শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর আদালতের রায়ের মাধ্যমে পদে বসাকে সমর্থন করেন না স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ ওই সব নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা থেকে বিরত থাকা উচিত।
তিনি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আদালতের রায় পেয়ে মেয়র পদে প্রথম বসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন হয়েছিল। তাতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী জয়ী হন।
এর পর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চসিক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আর কার্যালয়ে যাননি। তাকে মেয়রকে অপসারণ করে গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।
এর পর গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর করা মামলার রায় দেন আদালত। রায়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফল বাতিল এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেয় আদালত। ইশরাক ২০২০ সালের ৩ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছিলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টিতে (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস)।
এসব বিষয়ে জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনি মনে করেন- ওই নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে এবং ‘অ্যাকনলেজ’ (স্বীকৃতি দেয়া) করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই নির্বাচনগুলোকে ‘অবৈধ ঘোষণা’ করা এবং ‘অবৈধ নির্বাচন’ থেকে কোনো ‘প্রাপ্তিস্বীকার’ না করার ‘সততাটা’ থাকা উচিত।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার উচ্চ আদালতে যাচ্ছে না। রায় অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসিফ মাহমুদ বলেন, চসিক নির্বাচনের রায়ের ঘটনার সময় এটা হয়েছে। তখন তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এ মামলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষ ছিল না। এজন্য ‘অফিশিয়ালি এটার অপোজ’ করার
সুযোগ তার মন্ত্রণালয়ের নেই বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
প্রার্থী ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পরে আসলে মেয়র ঘোষণা দেয়ার বিষয়টা তাদের ‘আরজিতে’ যুক্ত করেছেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগের আরজিটা ছিল নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা বা ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করা। কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর অনেকেই এসে ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করে নিজেকে মেয়র ঘোষণা করার আরজিটা যুক্ত করেছেন।
‘পক্ষভুক্ত’ না হওয়ায় ‘অফিশিয়ালি’ তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গেজেট করবে নাকি আপিল করবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এলে তারা এটা দেখবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর আদালতের রায়ের মাধ্যমে পদে বসাকে সমর্থন করেন না স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ ওই সব নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে এটা থেকে বিরত থাকা উচিত।
তিনি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আদালতের রায় পেয়ে মেয়র পদে প্রথম বসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন হয়েছিল। তাতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী জয়ী হন।
এর পর ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের চসিক নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে মামলা করেন মেয়র প্রার্থী নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তৎকালীন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আর কার্যালয়ে যাননি। তাকে মেয়রকে অপসারণ করে গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার।
এর পর গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর করা মামলার রায় দেন আদালত। রায়ে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফল বাতিল এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেয় আদালত। ইশরাক ২০২০ সালের ৩ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেছিলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টিতে (জাপা) মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন (তাপস)।
এসব বিষয়ে জবাবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনি মনে করেন- ওই নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে এবং ‘অ্যাকনলেজ’ (স্বীকৃতি দেয়া) করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এই নির্বাচনগুলোকে ‘অবৈধ ঘোষণা’ করা এবং ‘অবৈধ নির্বাচন’ থেকে কোনো ‘প্রাপ্তিস্বীকার’ না করার ‘সততাটা’ থাকা উচিত।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার উচ্চ আদালতে যাচ্ছে না। রায় অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসিফ মাহমুদ বলেন, চসিক নির্বাচনের রায়ের ঘটনার সময় এটা হয়েছে। তখন তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এ মামলায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কোনো পক্ষ ছিল না। এজন্য ‘অফিশিয়ালি এটার অপোজ’ করার
সুযোগ তার মন্ত্রণালয়ের নেই বলে জানান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
প্রার্থী ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পরে আসলে মেয়র ঘোষণা দেয়ার বিষয়টা তাদের ‘আরজিতে’ যুক্ত করেছেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগের আরজিটা ছিল নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা বা ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করা। কিন্তু শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর অনেকেই এসে ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করে নিজেকে মেয়র ঘোষণা করার আরজিটা যুক্ত করেছেন।
‘পক্ষভুক্ত’ না হওয়ায় ‘অফিশিয়ালি’ তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গেজেট করবে নাকি আপিল করবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে এলে তারা এটা দেখবেন বলে জানান উপদেষ্টা।