি গ্রেপ্তার, পিস্তল উদ্ধার

সিলেটে গর্ভবতী স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, সন্তানের মৃত্যু

ছবি

‘সরকার আসে সরকার যায়, ভবদহে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হয় না’

ছবি

মানিলন্ডারিং মামলা: বিএসবির কর্ণধার খায়রুল বাসার গ্রেপ্তার

ছবি

কলেজে ভর্তির সুযোগ চেয়ে ঢাকা বোর্ডে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বরিশাল মহানগরীতে শক্ত হয়ে উঠছে ‘দখলবাজদের’ অবস্থান

শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে ফের আলোচনা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকে ‘রুখে দাঁড়াতে’ বললেন আইন উপদেষ্টা

ছবি

আবারও ভাসছে বেনাপোল স্থলবন্দর, স্থায়ী সমাধানে লাগবে দুই বছর

ছবি

সাংবিধানিকভাবে সমতার মর্যাদায় নারীকে অধিষ্ঠিত করা প্রয়োজন: ঐকমত্য কমিশন

নারীরা কেন মুখ লুকিয়ে ফেললেন, তা বোঝার দরকার আছে: শারমীন মুরশিদ

চাঁনখারপুলে ৬ হত্যা: সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

শুধু রাজনীতিই নয়, দেশের অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ন করতে হবে: আমীর খসরু

ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার হাইকোর্ট রুল

মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: ৫ দিনের রিমান্ডে দুই ভাই

ছবি

নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা হচ্ছে, অভিযোগ বিএনপির

ছবি

সরাসরি ভোটে নারী আসন ও উচ্চকক্ষ গঠন পদ্ধতি নিয়ে বিরোধ

ছবি

বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতিতে জোর, রিয়েল টাইম তথ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগ

কর ফাঁকির তথ্য মিলেছে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা

ছবি

৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্পেসও জব্দ

ছবি

জুলাই আন্দোলনের নারী যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

ছবি

বড় ধরনের অপরাধ স্থিতিশীল, আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান

ছবি

চাঁনখারপুলে ৬ হত্যা: সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

ছবি

নারীর সাংবিধানিকভাবে ‘সমতার মর্যাদা’ নিশ্চিত করা জরুরি: আলী রীয়াজ

ছবি

সাগরে লঘুচাপ, ঢাকা-খুলনা-বরিশালে ভারি বৃষ্টির আভাস

tab

জাতীয়

৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তথ্য গোপনে প্রশ্ন, হাইকোর্টের রুল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

গত ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনসংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশে ব্যর্থতার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রুলে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের (দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস) আইনগত ভিত্তি ও কারণসহ নথি প্রকাশে ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুকের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জে আর খান রবিন।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের তালিকা প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন রিট আবেদনকারী ওমর ফারুক। তবে কোনো জবাব না পেয়ে তিনি চলতি বছরের মার্চে রিটটি করেন।

রিটে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষেত্রে একটি সুসংগঠিত তথ্যভান্ডার (ডেটাবেজ) গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিচারক, ফৌজদারি আইন ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পরামর্শ বোর্ড গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত, হ্রাস বা বিলম্বিত করার ক্ষমতা রয়েছে।

তবে রিটকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রপতি যেভাবে কিছু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা দিয়েছেন, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কার সুপারিশে এবং কোন মানদণ্ডে দণ্ডিতদের ক্ষমা দিয়েছেন, তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।”

রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবকে।

back to top