২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে রাত আড়াইটা পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ মোট ১২ জন।
বুধবার আদালতে দেওয়া এক বক্তব্যে এই তথ্য জানান পলক নিজেই।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে পলক বলেন, “৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমরা সংসদ ভবনের ভেতরে ছিলাম। সেদিন ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর শুনানি শেষে আদালত পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রিমান্ডে নেয়ার বিরোধিতা করে পলক দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ আনা হয়েছে এবং তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংমিস্ত্রী আব্দুল জব্বার। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলককে অন্যতম আসামি হিসেবে অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সরকার পতনের পরদিন, ৬ আগস্ট বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় আটক করা হয় পলককে। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসিকিউটর ওমর ফারুক বলেন, “পলক নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে সংসদে অবস্থান করছিলেন। আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন নেতৃত্বস্থানীয় একজন, যিনি নেট বন্ধসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছেন।”
সরকার পতনের পর একাধিক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছাড়লেও অনেকে থেকে গিয়েছিলেন দেশে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কেউ কেউ নিরাপত্তার আশ্রয়ও নিয়েছিলেন।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন জাতীয় সংসদ ভবনের একটি কক্ষে রাত আড়াইটা পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ মোট ১২ জন।
বুধবার আদালতে দেওয়া এক বক্তব্যে এই তথ্য জানান পলক নিজেই।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে পলক বলেন, “৫ আগস্ট রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমরা সংসদ ভবনের ভেতরে ছিলাম। সেদিন ভবন আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর শুনানি শেষে আদালত পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রিমান্ডে নেয়ার বিরোধিতা করে পলক দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ আনা হয়েছে এবং তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংমিস্ত্রী আব্দুল জব্বার। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলককে অন্যতম আসামি হিসেবে অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সরকার পতনের পরদিন, ৬ আগস্ট বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় আটক করা হয় পলককে। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসিকিউটর ওমর ফারুক বলেন, “পলক নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে সংসদে অবস্থান করছিলেন। আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন নেতৃত্বস্থানীয় একজন, যিনি নেট বন্ধসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছেন।”
সরকার পতনের পর একাধিক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছাড়লেও অনেকে থেকে গিয়েছিলেন দেশে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কেউ কেউ নিরাপত্তার আশ্রয়ও নিয়েছিলেন।