দেশের সাত জেলায় টানা পাঁচদিন ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। গতকালও তাপপ্রবাহ ছিল, আর প্রায় বৃষ্টিহীন সারাদেশ। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে-খাওয়া দিনমজুর ও কৃষকরা। রোদের প্রচণ্ডতা ও গরমের তীব্রতায় একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এরমধ্যে টানা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। তাপ বেড়ে যাওয়ার এ প্রবণতা আজও থাকতে পারে। তবে, শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কম ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আগামীকাল থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। তাতে কমতে পারে তাপ।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদকে বলেন, ‘তাপপ্রবাহ চলতেছে রাজশাহী বিভাগের ওপরে। সঙ্গে আছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। এছাড়া রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে। এটা ২৭ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তারপর অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়া দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। মে মাসের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির কম-বেশি থাকবে।’
তবে, গতবারের চেয়ে এবার তাপমাত্রা ‘সহনীয়’ থাকবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনভর গরম বাতাস ও প্রচ- রোদের কারণে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে রাজশাহীতে বর্তমানে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। এর আগে ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
গরমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সাহেব বাজার এলাকায় রিকশাচালক হেকমত আলী বলেন, ‘দিন-রাতের প্রচ- গরমে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। পানি খেলেও স্বস্তি মিলছে না।’
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় ২১ এপ্রিল থেকে। ওই দিন ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২২ এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬.৩ ডিগ্রি, আর ২৩ এপ্রিল ছুঁয়ে ফেলে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি, যা বিকেলে বেড়ে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৬ শতাংশ, যা গরমের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ২৭ বা ২৮ এপ্রিলের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে অঞ্চলটি।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
দেশের সাত জেলায় টানা পাঁচদিন ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। গতকালও তাপপ্রবাহ ছিল, আর প্রায় বৃষ্টিহীন সারাদেশ। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে-খাওয়া দিনমজুর ও কৃষকরা। রোদের প্রচণ্ডতা ও গরমের তীব্রতায় একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এরমধ্যে টানা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে। তাপ বেড়ে যাওয়ার এ প্রবণতা আজও থাকতে পারে। তবে, শুক্রবার, (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা খানিকটা কম ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, আগামীকাল থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে। তাতে কমতে পারে তাপ।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদকে বলেন, ‘তাপপ্রবাহ চলতেছে রাজশাহী বিভাগের ওপরে। সঙ্গে আছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গা। এছাড়া রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে। এটা ২৭ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তারপর অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়া দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। মে মাসের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির কম-বেশি থাকবে।’
তবে, গতবারের চেয়ে এবার তাপমাত্রা ‘সহনীয়’ থাকবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগসহ টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বিদ্যুৎ চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনভর গরম বাতাস ও প্রচ- রোদের কারণে নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৩ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়। সে হিসেবে রাজশাহীতে বর্তমানে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। এর আগে ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত চলতি বছরের সর্বোচ্চ।
গরমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সাহেব বাজার এলাকায় রিকশাচালক হেকমত আলী বলেন, ‘দিন-রাতের প্রচ- গরমে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। পানি খেলেও স্বস্তি মিলছে না।’
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় ২১ এপ্রিল থেকে। ওই দিন ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২২ এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬.৩ ডিগ্রি, আর ২৩ এপ্রিল ছুঁয়ে ফেলে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি, যা বিকেলে বেড়ে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৬ শতাংশ, যা গরমের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ২৭ বা ২৮ এপ্রিলের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে অঞ্চলটি।